alt

উত্থান-পতন সত্ত্বেও ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক টিকে আছে: প্রণয় ভার্মা

কুটনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বিভিন্ন পরিবর্তন, পেশাগত চ্যালেঞ্জ এবং উত্থান-পতন থাকা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টিকে আছে।

আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতের সামরিক ও কুটনৈতিক ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে এ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ৫৩ বছর আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। ইতিহাস গতভাবেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক স্মরণীয়। কারণ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ১০ দিন আগেই ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি একটি মাইলফলক, যা কখনো মোছা যায় না। ওই তারিখটি দুই দেশের অংশীদারত্বের একটি বড় চিহ্ন। যা বিভিন্ন পরিবর্তন, পেশাগত চ্যালেঞ্জ এবং বিভিন্ন উত্থান-পতন থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক টিকে আছে। আমাদের এই সম্পর্ক টিকে আছে দুই দেশের সংবেদনশীলতা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধায়।

তিনি বলেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে, যা সম্ভব হয়েছে ৫৩ বছর আগে করা আমাদের ত্যাগের কারণে। ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ এবং ভারত অনেক দূর এগিয়েছে, উন্নতি করেছে দ্রুতগতির সাথে। দ্রুতগতির অর্থনীতি, ধারাবাহিক উন্নতি, মানুষের উন্নত ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষার উন্নয়ন দুই দেশের মধ্যে নতুন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। যা আজ আমাদের বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একে অপরের উন্নয়নের পরিপূরক।

প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, আমাদের সুসম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস যেখানে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি পরস্পরের সাথে জড়িত। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশের সাথে শান্তিপূর্ণ, গঠনমূলক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি, এর ভিত্তি ছিল সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক বোঝাপড়া। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের দুই দেশের জনগণ প্রধান অংশীদার এবং যে সম্পর্ক আমরা তৈরি করেছি, তার প্রধান উদ্দেশ্য দুই দেশের জনগণের উন্নয়ন। এতে দুই দেশের জনগণই উপকৃত। দুই দেশের বর্ডার ট্রান্সপোর্ট, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঞ্চালন, আমাদের অর্থনৈতিক সংযোগ, এগুলো সবই মূলত আমাদের জনগণের সমৃদ্ধি তৈরি করে এবং তাদের কল্যাণে অবদান রাখে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের সমাজ গভীরভাবে সংযুক্ত। আমরা কেউ এককভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবো না। আমরা আমাদের ভৌগোলিক ঘনিষ্ঠতাকে আমাদের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা এবং নতুন উচ্চাকাঙ্ক্ষা দ্বারা চালিত নতুন সুযোগে রূপান্তর করতে চাই। এটা সত্য যে বাংলাদেশে অশান্ত পরিবর্তন সত্ত্বেও, আমাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক, আমাদের পরিবহন ও জ্বালানি সহযোগিতা, আমাদের জনগণের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা ইতিবাচক গতি বজায় রেখেছে। যা প্রমাণ করে আমাদের সম্পর্ক সত্যিই স্থিতিশীল। এটি আরও দেখায় যে নির্বিশেষে আমাদের চারপাশে যা পরিবর্তন হচ্ছে তা আমাদের পারস্পরিক নির্ভরতার বাস্তবতা এবং পারস্পরিক সুবিধা আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকবে।

বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন পাহাড়ীর (বীর প্রতীক) সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাবেক পরিচালক মনিরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদ চৌধুরী, বাচিকশিল্পী টিটু মুনশী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারতের জাতীয় সঙ্গীতসহ বিভিন্ন রণসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

এ দিকে মৈত্রী দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে একে অপরের গভীর স্বার্থ জড়িত বলে মন্তব্য মন্তব্য করেন।

প্রণয় ভার্মা বলেন, উভয় দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে একে অপরের গভীর স্বার্থ জড়িত রয়েছে এবং এই সম্পর্কের ভিত্তি হলো মানুষ। ৬ ডিসেম্বর দিনটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি মাইলফলক ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস।

ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও যুবসমাজ। এছাড়াও কয়েকটি বিদেশি মিশনের প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের সদস্য এবং শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ছবি

বিচার বিভাগে নারীর অংশগ্রহণ জনআস্থার ‘বিশেষ প্রতীক’: প্রধান বিচারপতি

ছবি

বাংলাদেশ ওআইসির উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ: শ্রম উপদেষ্টা

ছবি

ইভিএম: মামলা ও বকেয়ার বিষয়ে মাঠের তথ্য চেয়েছে ইসি

ছবি

ডেঙ্গু: আরও ৫১০ জন হাসপাতালে, আক্রান্ত ছাড়ালো ৫৮ হাজার

ছবি

এনসিপিকে ছাড়াই ‘জুলাই সনদ’ সই: ‘নবজন্ম হলো’, বললেন ইউনূস

ছবি

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা স্থগিত: পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের উদ্বেগ

ছবি

পুলিশ-জুলাই যোদ্ধা সংঘর্ষ সংসদ এলাকা রণক্ষেত্র

জুলাই জাতীয় সনদে সই আজ, অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয়ে কয়েক দল

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে আজ, কী থাকছে এই সনদে

গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু টেস্ট

চীনে নারী পাচার: দূতাবাস ও ইমিগ্রেশনের ‘যোগসাজশ’ দেখছে র‌্যাব

ছবি

এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট’র নতুন কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেন স্নিধ

ছবি

সিইপিজেডে কারখানায় ভয়াবহ আগুন, শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে

