চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আল-বাখেরায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৈা-পুলিশ। মুমূর্ষ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজন। তাদের সবার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট ফেরিঘাটের কাছাকাছি হাইমচরের মাঝেরচর চর মনিপুর এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, সোমবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল ইসলাম। নিহত অন্য একজনের পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া আহত জাহাজের আরও এক সুকানি জুয়েল। হতাহতদের বাড়ি নড়াইল জেলায়।
জাহাজ মালিক দিপলু রানা বলেছেন, কর্মীদের সঙ্গে গত ২২ ডিসেম্বর রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কথা হয় তার। সকালে কেউ ফোন ধরেননি। এ নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন।
মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের অন্য জাহাজ মুগনি-৩ এর মাস্টার বাচ্চু মিয়া ও গ্রিজার মো. মাসুদ জানান, সার বহনকারী আল বাখেরাহ রবিবার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পরে কোম্পানির মালিক শিপন, বাখেরাহ জাহাজে ফোন করে কাউকে পায়নি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় মুগনি জাহাজ থেকে যোগাযোগ করার জন্য বলেন তিনি। ওই সময় মুগনি জাহাজটি মাওয়া থেকে ঘটনাস্থল পার করার সময় বাখেরাহ জাহাজটি দেখতে পায়। তখন তারা জাহাজের লোকদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ কল দেয়।
সেই সূত্র ধরে চাঁদপুর থেকে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোশফিকুর রহমানের উপস্থিতে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ জাহাজটি থেকে প্রথমে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তিনজনকে আহত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনিসুর রহমান বলেন, জুয়েল নামে আহত একজনের গলা ও শ্বাসনালি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা ছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আর উদ্ধার করে আনা সজিবুল ও মাজেদুলকে মৃত অবস্থায়ই আনা হয়। তাদের মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘জাহাজে ডাকাতি করতে বাধা দেয়ায় তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই পাঁচজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আহত একজন হাতের ইশারায় জানিয়েছে তারা আটজন ছিলেন। ঘটনাটি কীভাবে হয়েছে এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। ডাকাতি, কিংবা অন্য কোনো কারণে হতে পারে। তদন্ত করার পরে জানা যাবে। নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলেছি। কারণ এই রুটে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। যাতে করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়।’
এর আগেও চাঁদপুর ঈদগাহ ফেরিঘাট সংলগ্ন আলু বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি নৌ-পুলিশ।
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আল-বাখেরায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৈা-পুলিশ। মুমূর্ষ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজন। তাদের সবার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট ফেরিঘাটের কাছাকাছি হাইমচরের মাঝেরচর চর মনিপুর এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, সোমবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল ইসলাম। নিহত অন্য একজনের পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া আহত জাহাজের আরও এক সুকানি জুয়েল। হতাহতদের বাড়ি নড়াইল জেলায়।
জাহাজ মালিক দিপলু রানা বলেছেন, কর্মীদের সঙ্গে গত ২২ ডিসেম্বর রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কথা হয় তার। সকালে কেউ ফোন ধরেননি। এ নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন।
মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের অন্য জাহাজ মুগনি-৩ এর মাস্টার বাচ্চু মিয়া ও গ্রিজার মো. মাসুদ জানান, সার বহনকারী আল বাখেরাহ রবিবার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পরে কোম্পানির মালিক শিপন, বাখেরাহ জাহাজে ফোন করে কাউকে পায়নি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় মুগনি জাহাজ থেকে যোগাযোগ করার জন্য বলেন তিনি। ওই সময় মুগনি জাহাজটি মাওয়া থেকে ঘটনাস্থল পার করার সময় বাখেরাহ জাহাজটি দেখতে পায়। তখন তারা জাহাজের লোকদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ কল দেয়।
সেই সূত্র ধরে চাঁদপুর থেকে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোশফিকুর রহমানের উপস্থিতে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ জাহাজটি থেকে প্রথমে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তিনজনকে আহত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনিসুর রহমান বলেন, জুয়েল নামে আহত একজনের গলা ও শ্বাসনালি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা ছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আর উদ্ধার করে আনা সজিবুল ও মাজেদুলকে মৃত অবস্থায়ই আনা হয়। তাদের মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘জাহাজে ডাকাতি করতে বাধা দেয়ায় তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই পাঁচজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আহত একজন হাতের ইশারায় জানিয়েছে তারা আটজন ছিলেন। ঘটনাটি কীভাবে হয়েছে এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। ডাকাতি, কিংবা অন্য কোনো কারণে হতে পারে। তদন্ত করার পরে জানা যাবে। নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলেছি। কারণ এই রুটে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। যাতে করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়।’
এর আগেও চাঁদপুর ঈদগাহ ফেরিঘাট সংলগ্ন আলু বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি নৌ-পুলিশ।