রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে তিন কিলোমিটার ‘নিরব এলাকা’ ঘোষণার পর শব্দদূষণ খুব একটা কমেনি, বরং দু’টি স্থানে তা আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। ওই এলাকার চারটি স্থানে এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে শব্দের মাত্রা এখনও স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ২২ থেকে ২৮ শতাংশ বেশি।
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে চারটি স্থানের মধ্যে দুইটি স্থানে আগের তুলনায় শব্দ বেড়েছে আর দুইটি স্থানে আগের তুলনায় সমান্য কমেছে। তবে তা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
শব্দদূষণ থেকে বাঁচতে সম্প্রতি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়; বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিআরটিএ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ডিএমপি এর সহযোগিতায় গত ১ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দেড় কিলোমিটার উত্তর থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ পর্যন্ত মোট ৩ কিলোমিটার এলাকাকে ‘নিরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে।
সম্প্রতি বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর ১০ সদস্যের একটি গবেষণা দল বিমানবন্দরের চারটি স্থানে ১৫ দিনে প্রায় ৫ হাজার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেন সেসব এলাকায় সহনীয় পর্যায়ে শব্দের মাত্রা আসেনি। জরিপটি প্রথম ধাপে ২৬ অক্টেবর থেকে ১০ দিন ও দ্বিতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর থেকে ৫ দিন করা হয়।
তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, ‘নিরব এলাকা’ ঘোষণার আগে বিমানবন্দরের মূল প্রবেশপথে গড় শব্দমাত্রা ছিল ৮৯ দশমিক ১৯ ডেসিবল, আর পরে তা বেড়ে হয়েছে ৮৯ দশমিক ৬৮ ডেসিবল। বাণিজ্যিক এলাকার হিসেব ধরে যা স্বাভাবিকমাত্রার চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি।
অভ্যন্তরীণ বিমানচলাচল প্রবেশপথের অবস্থাও তাই। আগে শব্দের মাত্রা ছিল ৮৩ দশমিক ৭১ ডেসিবল। অক্টোবরের পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ দশমিক ২০ ডেসিবল, যা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ২৩ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি।
লা মেরিডিয়েন হোটেলের সামনে শব্দদূষণ আগের চেয়ে সামান্য কমেছে। অক্টোবরের আগে সেখানে শব্দমাত্রা ছিল ৯২ দশমিক ০৩ ডেসিবল। আর ‘নিরব এলাকা’ ঘোষণার পর তা কমে হয়েছে ৮৭ দশমিক ৯২ ডেসিবল। যা এখন স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
উত্তরায় স্কলাস্টিকা স্কুলের সামনে শব্দমাত্রা ৮৬ দশমিক ৩২ ডেসিবল থেকে কিছুটা কমে ৮৫ দশমিক ৪২ ডেসিবল হয়েছে। তবে এতাও স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি।
দেশে পরিবেশ আইনুযায়ী আবাসিক এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ শব্দমাত্রা ৫৫ ডেসিবেল এবং রাতের ৪৫ ডেসিবেল, বাণিজ্যিক এলাকায় দিনের ৭০ ডেসিবেল এবং শিল্প এলাকায় দিনের ৭৫ ডেসিবেল নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুযায়ী, আবাসিক এলাকায় শব্দের আদর্শ মান দিনের ৫৫ ডেসিবেল এবং রাতে ৪০ ডেসিবেল।
পরিবেশবিজ্ঞানীরা জানান, বিমানবন্দর এলাকায় এখনও শব্দের মাত্রা স্বাভাবিক গ্রহণ মাত্রার চেয়ে বেশি। এলাকাগুলোকে নীরব এলাকা ঘোষণার পরও কোনো উন্নতি হয়নি।
শব্দদূষণ না কমার কারণ:
দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্সের তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। তার অন্যতম প্রধান কারণ শব্দদূষণ। এই দূষণ এখন ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নেই, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তবে, ঘোষিত ‘নিরব এলাকায়’ শব্দদূষণ না কমার কারণ হিসেবে ক্যাপস পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেছে।
প্রথমত; শব্দদূষণ সম্পর্কিত সচেতনতামূলক প্রচারণার অভাব, দ্বিতীয়ত; ‘নিরব এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করার সীমাবদ্ধতা, তৃতীয়ত; ড্রাইভার এবং যাত্রীদের ‘নিরব এলাকা’ সম্পর্কে যথার্থ অবগত না হওয়া, চতুর্ত; এয়ারপোর্টে বাসস্ট্যান্ড, পঞ্চমত; এয়ারপোর্টের মূল গেটের সামনে ইউটার্ন এর কারণে সৃষ্ট যানজটে শব্দদূষণ বেশি হয়।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে সমন্বিত একটি অংশীদারিমূলক কর্মসূচির আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর যে শব্দদূষণের পরিমাপ করে সেখানে দূষণের জন্য গাড়ির হর্ন সবচেয়ে বেশি দায়ী।
