বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি।
সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর বাংলামোটরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা তিনটায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল লিখিত বক্তব্যে বলেন, “হাজারো শহীদ ও আহত যোদ্ধার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্তায়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক সাড়া সঞ্চারিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার আহ্বানে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই সময়োপযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।
তিনি আরও জানান, “জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আজকের কর্মসূচিতে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা এবং দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।”
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এককভাবে কারও সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের আয়োজন করতে পারে না। এ ছাড়া এই মুহূর্তে এ ধরনের ঘোষণাপত্র দেওয়ার বাস্তবতা রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও রয়েছে।
অন্যদিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, হঠাৎ বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা দুরভিসন্ধিমূলক। একটি বিশেষ গোষ্ঠী ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করার লক্ষ্যে এ ধরনের হঠকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ঘোষণাপত্র পাঠের পেছনে একাত্তরের পরাজিত শক্তির ইন্ধন রয়েছে। তারা একাত্তরের ইতিহাস ভুলিয়ে দিয়ে রাজনীতি করতে চায়।
অন্যদিকে, বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে, এই উদ্যোগ ইতিহাসকে বিকৃত করে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা।
বামপন্থী ছাত্রসংগঠন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী গতকাল রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র কর্মসূচি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর সম্পত্তি বানানোর অপচেষ্টা। জুলাই অভ্যুত্থানকে দলীয় স্বার্থে বন্দী করা কেবল ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা নয়, বরং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ভবিষ্যৎকেও বিপন্ন করে।’
গতকাল রাতে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে যে, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রক্রিয়া জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “সরকারের এই উদ্যোগ দেশের গণতন্ত্র ও ঐক্যের পক্ষে ইতিবাচক।”
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক টিমের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা অংশ নেবেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে দলীয় ব্যানার ছাড়া উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মসূচি ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে।
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি।
সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর বাংলামোটরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা তিনটায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল লিখিত বক্তব্যে বলেন, “হাজারো শহীদ ও আহত যোদ্ধার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্তায়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক সাড়া সঞ্চারিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার আহ্বানে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই সময়োপযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।
তিনি আরও জানান, “জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আজকের কর্মসূচিতে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা এবং দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।”
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এককভাবে কারও সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের আয়োজন করতে পারে না। এ ছাড়া এই মুহূর্তে এ ধরনের ঘোষণাপত্র দেওয়ার বাস্তবতা রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও রয়েছে।
অন্যদিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, হঠাৎ বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা দুরভিসন্ধিমূলক। একটি বিশেষ গোষ্ঠী ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করার লক্ষ্যে এ ধরনের হঠকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ঘোষণাপত্র পাঠের পেছনে একাত্তরের পরাজিত শক্তির ইন্ধন রয়েছে। তারা একাত্তরের ইতিহাস ভুলিয়ে দিয়ে রাজনীতি করতে চায়।
অন্যদিকে, বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে, এই উদ্যোগ ইতিহাসকে বিকৃত করে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা।
বামপন্থী ছাত্রসংগঠন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী গতকাল রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র কর্মসূচি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর সম্পত্তি বানানোর অপচেষ্টা। জুলাই অভ্যুত্থানকে দলীয় স্বার্থে বন্দী করা কেবল ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা নয়, বরং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ভবিষ্যৎকেও বিপন্ন করে।’
গতকাল রাতে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে যে, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রক্রিয়া জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “সরকারের এই উদ্যোগ দেশের গণতন্ত্র ও ঐক্যের পক্ষে ইতিবাচক।”
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক টিমের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা অংশ নেবেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে দলীয় ব্যানার ছাড়া উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মসূচি ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে।