তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে না পারায় ‘জনগণের আস্থা ধ্বংস হয়েছে’ বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাই কোর্ট। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিক বাতিলের রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এর ফলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয় ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে। এই নির্বাচনগুলোতে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল অংশ নেয়নি বা কারচুপির অভিযোগ তোলে। দশম ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিরোধীদের বর্জনের কারণে অনেক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও ভোটের আগের রাতেই কারচুপির অভিযোগ ওঠে।
রায়ে হাই কোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনীর পাঁচটি অনুচ্ছেদ অবৈধ ঘোষণা করেছে। এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তনের পথ খুলে যায়। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভাবে জনগণের আস্থা হারিয়ে গণআন্দোলনের জন্ম হয়েছে এবং বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বা শারীরিক ক্ষতির শিকার হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ উল্লেখ করে আদালত বলেছে, এই ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্র নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত সংবিধানের ৭(ক) ও ৭(খ) অনুচ্ছেদকে ‘অস্পষ্ট’ এবং ‘ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিপন্থী’ উল্লেখ করে তা বাতিল করা হয়েছে।
এই রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে না পারায় ‘জনগণের আস্থা ধ্বংস হয়েছে’ বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাই কোর্ট। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিক বাতিলের রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এর ফলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয় ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে। এই নির্বাচনগুলোতে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল অংশ নেয়নি বা কারচুপির অভিযোগ তোলে। দশম ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিরোধীদের বর্জনের কারণে অনেক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও ভোটের আগের রাতেই কারচুপির অভিযোগ ওঠে।
রায়ে হাই কোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনীর পাঁচটি অনুচ্ছেদ অবৈধ ঘোষণা করেছে। এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তনের পথ খুলে যায়। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভাবে জনগণের আস্থা হারিয়ে গণআন্দোলনের জন্ম হয়েছে এবং বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বা শারীরিক ক্ষতির শিকার হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ উল্লেখ করে আদালত বলেছে, এই ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্র নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত সংবিধানের ৭(ক) ও ৭(খ) অনুচ্ছেদকে ‘অস্পষ্ট’ এবং ‘ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিপন্থী’ উল্লেখ করে তা বাতিল করা হয়েছে।
এই রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।