ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা ও জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও জোটের নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসেন। ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এই বৈঠকে সব ধর্মের নেতারা ঐক্যবদ্ধ থেকে কোনো অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আলোচনায় অংশ নেওয়া ধর্মীয় নেতারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে চমৎকার ধর্মীয় সম্প্রীতি বিদ্যমান। তবে এই সময়কে ‘স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে এই সম্প্রীতি ধরে রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আহমাদউল্লাহ বলেন, “আমাদের মধ্যে চমৎকার ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। সেটি আরও ভালোভাবে ধরে রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা একটি ভয়মুক্ত ও সম্প্রীতিমূলক বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো প্রপাগান্ডায় যেন পা না দেই এবং সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি, এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ধর্মীয় নেতারা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন।”
খ্রিস্টান ধর্মগুরু ফাদার আলবার্ট রোজারিও চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “মানুষের মধ্যে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা নিরাময় করতে হবে। ক্ষোভ দূর করার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছি। এছাড়া ইসকনের গ্রেপ্তারকৃত এক সদস্যের জামিনের বিষয়টিও বিবেচনার জন্য বলেছি।”
হিন্দু ধর্মগুরু অবিনাশ মিত্র বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। তবে কিছু বিদেশি গোষ্ঠী বিভেদ সৃষ্টির অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশে সবাই মিলেমিশে আছে।”
বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, “দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। এটি আমাদের গৌরব।”
গারো ধর্মগুরু জনসন ম্যুরি কামাল বলেন, “মিডিয়ায় চালানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা সরকারের পাশে থাকব।”
বৈঠকে ধর্মীয় নেতারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার মতো উদ্যোগ গ্রহণের।
সংলাপ শেষে ধর্মীয় নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন এবং অপপ্রচারের শিকার হবেন না।
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা ও জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও জোটের নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসেন। ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এই বৈঠকে সব ধর্মের নেতারা ঐক্যবদ্ধ থেকে কোনো অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আলোচনায় অংশ নেওয়া ধর্মীয় নেতারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে চমৎকার ধর্মীয় সম্প্রীতি বিদ্যমান। তবে এই সময়কে ‘স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে এই সম্প্রীতি ধরে রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আহমাদউল্লাহ বলেন, “আমাদের মধ্যে চমৎকার ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। সেটি আরও ভালোভাবে ধরে রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা একটি ভয়মুক্ত ও সম্প্রীতিমূলক বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো প্রপাগান্ডায় যেন পা না দেই এবং সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি, এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ধর্মীয় নেতারা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন।”
খ্রিস্টান ধর্মগুরু ফাদার আলবার্ট রোজারিও চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “মানুষের মধ্যে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা নিরাময় করতে হবে। ক্ষোভ দূর করার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছি। এছাড়া ইসকনের গ্রেপ্তারকৃত এক সদস্যের জামিনের বিষয়টিও বিবেচনার জন্য বলেছি।”
হিন্দু ধর্মগুরু অবিনাশ মিত্র বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। তবে কিছু বিদেশি গোষ্ঠী বিভেদ সৃষ্টির অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশে সবাই মিলেমিশে আছে।”
বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, “দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। এটি আমাদের গৌরব।”
গারো ধর্মগুরু জনসন ম্যুরি কামাল বলেন, “মিডিয়ায় চালানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা সরকারের পাশে থাকব।”
বৈঠকে ধর্মীয় নেতারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার মতো উদ্যোগ গ্রহণের।
সংলাপ শেষে ধর্মীয় নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন এবং অপপ্রচারের শিকার হবেন না।