সুপারিশ:
এয়ারপোর্ট এলাকাকে শব্দদূষণের ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ক্যাপস সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশমালার প্রস্তাব করে। সেগুলো হল; এয়ারপোর্ট এলাকায় ভিতর ও চারপাশে প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে। ওই এলাকায় এটি যে ‘নিরব এলাকা’ সেজন্য রাস্তাগুলোকে সবুজ বা অন্যকোন রং করে দেয়া যেতে পারে।
বিধিমালার সংজ্ঞা অনুযায়ী চিহ্নিত জোনসমূহে (নিরব, আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প ও মিশ্র) সাইনপোস্ট দিতে হবে। হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধ করা, হর্ন বাজানোর শাস্তি বৃদ্ধি ও চালকদের শব্দ সচেতনতা যাচাই করে লাইসেন্স দেয়া। ‘নিরব এলাকা’ ঘোষণার আগে পর্যাপ্ত গবেষণা এবং প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং চালকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
রাষ্ট্রের সবেচ্চ ব্যাক্তি ছাড়া অন্য কাউকে রাস্তায় সাইরেন বাজানোসহ ভিআইপি প্রটোকল না দেয়া। অনুমতি ব্যতীত সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ করা এবং মাইকের শব্দ সীমিত করা।
ট্রাফিক পুলিশদের কানের সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) যেমন কান এবং শ্রুতি সুরক্ষার জন্য কানের প্লাগ বা ইয়ারম্যাফ ব্যবহার। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা। সড়কের পাশে গাছ লাগিয়ে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করা।
আবাসিক এলাকাগুলোকে বাণিজ্যিক এলাকায় রূপান্তরিত না করা। পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তরের সমন্বয় সাধন করা। শব্দের মাত্রা অনুযায়ী যানবাহনের ছাড়পত্র দেয়া। গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা। পৃথক বাইসাইকেল লাইন চালু করা।
জেনারেটর এবং সবপ্রকার শব্দ সৃষ্টি যন্ত্রপাতির মান মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া। শব্দের মাত্রা হ্রাসের পদক্ষেপ গ্রহণ ব্যতীত শিল্প-কারখানা স্থাপনে ছাড়পত্র না দেয়া। কমিউনিটি ভিত্তিক কমিটি করে শব্দদূষণ সংক্রান্ত আইন ভঙের বিষয়ে তদারকি দায়িত্ব প্রদান করা। শব্দদূষণের ক্ষতি, প্রতিকার ও বিদ্যমান আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে তিন কিলোমিটার ‘নিরব এলাকা’ ঘোষণার পর শব্দদূষণ খুব একটা কমেনি, বরং দু’টি স্থানে তা আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। ওই এলাকার চারটি স্থানে এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে শব্দের মাত্রা এখনও স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ২২ থেকে ২৮ শতাংশ বেশি।
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে চারটি স্থানের মধ্যে দুইটি স্থানে আগের তুলনায় শব্দ বেড়েছে আর দুইটি স্থানে আগের তুলনায় সমান্য কমেছে। তবে তা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
শব্দদূষণ থেকে বাঁচতে সম্প্রতি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়; বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিআরটিএ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ডিএমপি এর সহযোগিতায় গত ১ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দেড় কিলোমিটার উত্তর থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ পর্যন্ত মোট ৩ কিলোমিটার এলাকাকে ‘নিরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে।
সম্প্রতি বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর ১০ সদস্যের একটি গবেষণা দল বিমানবন্দরের চারটি স্থানে ১৫ দিনে প্রায় ৫ হাজার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেন সেসব এলাকায় সহনীয় পর্যায়ে শব্দের মাত্রা আসেনি। জরিপটি প্রথম ধাপে ২৬ অক্টেবর থেকে ১০ দিন ও দ্বিতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর থেকে ৫ দিন করা হয়।
তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, ‘নিরব এলাকা’ ঘোষণার আগে বিমানবন্দরের মূল প্রবেশপথে গড় শব্দমাত্রা ছিল ৮৯ দশমিক ১৯ ডেসিবল, আর পরে তা বেড়ে হয়েছে ৮৯ দশমিক ৬৮ ডেসিবল। বাণিজ্যিক এলাকার হিসেব ধরে যা স্বাভাবিকমাত্রার চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি।
অভ্যন্তরীণ বিমানচলাচল প্রবেশপথের অবস্থাও তাই। আগে শব্দের মাত্রা ছিল ৮৩ দশমিক ৭১ ডেসিবল। অক্টোবরের পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ দশমিক ২০ ডেসিবল, যা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ২৩ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি।
