মূল্যস্ফীতি আগে আট বা নয়ে আটকে রাখা হলেও এখন কোনো ‘কারচুপি নাই’ বলেই মূল্যস্ফীতি বেশি দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “বিবিএসকে বলা হয়েছে, তথ্য যা আছে তাই প্রকাশ যেন হয়। এখানে কারচুপির কোন ব্যাপার নেই।”
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ এর ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
বিগত ১৫ বছরের ‘তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখী’ হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “টের পাচ্ছি...কিসের মধ্য দিয়ে গত ১৫ বছর।”
“মূল্যস্ফীতি, জিপিডি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভূল রয়েছে আবার নীতি নির্ধারাকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন।”
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হলেও সুফল মিলছে না নিত্যপণ্যের বাজারে; চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি নভেম্বরে আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের মাসেও এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
তার মানে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা এ বছরের নভেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা।
‘তথ্য বিভ্রাট’ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা কোন পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
“আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করে, তারা বোঝাতে চান আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।”
ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারের অবস্থাও একই রকম থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই চেয়ারম্যানকে রিমুভ কর বলে মিছিল হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে অনড় থাকতে বলছি।
“আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোন অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। ন্যূনতম কোন মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে।”
সালেহউদ্দিন বলেন, “আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে। আমি মনে করি এটা প্রচার করা দরকার।”
ব্যাংকিং অ্যালমানাক এর চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপিটি গভর্নর নুরুন নাহার।
বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, বাংকিং অ্যালমানাক এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দার রহমান প্রমুখ।
অর্থ সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, “আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা চাই। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়৷ আমরা ইত্যোমধ্যে বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন এনেছি।”
সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘শিক্ষাবিচিত্রা’ ২০১৬ সাল থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বার্ষিক তথ্য নিয়ে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ নামের এ প্রকাশনা প্রকাশ করে আসছে।
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
মূল্যস্ফীতি আগে আট বা নয়ে আটকে রাখা হলেও এখন কোনো ‘কারচুপি নাই’ বলেই মূল্যস্ফীতি বেশি দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “বিবিএসকে বলা হয়েছে, তথ্য যা আছে তাই প্রকাশ যেন হয়। এখানে কারচুপির কোন ব্যাপার নেই।”
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ এর ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
বিগত ১৫ বছরের ‘তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখী’ হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “টের পাচ্ছি...কিসের মধ্য দিয়ে গত ১৫ বছর।”
“মূল্যস্ফীতি, জিপিডি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভূল রয়েছে আবার নীতি নির্ধারাকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন।”
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হলেও সুফল মিলছে না নিত্যপণ্যের বাজারে; চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি নভেম্বরে আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের মাসেও এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
তার মানে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা এ বছরের নভেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা।
‘তথ্য বিভ্রাট’ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা কোন পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
“আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করে, তারা বোঝাতে চান আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।”
ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারের অবস্থাও একই রকম থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই চেয়ারম্যানকে রিমুভ কর বলে মিছিল হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে অনড় থাকতে বলছি।
“আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোন অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। ন্যূনতম কোন মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে।”
সালেহউদ্দিন বলেন, “আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে। আমি মনে করি এটা প্রচার করা দরকার।”
ব্যাংকিং অ্যালমানাক এর চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপিটি গভর্নর নুরুন নাহার।
বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, বাংকিং অ্যালমানাক এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দার রহমান প্রমুখ।
অর্থ সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, “আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা চাই। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়৷ আমরা ইত্যোমধ্যে বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন এনেছি।”
সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘শিক্ষাবিচিত্রা’ ২০১৬ সাল থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বার্ষিক তথ্য নিয়ে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ নামের এ প্রকাশনা প্রকাশ করে আসছে।