শেখ হাসিনার ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ এ মাসেই, স্বাক্ষরের সুযোগ পরেও থাকবে: আলী রীয়াজ

ছবি

দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার ‘যথাযথই’ মনে করছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আনাসসহ ৬ জনকে হত্যার মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব

ছবি

এইচএসসিতে ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

ছবি

এইচএসসি ফল: জিপিএ-৫ কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন

ছবি

এইচএসসি ফল: পাসের হারে এগিয়ে ঢাকা, পিছিয়ে কুমিল্লা

ছবি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৭৫৮ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ৪

ছবি

জুলাই সনদ: দ্বিমত থাকলেও সইয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন

ছবি

অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিচার শুরুর আদেশ

ছবি

হাসিনার ‘হেলিকপ্টার থেকে গুলির নির্দেশ প্রমাণিত হয়েছে’, এআই নয় যুক্তিতর্কে দাবি তাজুলের

ছবি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার

ছবি

শোনার মানসিকতা রাজনৈতিক দলেরও থাকতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ছিল কুখ্যাত গডফাদার, বললেন আইন উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

‘আনন্দঘন’ পরিবেশে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের আশা আলী রীয়াজের

ছবি

জুলাই সনদ: সন্ধ্যায় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ট্রাইব্যুনালে তাজুল ইসলাম: হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

ছবি

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

tab

উত্থান-পতন সত্ত্বেও ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক টিকে আছে: প্রণয় ভার্মা

কুটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বিভিন্ন পরিবর্তন, পেশাগত চ্যালেঞ্জ এবং উত্থান-পতন থাকা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টিকে আছে।

আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতের সামরিক ও কুটনৈতিক ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে এ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ৫৩ বছর আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। ইতিহাস গতভাবেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক স্মরণীয়। কারণ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ১০ দিন আগেই ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি একটি মাইলফলক, যা কখনো মোছা যায় না। ওই তারিখটি দুই দেশের অংশীদারত্বের একটি বড় চিহ্ন। যা বিভিন্ন পরিবর্তন, পেশাগত চ্যালেঞ্জ এবং বিভিন্ন উত্থান-পতন থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক টিকে আছে। আমাদের এই সম্পর্ক টিকে আছে দুই দেশের সংবেদনশীলতা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধায়।

তিনি বলেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে, যা সম্ভব হয়েছে ৫৩ বছর আগে করা আমাদের ত্যাগের কারণে। ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ এবং ভারত অনেক দূর এগিয়েছে, উন্নতি করেছে দ্রুতগতির সাথে। দ্রুতগতির অর্থনীতি, ধারাবাহিক উন্নতি, মানুষের উন্নত ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষার উন্নয়ন দুই দেশের মধ্যে নতুন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। যা আজ আমাদের বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একে অপরের উন্নয়নের পরিপূরক।

প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, আমাদের সুসম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস যেখানে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি পরস্পরের সাথে জড়িত। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশের সাথে শান্তিপূর্ণ, গঠনমূলক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি, এর ভিত্তি ছিল সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক বোঝাপড়া। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের দুই দেশের জনগণ প্রধান অংশীদার এবং যে সম্পর্ক আমরা তৈরি করেছি, তার প্রধান উদ্দেশ্য দুই দেশের জনগণের উন্নয়ন। এতে দুই দেশের জনগণই উপকৃত। দুই দেশের বর্ডার ট্রান্সপোর্ট, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঞ্চালন, আমাদের অর্থনৈতিক সংযোগ, এগুলো সবই মূলত আমাদের জনগণের সমৃদ্ধি তৈরি করে এবং তাদের কল্যাণে অবদান রাখে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের সমাজ গভীরভাবে সংযুক্ত। আমরা কেউ এককভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবো না। আমরা আমাদের ভৌগোলিক ঘনিষ্ঠতাকে আমাদের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা এবং নতুন উচ্চাকাঙ্ক্ষা দ্বারা চালিত নতুন সুযোগে রূপান্তর করতে চাই। এটা সত্য যে বাংলাদেশে অশান্ত পরিবর্তন সত্ত্বেও, আমাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক, আমাদের পরিবহন ও জ্বালানি সহযোগিতা, আমাদের জনগণের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা ইতিবাচক গতি বজায় রেখেছে। যা প্রমাণ করে আমাদের সম্পর্ক সত্যিই স্থিতিশীল। এটি আরও দেখায় যে নির্বিশেষে আমাদের চারপাশে যা পরিবর্তন হচ্ছে তা আমাদের পারস্পরিক নির্ভরতার বাস্তবতা এবং পারস্পরিক সুবিধা আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকবে।

বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন পাহাড়ীর (বীর প্রতীক) সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাবেক পরিচালক মনিরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদ চৌধুরী, বাচিকশিল্পী টিটু মুনশী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারতের জাতীয় সঙ্গীতসহ বিভিন্ন রণসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

এ দিকে মৈত্রী দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে একে অপরের গভীর স্বার্থ জড়িত বলে মন্তব্য মন্তব্য করেন।

প্রণয় ভার্মা বলেন, উভয় দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে একে অপরের গভীর স্বার্থ জড়িত রয়েছে এবং এই সম্পর্কের ভিত্তি হলো মানুষ। ৬ ডিসেম্বর দিনটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি মাইলফলক ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস।

ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও যুবসমাজ। এছাড়াও কয়েকটি বিদেশি মিশনের প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের সদস্য এবং শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

back to top