যে কোনো সময় জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ‘যেভাবে নির্বাচন করলে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, সেসব পদক্ষেপ কমিশন গ্রহণ করবে।’ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন ও বৈষম্যহীন দেশের জন্য আন্দোলন করেছেন সবাই। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে ইসি।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং (ইভিএম) ব্যবহার না করে, ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। সিইসি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে আপাতত কোনো প্রস্তুতি নেই, জাতীয় নির্বাচন নিয়েই কমিশন কাজ করছে। সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এই বিষয়ে কমিশন কোনো মন্তব্য করবে না।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় নির্বাচনের জন্য বর্তমান কমিশন প্রথম দিন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময়সীমার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।’
সীমানা পুননির্ধারণ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘ন্যায্যতার ভিত্তিতে সীমানা পুননির্ধারণ করা হবে। অতীতে যদি কোনো প্রার্থীকে সুবিধা দিতে বা বঞ্চিত করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।’ সুষ্ঠু ও ন্যায্য পদ্ধতিতেই কাজটি সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।
ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যমান ভোটার তালিকায় অনেক অসংগতি রয়েছে। দু’মাসের মধ্যে সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা হবে। নতুন তালিকা তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া, অনুপস্থিত বা বিদেশে থাকা ভোটারদের তথ্য যাচাই এবং ডুপ্লিকেট ভোটার শনাক্ত করে তালিকা সংশোধনের কাজ করা হবে।’
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা একটা সময়সীমা ঘোষণা করেছেন। সে অনুযায়ী আমরা এগোব। আমরা পাবলিকলি কোনো রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা করছি না। তবে কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা তো থাকবেই।’
সোমবার সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ‘সংস্কার ও ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে প্রণয়ন সাপেক্ষে ২০২৫ সালের শেষদিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।’
ওইদিনই নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ বলেছেন, ‘২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।’
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
যে কোনো সময় জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ‘যেভাবে নির্বাচন করলে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, সেসব পদক্ষেপ কমিশন গ্রহণ করবে।’ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন ও বৈষম্যহীন দেশের জন্য আন্দোলন করেছেন সবাই। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে ইসি।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং (ইভিএম) ব্যবহার না করে, ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। সিইসি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে আপাতত কোনো প্রস্তুতি নেই, জাতীয় নির্বাচন নিয়েই কমিশন কাজ করছে। সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এই বিষয়ে কমিশন কোনো মন্তব্য করবে না।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় নির্বাচনের জন্য বর্তমান কমিশন প্রথম দিন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময়সীমার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।’
সীমানা পুননির্ধারণ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘ন্যায্যতার ভিত্তিতে সীমানা পুননির্ধারণ করা হবে। অতীতে যদি কোনো প্রার্থীকে সুবিধা দিতে বা বঞ্চিত করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।’ সুষ্ঠু ও ন্যায্য পদ্ধতিতেই কাজটি সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।
ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যমান ভোটার তালিকায় অনেক অসংগতি রয়েছে। দু’মাসের মধ্যে সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা হবে। নতুন তালিকা তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া, অনুপস্থিত বা বিদেশে থাকা ভোটারদের তথ্য যাচাই এবং ডুপ্লিকেট ভোটার শনাক্ত করে তালিকা সংশোধনের কাজ করা হবে।’
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা একটা সময়সীমা ঘোষণা করেছেন। সে অনুযায়ী আমরা এগোব। আমরা পাবলিকলি কোনো রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা করছি না। তবে কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা তো থাকবেই।’
সোমবার সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ‘সংস্কার ও ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে প্রণয়ন সাপেক্ষে ২০২৫ সালের শেষদিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।’
ওইদিনই নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ বলেছেন, ‘২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।’