alt

জাতীয়

সাইফুল হত্যার তদন্তে গ্রেপ্তার–বাণিজ্যের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক উসকানি নিয়ে উদ্বেগ: গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম (আলিফ) হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে অনিয়ম ও গ্রেপ্তার–বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং হরিজন পল্লিতে হামলার ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

আজ রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এই অভিযোগ ও উদ্বেগ তুলে ধরে। “চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড–পরবর্তী পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন: পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তাব” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

সংগঠনটি জানায়, সাইফুল হত্যার ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং প্রায় ২ হাজার ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক অজ্ঞাতনামা আসামি রাখায় গ্রেপ্তার–বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা আসামির মধ্যে যে কেউ পরতে পারে, সুতরাং একটা ব্যাপক হয়রানি শুরু হয়েছে। পুলিশের যে গ্রেপ্তার–বাণিজ্য এবং যারা কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতাধর ব্যক্তি, তারা যেকোনো ব্যক্তিকে এটার জন্য হয়রানি করতে পারে, হুমকি দিতে পারে, টাকা আদায় করতে পারে। এগুলো হাসিনা আমলে চলেছে। বিষয়টি পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘ধর্মীয় পরিচয়ের নামে বৈষম্য তৈরির রাজনীতি ও উসকানিমূলক তৎপরতা সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সাইফুল হত্যাকাণ্ডের দিন হরিজন পল্লির দুটি মন্দির ও আটটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এর দুই দিন পর (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর আরও ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া অভিযোগ করেন, ‘স্থানীয় থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা হরিজন পল্লিতে গিয়ে তাদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, প্রকৃত অপরাধীদের ধরিয়ে দিলে যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন। হিন্দুধর্মাবলম্বী সাধারণ মানুষও গ্রেপ্তার–আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।’

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি জানায়, ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশে ২০–২৫টি সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও ঘাতকদের শনাক্তে এই ফুটেজগুলো ব্যবহার করা হয়নি। সংগঠনটি প্রশ্ন তোলে, কেন এই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উপেক্ষা করা হচ্ছে।

সংগঠনটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছে: আইনজীবী সাইফুল হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, আদালত প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ভাঙচুরের ঘটনার সঠিক তদন্ত, এই ঘটনায় উসকানিদাতাদের খুঁজে বের করা। একই সঙ্গে ঘটনার সময়ে সেবকপল্লিতে ও পাশের আরেকটি হিন্দুপল্লিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করে বিচার নিশ্চিত করারও দাবি করা হয়।

যারা এ পরিস্থিতিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে নিয়ে যেতে চাইছিল, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয় প্রস্তাবে।

প্রস্তাবে বলা হয়, অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বান্ডেল রোডের সেবকপল্লির হরিজনদের হয়রানি ও সেখানে যে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। গণগ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তার–বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজগুলো পরীক্ষা করতে হবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতীত কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।

এ ছাড়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ সব অভিযুক্ত ও আটক ব্যক্তির বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতেরও দাবি করা হয়।

ছবি

২০২৪ সালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার নির্মম চিত্র: আহতদের সংগ্রাম ও পুনর্বাসনের চ্যালেঞ্জ

ছবি

ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা ও স্বার্থের ইস্যু পাশাপাশি চলবে: তৌহিদ

ডেঙ্গু ঃ ২ বছরে আক্রান্ত ৪ লাখ ও মৃত্যু-২২শ

ছবি

শীত জনিত রোগে আক্রান্ত দেড় লাখ ও মৃত্যু- ৫১ জন

ছবি

৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ জনের সচিবালয়ে অবস্থান, অন্তর্ভুক্তির দাবি

ছবি

ইউনূসকে নিয়ে জিনিউজের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ বানোয়াট: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ছবি

পাঠ্যবই ছাপাটা এবার যুদ্ধের মতো, কবে সব দিতে পারবো জানি না : শিক্ষা উপদেষ্টা

ছবি

মে থেকে ফিটনেসবিহীন বাস থাকবে না : বিআরটিএ চেয়ারম্যান

ছবি

বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

গণপিটুনিতে ২০২৪ সালে নিহতের সংখ্যা গত বছরের দ্বিগুণের বেশি: আসক

নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে ক্রেতাদের দগ্ধ হওয়ার বছর

ছবি

নতুন বছরে সাধারণ মানুষের নানা প্রত্যাশা, সমাধান মিলবে কি?

