alt

জাতীয়

সংকট! সয়াবিন তেল কোথাও কোথাও পাওয়া গেলেও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে

আমিরুল মোমিনিন সাগর : শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বাজারে এখন ভোজ্যতেল সয়াবিনের সংকট চলছে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। কোনো কোনো মুদি দোকানে পাওয়া গেলেও বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ‘ডিলাররা বলতেছে, কোম্পানি মাল দেয় না।’ চাহিদার তুলনায় সামান্য পরিমান মাল (পণ্য) কোনো কোম্পানি দিলেও ‘সঙ্গে অন্য মাল (পণ্য) নিতে হচ্ছে।’

সয়াবিন তেলের সংকট নিয়ে শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) কথা হয় রাজধানী শ্যামলী কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি বাহার মিয়ার সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘তেল সট (সংকট), কোনো কোম্পানির তেল (সয়াবিন) নাই। ১০-১৫ দিন ধরে সয়াবিন তেলই দিচ্ছে না। ডিলার পয়েন্টেও মাল নাই। কোম্পানি ছাড়ে না। ডিলাররা বলতেছে, কোম্পানি মাল দিচ্ছে না।’

একই উত্তর দেন এই বাজারের আরেক মুদি দোকানি টুলু মিয়া। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘তেলই নাই, ১০-১৫ দিন ধরে। কোম্পানি মাল দেয় না।’ ‘কাল (বৃহস্পতিবার) এক কোম্পানির ডিলারের লোক এসে বলছিল, গায়ের রেটে যা আছে এই দামে নগদ টাকা দিলে মাল (পণ্য) পাবেন। আমি দোকানে ছিলাম না। আজ ১৮ হাজার টাকা দিয়ে পাঠিয়েছিলাম ১২ হাজার টাকার তেল আনছে। তাও হাফ লিটার আর ১ লিটার ওজনের। ২-৫ লিটারের বোতল পায়নি। ১৮৩ টাকা গায়ের রেট, ১৮০ টাকা দিয়ে আনছে।’ জানান তিনি। ১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের গায়েতো লেখা আছে ১৬৭ টাকা? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা কেনলা, এটার দাম বেশি।’ ‘কোথায় যাইতেছিলাম আর কোথায় যাইতেছি,’ দাম নিয়ে পরিশেষে বলেন তিনি।

এক মহিলার কাছে ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৭০ টাকায় বিক্রি করছিলেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুদি দোকান মেসার্স মায়ের দোয় স্টোরের বিক্রেতা বাবলু মিয়া। তার কাছে জানতে চাই- বোতলের গায়ের রেটের চেয়ে বেশি বিক্রি করছেন কেন? জবাবে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘গায়ের রেটের চেয়ে বেশি দামে কিনছি, বেশি দামে বিক্রি করছি। ১ লিটার ১৬৮ টাকা কিনছি, ১৭০ টাকা বিক্রি করছি।’

আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আজ সারাদিন আমি ৩টা ৫ লিটার ওজনের তেল বিক্রি করছি। এর আগে প্রত্যেকদিন দিন ৫ লিটার তেল বেচি ৪০-৫০ কার্টুন। এই বাজারে প্রতিদিন লাগে ৫ হাজার কার্টুন, আসতাছে ৩০-৫০ কার্টুন। মহল্লার দোকনদাররা সয়াবিন তেল পাচ্ছে না, এখানে এসে চাপ সৃষ্টি করছে। চাহিদা আর বাড়ি গেছে। একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। কারওয়ান বাজারে যখন সংকট তখন বুঝতে হবে সারাদেশেই সংকট।’

তিনি জানান, ‘১০ কাটুন তেলের লগে কোম্পানি ৬ বস্তা আটা নিতে হচ্ছে লগে আরও ৫ লিটারের ৩ কাটুন সরিষার তেল। ৩২ হাজার টাকার সয়াবিন তেলের লগে আঠারো হাজার টাকার অন্য মাল দিছে। না নিলে সয়াবিন তেল দিবে না। পাশের এক ক্রেতাকে দেখিয়ে বলেন, ‘এখন কথা হলো, আমি সয়াবিন তেলের লগে অন্য মাল নিছি, এই লোককে তেলের লগে অন্য মাল কি দিতে পারবো, উনি সেটা নিবে কী?’