লা মেরিডিয়েন হোটেলের সামনে শব্দদূষণ আগের চেয়ে সামান্য কমেছে। অক্টোবরের আগে সেখানে শব্দমাত্রা ছিল ৯২ দশমিক ০৩ ডেসিবল। আর ‘নিরব এলাকা’ ঘোষণার পর তা কমে হয়েছে ৮৭ দশমিক ৯২ ডেসিবল। যা এখন স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
উত্তরায় স্কলাস্টিকা স্কুলের সামনে শব্দমাত্রা ৮৬ দশমিক ৩২ ডেসিবল থেকে কিছুটা কমে ৮৫ দশমিক ৪২ ডেসিবল হয়েছে। তবে এতাও স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি।
দেশে পরিবেশ আইনুযায়ী আবাসিক এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ শব্দমাত্রা ৫৫ ডেসিবেল এবং রাতের ৪৫ ডেসিবেল, বাণিজ্যিক এলাকায় দিনের ৭০ ডেসিবেল এবং শিল্প এলাকায় দিনের ৭৫ ডেসিবেল নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুযায়ী, আবাসিক এলাকায় শব্দের আদর্শ মান দিনের ৫৫ ডেসিবেল এবং রাতে ৪০ ডেসিবেল।
পরিবেশবিজ্ঞানীরা জানান, বিমানবন্দর এলাকায় এখনও শব্দের মাত্রা স্বাভাবিক গ্রহণ মাত্রার চেয়ে বেশি। এলাকাগুলোকে নীরব এলাকা ঘোষণার পরও কোনো উন্নতি হয়নি।
শব্দদূষণ না কমার কারণ:
দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্সের তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। তার অন্যতম প্রধান কারণ শব্দদূষণ। এই দূষণ এখন ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নেই, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তবে, ঘোষিত ‘নিরব এলাকায়’ শব্দদূষণ না কমার কারণ হিসেবে ক্যাপস পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেছে।
প্রথমত; শব্দদূষণ সম্পর্কিত সচেতনতামূলক প্রচারণার অভাব, দ্বিতীয়ত; ‘নিরব এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করার সীমাবদ্ধতা, তৃতীয়ত; ড্রাইভার এবং যাত্রীদের ‘নিরব এলাকা’ সম্পর্কে যথার্থ অবগত না হওয়া, চতুর্ত; এয়ারপোর্টে বাসস্ট্যান্ড, পঞ্চমত; এয়ারপোর্টের মূল গেটের সামনে ইউটার্ন এর কারণে সৃষ্ট যানজটে শব্দদূষণ বেশি হয়।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে সমন্বিত একটি অংশীদারিমূলক কর্মসূচির আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর যে শব্দদূষণের পরিমাপ করে সেখানে দূষণের জন্য গাড়ির হর্ন সবচেয়ে বেশি দায়ী।
সুপারিশ:
এয়ারপোর্ট এলাকাকে শব্দদূষণের ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ক্যাপস সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশমালার প্রস্তাব করে। সেগুলো হল; এয়ারপোর্ট এলাকায় ভিতর ও চারপাশে প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে। ওই এলাকায় এটি যে ‘নিরব এলাকা’ সেজন্য রাস্তাগুলোকে সবুজ বা অন্যকোন রং করে দেয়া যেতে পারে।
বিধিমালার সংজ্ঞা অনুযায়ী চিহ্নিত জোনসমূহে (নিরব, আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প ও মিশ্র) সাইনপোস্ট দিতে হবে। হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধ করা, হর্ন বাজানোর শাস্তি বৃদ্ধি ও চালকদের শব্দ সচেতনতা যাচাই করে লাইসেন্স দেয়া। ‘নিরব এলাকা’ ঘোষণার আগে পর্যাপ্ত গবেষণা এবং প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং চালকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
রাষ্ট্রের সবেচ্চ ব্যাক্তি ছাড়া অন্য কাউকে রাস্তায় সাইরেন বাজানোসহ ভিআইপি প্রটোকল না দেয়া। অনুমতি ব্যতীত সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ করা এবং মাইকের শব্দ সীমিত করা।
ট্রাফিক পুলিশদের কানের সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) যেমন কান এবং শ্রুতি সুরক্ষার জন্য কানের প্লাগ বা ইয়ারম্যাফ ব্যবহার। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা। সড়কের পাশে গাছ লাগিয়ে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করা।
আবাসিক এলাকাগুলোকে বাণিজ্যিক এলাকায় রূপান্তরিত না করা। পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তরের সমন্বয় সাধন করা। শব্দের মাত্রা অনুযায়ী যানবাহনের ছাড়পত্র দেয়া। গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা। পৃথক বাইসাইকেল লাইন চালু করা।
জেনারেটর এবং সবপ্রকার শব্দ সৃষ্টি যন্ত্রপাতির মান মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া। শব্দের মাত্রা হ্রাসের পদক্ষেপ গ্রহণ ব্যতীত শিল্প-কারখানা স্থাপনে ছাড়পত্র না দেয়া। কমিউনিটি ভিত্তিক কমিটি করে শব্দদূষণ সংক্রান্ত আইন ভঙের বিষয়ে তদারকি দায়িত্ব প্রদান করা। শব্দদূষণের ক্ষতি, প্রতিকার ও বিদ্যমান আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।