প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সংসদীয় শুনানিতে বিষয়গুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তিনি সেক্যুলার সংবাদমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এসব সহিংসতার ঘটনাগুলো সঠিকভাবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
এক ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, নেত্র নিউজ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নেত্র নিউজের মতে, ঐক্য পরিষদ যেসব মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরেছে, তার বেশিরভাগই রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে ঘটেছে, যা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নয়।
শফিকুল আলম আশা প্রকাশ করেন যে ঐক্য পরিষদ নেত্র নিউজের প্রতিবেদনের বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দেবে। তিনি উল্লেখ করেন, ঐক্য পরিষদের দাবি অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৫ জন সংখ্যালঘু নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অথচ দেশের কোনো গণমাধ্যমই এসব দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেনি।
তিনি আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০২৩ সালে সংখ্যালঘু বিরোধী সহিংসতায় কেউ নিহত হয়নি এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র দুইজন নিহত হয়েছে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ঐক্য পরিষদের এমন প্রতিবেদনের প্রভাব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক। ব্রিটিশ সংসদে এবং বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তিনি স্বীকার করেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটে, তবে ঐক্য পরিষদের তথ্য অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এড়াতে সরকার, রাজনৈতিক নেতা এবং সুশীল সমাজের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রেস সচিব আশা প্রকাশ করেন, মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে স্বাধীন তদন্ত করবে। তিনি বলেন, "সরকার নিজে এসব গুজব খণ্ডন করলে তা পক্ষপাতদুষ্ট মনে হতে পারে। তাই সঠিক তথ্যের জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।"
শফিকুল আলম আরও বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা তথ্যের কারণে কেউ কেউ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন বা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানায়। এ কারণেই অন্তর্বর্তী সরকার চায়, এসব ইস্যুতে সঠিক এবং ন্যায্য তদন্ত হোক।
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সংসদীয় শুনানিতে বিষয়গুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তিনি সেক্যুলার সংবাদমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এসব সহিংসতার ঘটনাগুলো সঠিকভাবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
এক ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, নেত্র নিউজ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নেত্র নিউজের মতে, ঐক্য পরিষদ যেসব মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরেছে, তার বেশিরভাগই রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে ঘটেছে, যা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নয়।
শফিকুল আলম আশা প্রকাশ করেন যে ঐক্য পরিষদ নেত্র নিউজের প্রতিবেদনের বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দেবে। তিনি উল্লেখ করেন, ঐক্য পরিষদের দাবি অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৫ জন সংখ্যালঘু নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অথচ দেশের কোনো গণমাধ্যমই এসব দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেনি।
তিনি আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০২৩ সালে সংখ্যালঘু বিরোধী সহিংসতায় কেউ নিহত হয়নি এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র দুইজন নিহত হয়েছে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ঐক্য পরিষদের এমন প্রতিবেদনের প্রভাব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক। ব্রিটিশ সংসদে এবং বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তিনি স্বীকার করেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটে, তবে ঐক্য পরিষদের তথ্য অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এড়াতে সরকার, রাজনৈতিক নেতা এবং সুশীল সমাজের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রেস সচিব আশা প্রকাশ করেন, মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে স্বাধীন তদন্ত করবে। তিনি বলেন, "সরকার নিজে এসব গুজব খণ্ডন করলে তা পক্ষপাতদুষ্ট মনে হতে পারে। তাই সঠিক তথ্যের জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।"
শফিকুল আলম আরও বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা তথ্যের কারণে কেউ কেউ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন বা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানায়। এ কারণেই অন্তর্বর্তী সরকার চায়, এসব ইস্যুতে সঠিক এবং ন্যায্য তদন্ত হোক।