সচিবালয়ে আগুন বিদ্যুতের ‘গোলযোগ’ থেকে : তদন্ত কমিটি

ছবি

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ দিন সময়

ছবি

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী: সিইসি

ছবি

শনিবার খোলা থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বিআরটিএ গ্রাহক

ছবি

চাঙা হচ্ছে পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা

ছবি

আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের ‘কঠোর বার্তা’ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের

ছবি

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মানুষকে বোকা বানানোর অপচেষ্টা: টিআইবি

ছবি

শীতের দাপট বাড়ছে: জানুয়ারিতে একাধিক শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস

ছবি

ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

সীমানা রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দেবে, ‘এক ইঞ্চি মাটি’ হাতছাড়া করবে না

ছবি

থার্টিফার্স্ট : হাই-অ্যালার্টে ফায়ার সার্ভিস, কঠোর নিরাপত্তায় পুলিশ

ছবি

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ আজ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের লিখিত অভিযোগ মাইকেল চাকমার

ছবি

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

সংখ্যালঘুদের ওপর যত হামলা হয়েছে তা রাজনৈতিক কারণে : আ ফ ম খালিদ হোসেন

‘মায়ানমারের জান্তা ও আরাকান আর্মি- দু’পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ’

সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন মেরামতযোগ্য, ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তরগুলো সাময়িক স্থানান্তর

ছবি

ভোলার অব্যবহৃত গ্যাস : আরও ২০ মিলিয়ন ঘনফুট ঢাকায় আনতে চায় ইন্ট্রাকো

ছবি

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ তৈরী করবে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

৩ বছরের প্রকল্প: দুর্যোগে ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিমা

ছবি

৪৩তম বিসিএস: নতুন প্রজ্ঞাপনে ফের বাদ ১৬৮ জন প্রার্থী

ছবি

সচিবালয়ের পোড়া ভবনটি মেরামত করা সম্ভব, ধারণা গণপূর্ত বিভাগের

ছবি

নারায়ণগঞ্জ ও কুষ্টিয়ায় নতুন জেলা প্রশাসক

tab

জাতীয়

সাইফুল হত্যার তদন্তে গ্রেপ্তার–বাণিজ্যের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক উসকানি নিয়ে উদ্বেগ: গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম (আলিফ) হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে অনিয়ম ও গ্রেপ্তার–বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং হরিজন পল্লিতে হামলার ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

আজ রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এই অভিযোগ ও উদ্বেগ তুলে ধরে। “চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড–পরবর্তী পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন: পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তাব” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

সংগঠনটি জানায়, সাইফুল হত্যার ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং প্রায় ২ হাজার ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক অজ্ঞাতনামা আসামি রাখায় গ্রেপ্তার–বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা আসামির মধ্যে যে কেউ পরতে পারে, সুতরাং একটা ব্যাপক হয়রানি শুরু হয়েছে। পুলিশের যে গ্রেপ্তার–বাণিজ্য এবং যারা কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতাধর ব্যক্তি, তারা যেকোনো ব্যক্তিকে এটার জন্য হয়রানি করতে পারে, হুমকি দিতে পারে, টাকা আদায় করতে পারে। এগুলো হাসিনা আমলে চলেছে। বিষয়টি পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘ধর্মীয় পরিচয়ের নামে বৈষম্য তৈরির রাজনীতি ও উসকানিমূলক তৎপরতা সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সাইফুল হত্যাকাণ্ডের দিন হরিজন পল্লির দুটি মন্দির ও আটটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এর দুই দিন পর (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর আরও ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া অভিযোগ করেন, ‘স্থানীয় থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা হরিজন পল্লিতে গিয়ে তাদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, প্রকৃত অপরাধীদের ধরিয়ে দিলে যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন। হিন্দুধর্মাবলম্বী সাধারণ মানুষও গ্রেপ্তার–আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।’

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি জানায়, ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশে ২০–২৫টি সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও ঘাতকদের শনাক্তে এই ফুটেজগুলো ব্যবহার করা হয়নি। সংগঠনটি প্রশ্ন তোলে, কেন এই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উপেক্ষা করা হচ্ছে।

সংগঠনটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছে: আইনজীবী সাইফুল হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, আদালত প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ভাঙচুরের ঘটনার সঠিক তদন্ত, এই ঘটনায় উসকানিদাতাদের খুঁজে বের করা। একই সঙ্গে ঘটনার সময়ে সেবকপল্লিতে ও পাশের আরেকটি হিন্দুপল্লিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করে বিচার নিশ্চিত করারও দাবি করা হয়।

যারা এ পরিস্থিতিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে নিয়ে যেতে চাইছিল, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয় প্রস্তাবে।

প্রস্তাবে বলা হয়, অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বান্ডেল রোডের সেবকপল্লির হরিজনদের হয়রানি ও সেখানে যে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। গণগ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তার–বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজগুলো পরীক্ষা করতে হবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতীত কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।

এ ছাড়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ সব অভিযুক্ত ও আটক ব্যক্তির বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতেরও দাবি করা হয়।

back to top