গবেষণার তথ্য
নববর্ষ উদযাপনে ৭ বছরে বায়ুদূষণ বেড়েছে ১৯ শতাংশ, শব্দদূষণ ৭৪শতাংশ
ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর কারণে রাজধানী ঢাকায় ২০১৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত গত সাত বছরে বায়ুদূষণ বেড়েছে গড়ে ১৯ শতাংশ। শব্দদূষণ বেড়েছে গড়ে ৭৪ শতাংশ। এই ৭ বছরে সর্বোচ্চ দূষণ হয়েছে ২০১৭-১৮ সালে। দূষণ বেড়েছে ৬৬ শতাংশ, সর্বনিম্ন দূষণ ছিল ২০২২-২৩ সালে ৬ শতাংশ।
এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতসবাজি-ফানুস পোড়ানো বন্ধের সুপারিশ জানিয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নববর্ষে আতশবাজি পোড়ানো-ফানুস ওড়ানোর কারণে সৃষ্ট বায়ু ও শব্দদূষণ নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং আতশবাজি-ফানুসমুক্ত নববর্ষ উদ্যাপনের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় ক্যাপস।
ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও বেসরকারি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাঁরা খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপনের সময় ধরে এ গবেষণার কাজ করেছেন। এ ছাড়া বায়ুদূষণ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের জরিপ ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের তথ্য নিয়ে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।’
আহমেদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘২০১৭ থেকে ২০২৪ এ সময়ের মধ্যে বায়ুমান সূচক কখনোই ভালো অবস্থানে ছিল না। বায়ুমান সূচক ৫০ এর নিচে থাকলে ভালো বায়ু বলা হয়, সেক্ষেত্রে গত ৭ বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০ এর নিচে ছিল না।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গবেষকেরা গত সাত বছর ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের সময়টার ঢাকার বায়ুমান নির্ণয় করেছেন। তারা দেখতে পেয়েছেন, ইংরেজী নববর্ষ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে ঢাকায় এই সাত বছরে সর্বোচ্চ ৬৬ শতাংশ থেকে সর্বনিম্ন ৬ শতাংশ পর্যন্ত বায়ুদূষণ বেড়েছে। এই সময়ে বায়ুদূষণ গড়ে বেড়েছে ১৯ শতাংশ। করোনার সময়ে (২০২১-২২ সাল) মহামারির প্রেক্ষাপটে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস ওড়ানো হয়নি বলে দূষণ কম ছিল।
ক্যাপসের গবেষণা দলের মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফুটানো হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয়েছে রাত ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দ দূষণহার আগের দিনের (৩০ ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশিরভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবলের মধ্যে ছিল। যদি আমরা ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকার সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই মানমাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, শব্দের মাত্রা এত তীব্র যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবল অতিক্রম করে।
হিসাব করে দেখা যায় যে, গত ৭ বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবল অতিক্রম করেছে। যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ সময় আনন্দ উদযাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানায় ক্যাপস।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যের বিশ্রাম ও শান্তি নষ্ট করে—এমন কোনো কিছুই করা যাবে না। এখানে যেভাবে নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়, তা সাংস্কৃতিক হুমকি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে এ ধরনের আয়োজন করা হয়। সরকার সে বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।’
নগর-পরিকল্পনায় উৎসবকে বিবেচনায় রাখা হয় কি না, সে প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ও নগর–পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। তিনি বলেন, ‘নগরে উৎসব হবে, কিন্তু সেই উৎসবের জন্য নগরকে গড়ে তোলা হয়নি। উন্নয়নের যে বয়ান, সেখানেও উৎসব থাকে না।’
আনন্দ উদ্যাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে ক্যাপস। সুপারিশগুলো হলো—দূষণ সৃষ্টিকারী আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; আতশবাজি এবং ফানুসের পরিবর্তে আলোকসজ্জা, প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করা এবং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেতে পারে; গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে; শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; নববর্ষ উদ্যাপনের সময় পশু-পাখি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দূষণ নির্ধারণ এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য গবেষণায় আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
