বিগত সরকারের সময় পুলিশ দলীয় স্বার্থে বড় ধরনের অপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। বাহিনীপ্রধান বলেছেন, ‘বর্তমানে পুলিশ মনভাঙা অবস্থায় আছে। ভয়-আতঙ্কে তাদের মন ভেঙে গেছে। গণঅভ্যুত্থানে সিনিয়র পুলিশ সদস্যরা জুনিয়রদের হুকুম দিয়ে তাদেরকে অনিরাপদ রেখে পালিয়ে গেছে।’
পুলিশ ফোর্সকে জাগিয়ে তোলা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সময়ে পুলিশ দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অপরাধ করেছে; এ জন্য আমরা লজ্জিত।’
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর শাহজালাল উপ-শহর এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সিলেট বিভাগের সব ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-হুমকি ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কাছে কেউ চাঁদা চাইতে এলে কাউকে চাঁদা দেবেন না, ভয়ও পাবেন না। আমরা সবসময়ই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আছি। ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে সেই পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে সিলেটের সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক। তিনি বলেন, ‘তুরাব হত্যা মামলা নিয়ে পুলিশ কমিশনার গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাবেন। সাংবাদিক তুরাব পেশাগত দায়িত্ব পালনে আমাদেরই গুলিতে মারা গেছেন। তাকে তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। আমাদের ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই।’
সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মামলার ক্ষেত্রে অসাধু ব্যক্তিরা সুবিধা নিয়েছে জানিয়ে বাহারুল আলম বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, নিরীহ যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না। বরং নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, তাদের বের করে তদন্তকারী কর্মকর্তা যেন অভয় দেন, আশ্বস্ত করেন।’
আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের মারধরের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। আদালত অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করবেন।’
পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে মন্তব্য করে বাহারুল বলেন, ‘কমিশনে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় সুপারিশ করেছি। বিশেষ করে বেশির ভাগ পুলিশ সদস্যকে ওভারটাইম কাজ করতে হচ্ছে। এটার জন্য তারা কোনো ভাতা পান না। এই বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি তাদের কর্মম্পৃহা ফিরিয়ে আনতে আমরা তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মতবিনিময় সভায় র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
বিগত সরকারের সময় পুলিশ দলীয় স্বার্থে বড় ধরনের অপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। বাহিনীপ্রধান বলেছেন, ‘বর্তমানে পুলিশ মনভাঙা অবস্থায় আছে। ভয়-আতঙ্কে তাদের মন ভেঙে গেছে। গণঅভ্যুত্থানে সিনিয়র পুলিশ সদস্যরা জুনিয়রদের হুকুম দিয়ে তাদেরকে অনিরাপদ রেখে পালিয়ে গেছে।’
পুলিশ ফোর্সকে জাগিয়ে তোলা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সময়ে পুলিশ দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অপরাধ করেছে; এ জন্য আমরা লজ্জিত।’
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর শাহজালাল উপ-শহর এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সিলেট বিভাগের সব ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-হুমকি ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কাছে কেউ চাঁদা চাইতে এলে কাউকে চাঁদা দেবেন না, ভয়ও পাবেন না। আমরা সবসময়ই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আছি। ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে সেই পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে সিলেটের সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক। তিনি বলেন, ‘তুরাব হত্যা মামলা নিয়ে পুলিশ কমিশনার গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাবেন। সাংবাদিক তুরাব পেশাগত দায়িত্ব পালনে আমাদেরই গুলিতে মারা গেছেন। তাকে তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। আমাদের ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই।’
সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মামলার ক্ষেত্রে অসাধু ব্যক্তিরা সুবিধা নিয়েছে জানিয়ে বাহারুল আলম বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, নিরীহ যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না। বরং নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, তাদের বের করে তদন্তকারী কর্মকর্তা যেন অভয় দেন, আশ্বস্ত করেন।’
আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের মারধরের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। আদালত অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করবেন।’
পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে মন্তব্য করে বাহারুল বলেন, ‘কমিশনে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় সুপারিশ করেছি। বিশেষ করে বেশির ভাগ পুলিশ সদস্যকে ওভারটাইম কাজ করতে হচ্ছে। এটার জন্য তারা কোনো ভাতা পান না। এই বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি তাদের কর্মম্পৃহা ফিরিয়ে আনতে আমরা তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মতবিনিময় সভায় র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।