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) শুক্রবারের বাজারদর হিসাবে, খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল এক লিটার বিক্রি হয়েছে ১৬৭ থেকে ১৭০ টাকা। যদিও ওই পরিমান বোতলের গায়ে লেখা দাম ছিল ১৬৭ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৫-১৬৮ টাকা।

সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট শুরু হলে সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক–কর কমায়। এতে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক-কর কমে ১০ থেকে ১১ টাকা। শুল্ক-কর কমালেও বাজারে তার প্রভাব না পড়ে সংকট তৈরি হয়েছে।

ভোজ্যতেল পরিশোধন কোম্পানিগুলোকে নিয়ে বৃহস্পতিবার এক সভা করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, আসন্ন রমজান উপলক্ষে যে পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি হওয়ার কথা (ঋণপত্র খোলা), তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। ওই সভার প্রেক্ষিতে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। শুল্ক কমানোর পরও কেন ভোজ্যতেলের দাম কমছে না, সেটি দ্রুততম সময়ে পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেবে কমিটি।

রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তুু সরবরাহ বাড়লেও সবজির বাজার এখনও চড়া। বেশিরভাগ সবজির দাম ৮০ টাকার ওপর। বাজারে নতুন আলুর কেজি ১২০ টাক আর পুরানো আলু আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ টাকা। এছাড়া করলা-বরবটি-শিম-১০০ টাকা, বেগুন-পোটল ৮০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা গাজর ১০০ টাকায়। একপিস লাউ ৮০ টাকা, একপিস ফুলকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শ্যামলী কাঁচাবাজারে দেশি পেঁয়াজ-আলুসহ কয়েকটি পণ্য বিক্রি করছেন সোহেল। দরদাম ও বেচা-বিক্রির কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে সংবাদকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ আজ ১৩৫ টাকা কেজি আর আলু ৮০ টাকাই। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ১২০ টাকা।’ ‘আশা অনুযায়ী বিক্রি নাই, বেচাবিক্রি তিন ভাগের এক ভাগ কমে গেছে,’ জানান সোহেল।

বাজারে পণ্যের দামের বিষয়ে কথা হয় ব্যক্তিগত গাড়ি চালক মো. ইদ্রিস আলীর সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘জিনিসের দাম বেশি, ব্যায় হিসেবে কারই আয়টা ঠিক মতো হচ্ছে না। সবাই সংকটের মধ্যেই আছে। গরিব লোকরা তবুও কোন না কোন কাজ করতে পারছে। মধ্যম শ্রেণীর লোকের কষ্টটা বেশি, তারা না পারতেছে হাত পাতাতে, না পারতাছে আর একটা ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে।’

এমবিবিএসে ভর্তির ফল নিয়ে ‘সমালোচনা’, পরদিনই ১৯৩ জনের স্থগিত

পুরুষের ৩৫ ও নারীর ৩৭ বছর করার দাবিতে ফের আন্দোলনে চাকরিপ্রত্যাশীরা

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারদের পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে

সব দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, জামায়াতের কাছে জানতে চাইলো জাতিসংঘ

ডিজিএফআই ‘আয়নাঘরের’ প্রমাণ নষ্ট করেছে : গুম তদন্ত কমিশন

জুলাই আন্দোলন : সাবেক আইজিপিসহ সাড়ে ৯শ’ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

ডনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন অধ্যাপক ইউনূস

ছবি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের চীন সফর শুরু

ছবি

অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন আলী ইমাম মজুমদার

ছবি

অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন মামুন

ছবি

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত

ছবি

পুলিশ-র‌্যাব-আনসারের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

ছবি

সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গ্রেপ্তার

ছবি

সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

ছবি

পৃথক হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, ইনু, মেনন ও মামুন ফের রিমান্ডে

ছবি

ভোটার তালিকা হালনাগাদ: বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৯ লাখ তথ্য সংগ্রহের আশায় ইসি

ছবি

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন অধ্যাপক ইউনূস

ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা জানতে চেয়েছে জাতিসংঘ

ছবি

শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পুতুলকে সরাতে দুই মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে দুদক