গবেষণার তথ্য
নববর্ষ উদযাপনে ৭ বছরে বায়ুদূষণ বেড়েছে ১৯ শতাংশ, শব্দদূষণ ৭৪শতাংশ
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর কারণে রাজধানী ঢাকায় ২০১৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত গত সাত বছরে বায়ুদূষণ বেড়েছে গড়ে ১৯ শতাংশ। শব্দদূষণ বেড়েছে গড়ে ৭৪ শতাংশ। এই ৭ বছরে সর্বোচ্চ দূষণ হয়েছে ২০১৭-১৮ সালে। দূষণ বেড়েছে ৬৬ শতাংশ, সর্বনিম্ন দূষণ ছিল ২০২২-২৩ সালে ৬ শতাংশ।
এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতসবাজি-ফানুস পোড়ানো বন্ধের সুপারিশ জানিয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নববর্ষে আতশবাজি পোড়ানো-ফানুস ওড়ানোর কারণে সৃষ্ট বায়ু ও শব্দদূষণ নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং আতশবাজি-ফানুসমুক্ত নববর্ষ উদ্যাপনের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় ক্যাপস।
ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও বেসরকারি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাঁরা খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপনের সময় ধরে এ গবেষণার কাজ করেছেন। এ ছাড়া বায়ুদূষণ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের জরিপ ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের তথ্য নিয়ে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।’
আহমেদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘২০১৭ থেকে ২০২৪ এ সময়ের মধ্যে বায়ুমান সূচক কখনোই ভালো অবস্থানে ছিল না। বায়ুমান সূচক ৫০ এর নিচে থাকলে ভালো বায়ু বলা হয়, সেক্ষেত্রে গত ৭ বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০ এর নিচে ছিল না।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গবেষকেরা গত সাত বছর ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের সময়টার ঢাকার বায়ুমান নির্ণয় করেছেন। তারা দেখতে পেয়েছেন, ইংরেজী নববর্ষ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে ঢাকায় এই সাত বছরে সর্বোচ্চ ৬৬ শতাংশ থেকে সর্বনিম্ন ৬ শতাংশ পর্যন্ত বায়ুদূষণ বেড়েছে। এই সময়ে বায়ুদূষণ গড়ে বেড়েছে ১৯ শতাংশ। করোনার সময়ে (২০২১-২২ সাল) মহামারির প্রেক্ষাপটে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস ওড়ানো হয়নি বলে দূষণ কম ছিল।
ক্যাপসের গবেষণা দলের মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফুটানো হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয়েছে রাত ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দ দূষণহার আগের দিনের (৩০ ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশিরভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবলের মধ্যে ছিল। যদি আমরা ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকার সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই মানমাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, শব্দের মাত্রা এত তীব্র যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবল অতিক্রম করে।
হিসাব করে দেখা যায় যে, গত ৭ বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবল অতিক্রম করেছে। যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ সময় আনন্দ উদযাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানায় ক্যাপস।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যের বিশ্রাম ও শান্তি নষ্ট করে—এমন কোনো কিছুই করা যাবে না। এখানে যেভাবে নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়, তা সাংস্কৃতিক হুমকি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে এ ধরনের আয়োজন করা হয়। সরকার সে বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।’
নগর-পরিকল্পনায় উৎসবকে বিবেচনায় রাখা হয় কি না, সে প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ও নগর–পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। তিনি বলেন, ‘নগরে উৎসব হবে, কিন্তু সেই উৎসবের জন্য নগরকে গড়ে তোলা হয়নি। উন্নয়নের যে বয়ান, সেখানেও উৎসব থাকে না।’
আনন্দ উদ্যাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে ক্যাপস। সুপারিশগুলো হলো—দূষণ সৃষ্টিকারী আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; আতশবাজি এবং ফানুসের পরিবর্তে আলোকসজ্জা, প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করা এবং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেতে পারে; গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে; শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; নববর্ষ উদ্যাপনের সময় পশু-পাখি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দূষণ নির্ধারণ এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য গবেষণায় আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।