প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রমকে আরও সহজ ও সবার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য করা হচ্ছে।
শনিবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বিচারিক স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ শীর্ষক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই কনফারেন্সে অংশ নেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং নিম্ন আদালতের বিচারকরা।
প্রধান বিচারপতি ১৯৭১ সালের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “বিজয়ের এই মাস আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ন্যায়বিচারের সন্ধান একটি আজীবনের প্রতিশ্রুতি।”
তিনি জানান, বিলম্বিত বিচার ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এক বিচারপ্রার্থীর কষ্টের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “বিচারে বিলম্ব কমানো কেবল প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়, এটি একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগীয় সংস্কারে তিনি একটি রোডম্যাপ উন্মোচন করেছেন এবং বিচারকদের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে একটি বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আইনি সহায়তা সহজ করতে হেল্পলাইন চালু, কেস ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ডিজিটালাইজেশন এখন বিলাসিতা নয়, এটি একটি প্রয়োজনীয়তা।”
প্রধান বিচারপতি ইউএনডিপির ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, তারা সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং নীতিগত সহায়তার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, “সহযোগিতা ও উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক এবং দক্ষ বিচারব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রমকে আরও সহজ ও সবার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য করা হচ্ছে।
শনিবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বিচারিক স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ শীর্ষক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই কনফারেন্সে অংশ নেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং নিম্ন আদালতের বিচারকরা।
প্রধান বিচারপতি ১৯৭১ সালের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “বিজয়ের এই মাস আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ন্যায়বিচারের সন্ধান একটি আজীবনের প্রতিশ্রুতি।”
তিনি জানান, বিলম্বিত বিচার ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এক বিচারপ্রার্থীর কষ্টের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “বিচারে বিলম্ব কমানো কেবল প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়, এটি একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগীয় সংস্কারে তিনি একটি রোডম্যাপ উন্মোচন করেছেন এবং বিচারকদের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে একটি বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আইনি সহায়তা সহজ করতে হেল্পলাইন চালু, কেস ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ডিজিটালাইজেশন এখন বিলাসিতা নয়, এটি একটি প্রয়োজনীয়তা।”
প্রধান বিচারপতি ইউএনডিপির ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, তারা সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং নীতিগত সহায়তার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, “সহযোগিতা ও উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক এবং দক্ষ বিচারব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”