ছবি

আরাকান আর্মির বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে: জাতিসংঘ দূত

বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে ট্রাইব্যুনালে জাতিসংঘের সহযোগিতা

ছবি

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কে চিড় ধরবে না : রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

ছবি

দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বাসায় নগদ টাকা ও সঞ্চয়পত্র উদ্ধার

ছবি

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ছবি

রূপপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ শোধের সুরাহা হয়ে যোবে : রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

ছবি

বায়ু দুষণে বছরে দেশে ১ লাখ ২ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু

ছবি

বিডিআর বিদ্রোহ : বিস্ফোরক মামলায় দুই শতাধিক আসামির জামিন

ছবি

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন হবে: সিইসি

ছবি

সুন্দরবনে বেড়েছে হরিণ, তবে থেমে নেই শিকার

প্রশাসনের সব স্তরে ‘অনিয়ম ও অসমতা’ নিরসনের দাবি

বাংলাদেশকে নিয়ে ২০২৪ সালে ভারতীয় অপতথ্যের প্রবাহ: বিশ্লেষণে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

ছবি

শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদের সংকট: আদিবাসী গ্রাফিতি বিতর্কে প্রতিবাদ

ছবি

বনের ক্ষতি ও পরিবেশ সংকট: সরকারি–বেসরকারি প্রকল্পের প্রভাব

ছবি

উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের কোটার সমালোচনা

tab

জাতীয়

সংকট! সয়াবিন তেল কোথাও কোথাও পাওয়া গেলেও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে

আমিরুল মোমিনিন সাগর

শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বাজারে এখন ভোজ্যতেল সয়াবিনের সংকট চলছে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। কোনো কোনো মুদি দোকানে পাওয়া গেলেও বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ‘ডিলাররা বলতেছে, কোম্পানি মাল দেয় না।’ চাহিদার তুলনায় সামান্য পরিমান মাল (পণ্য) কোনো কোম্পানি দিলেও ‘সঙ্গে অন্য মাল (পণ্য) নিতে হচ্ছে।’

সয়াবিন তেলের সংকট নিয়ে শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) কথা হয় রাজধানী শ্যামলী কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি বাহার মিয়ার সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘তেল সট (সংকট), কোনো কোম্পানির তেল (সয়াবিন) নাই। ১০-১৫ দিন ধরে সয়াবিন তেলই দিচ্ছে না। ডিলার পয়েন্টেও মাল নাই। কোম্পানি ছাড়ে না। ডিলাররা বলতেছে, কোম্পানি মাল দিচ্ছে না।’

একই উত্তর দেন এই বাজারের আরেক মুদি দোকানি টুলু মিয়া। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘তেলই নাই, ১০-১৫ দিন ধরে। কোম্পানি মাল দেয় না।’ ‘কাল (বৃহস্পতিবার) এক কোম্পানির ডিলারের লোক এসে বলছিল, গায়ের রেটে যা আছে এই দামে নগদ টাকা দিলে মাল (পণ্য) পাবেন। আমি দোকানে ছিলাম না। আজ ১৮ হাজার টাকা দিয়ে পাঠিয়েছিলাম ১২ হাজার টাকার তেল আনছে। তাও হাফ লিটার আর ১ লিটার ওজনের। ২-৫ লিটারের বোতল পায়নি। ১৮৩ টাকা গায়ের রেট, ১৮০ টাকা দিয়ে আনছে।’ জানান তিনি। ১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের গায়েতো লেখা আছে ১৬৭ টাকা? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা কেনলা, এটার দাম বেশি।’ ‘কোথায় যাইতেছিলাম আর কোথায় যাইতেছি,’ দাম নিয়ে পরিশেষে বলেন তিনি।

এক মহিলার কাছে ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৭০ টাকায় বিক্রি করছিলেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুদি দোকান মেসার্স মায়ের দোয় স্টোরের বিক্রেতা বাবলু মিয়া। তার কাছে জানতে চাই- বোতলের গায়ের রেটের চেয়ে বেশি বিক্রি করছেন কেন? জবাবে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘গায়ের রেটের চেয়ে বেশি দামে কিনছি, বেশি দামে বিক্রি করছি। ১ লিটার ১৬৮ টাকা কিনছি, ১৭০ টাকা বিক্রি করছি।’

আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আজ সারাদিন আমি ৩টা ৫ লিটার ওজনের তেল বিক্রি করছি। এর আগে প্রত্যেকদিন দিন ৫ লিটার তেল বেচি ৪০-৫০ কার্টুন। এই বাজারে প্রতিদিন লাগে ৫ হাজার কার্টুন, আসতাছে ৩০-৫০ কার্টুন। মহল্লার দোকনদাররা সয়াবিন তেল পাচ্ছে না, এখানে এসে চাপ সৃষ্টি করছে। চাহিদা আর বাড়ি গেছে। একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। কারওয়ান বাজারে যখন সংকট তখন বুঝতে হবে সারাদেশেই সংকট।’

তিনি জানান, ‘১০ কাটুন তেলের লগে কোম্পানি ৬ বস্তা আটা নিতে হচ্ছে লগে আরও ৫ লিটারের ৩ কাটুন সরিষার তেল। ৩২ হাজার টাকার সয়াবিন তেলের লগে আঠারো হাজার টাকার অন্য মাল দিছে। না নিলে সয়াবিন তেল দিবে না। পাশের এক ক্রেতাকে দেখিয়ে বলেন, ‘এখন কথা হলো, আমি সয়াবিন তেলের লগে অন্য মাল নিছি, এই লোককে তেলের লগে অন্য মাল কি দিতে পারবো, উনি সেটা নিবে কী?’

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) শুক্রবারের বাজারদর হিসাবে, খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল এক লিটার বিক্রি হয়েছে ১৬৭ থেকে ১৭০ টাকা। যদিও ওই পরিমান বোতলের গায়ে লেখা দাম ছিল ১৬৭ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৫-১৬৮ টাকা।

সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট শুরু হলে সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক–কর কমায়। এতে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক-কর কমে ১০ থেকে ১১ টাকা। শুল্ক-কর কমালেও বাজারে তার প্রভাব না পড়ে সংকট তৈরি হয়েছে।

ভোজ্যতেল পরিশোধন কোম্পানিগুলোকে নিয়ে বৃহস্পতিবার এক সভা করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, আসন্ন রমজান উপলক্ষে যে পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি হওয়ার কথা (ঋণপত্র খোলা), তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। ওই সভার প্রেক্ষিতে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। শুল্ক কমানোর পরও কেন ভোজ্যতেলের দাম কমছে না, সেটি দ্রুততম সময়ে পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেবে কমিটি।

রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তুু সরবরাহ বাড়লেও সবজির বাজার এখনও চড়া। বেশিরভাগ সবজির দাম ৮০ টাকার ওপর। বাজারে নতুন আলুর কেজি ১২০ টাক আর পুরানো আলু আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ টাকা। এছাড়া করলা-বরবটি-শিম-১০০ টাকা, বেগুন-পোটল ৮০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা গাজর ১০০ টাকায়। একপিস লাউ ৮০ টাকা, একপিস ফুলকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শ্যামলী কাঁচাবাজারে দেশি পেঁয়াজ-আলুসহ কয়েকটি পণ্য বিক্রি করছেন সোহেল। দরদাম ও বেচা-বিক্রির কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে সংবাদকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ আজ ১৩৫ টাকা কেজি আর আলু ৮০ টাকাই। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ১২০ টাকা।’ ‘আশা অনুযায়ী বিক্রি নাই, বেচাবিক্রি তিন ভাগের এক ভাগ কমে গেছে,’ জানান সোহেল।

বাজারে পণ্যের দামের বিষয়ে কথা হয় ব্যক্তিগত গাড়ি চালক মো. ইদ্রিস আলীর সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘জিনিসের দাম বেশি, ব্যায় হিসেবে কারই আয়টা ঠিক মতো হচ্ছে না। সবাই সংকটের মধ্যেই আছে। গরিব লোকরা তবুও কোন না কোন কাজ করতে পারছে। মধ্যম শ্রেণীর লোকের কষ্টটা বেশি, তারা না পারতেছে হাত পাতাতে, না পারতাছে আর একটা ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে।’

back to top