নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্যদিয়ে বিদায় নিলো ২০২৪ সাল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে দেশে নতুন সামাজিক- রাজনৈতিক বাস্তবতায় আজ থেকে শুরু হলো নতুন বছর ২০২৫ সালের যাত্রা। নতুন সামাজিক রাজনৈতিক অবস্থায় নতুন বছর এসে নতুন প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষে মধ্যে।
আজ থেকে শুরু হওয়া নতুন বছরে কি প্রত্যাশা করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ- এ নিয়ে সংবাদ কথা বলেছে বিভিন্ন পেশার কয়েকজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তাদের প্রত্যাশার কথাই এখানে তুলে ধরা হলো।
নতুন বছরেই বা কি আশা করে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গৃহকর্মী ফিরোজা বেগম সংবাদকে জানান, ‘পুরান বছরটা তো গেল খালি অস্থিরতা আর দুশ্চিন্তায়। মারামারি কাটাকাটির মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে টেনশন গেল। বছরভর জিনিস পত্রের দাম খালি বাড়লই। আমাদের আয়ের চেয়ে খরচ এত বেশি হলো যে কিছু জমানো দূরে থাক, আরও জমা পুঁজি ভেঙে খেতে হলো। হাতের জমানো টাকাও এখন প্রায় শেষ, সামনের বছরে বাচ্চাদের স্কুলের ভর্তিতে একটা বড় খরচের ধাক্কা আসছে। সামনের দিনগুলোতেও যদি খরচ এমন বাড়তেই থাকে তাহলে তো জীবন টানাই কষ্ট হয়ে যাবে।’ তিনি আশা করেন সামনের বছরে যেন জিনিস পত্রের দাম কমায় সরকার।
পুরানা পল্টনে মুদিখানার দোকান চালান মো. সবুজ হোসেন ক্ষুদ্র একজন উদ্যোক্তা। নানা অনিশ্চয়তার দোলাচলে ২০২৪ সাল কেটেছে তার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে দীর্ঘদিন সংকটে ছিলেন তিনি। তবে বতর্মান অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আগামী ২০২৫ সালে তিনি ভালো কিছু আশা করছেন।
তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বছরের মাঝামাঝি সময়েই আন্দোলন শুরু হয়। এরপর থেকে এমনও দিন গেছে সপ্তাহে দুই, তিনদিন দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এসব সময়ে বেচাকেনা হয়নি বললেই চলে। বছরে যে পরিমাণ ব্যবসা করার ইচ্ছা ছিল তা করতে পারিনি। বর্তমানে অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এই সরকারের কাছে আমরা ভালো কিছু আশা করছি। আমরা আর কোনো অনিশ্চয়তা চাই না। আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
দেশে এতদিন অনেক চাঁদাবাজী হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন সংবাদকে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা চাঁদাবাজী বন্ধ করতে সরকার কঠোর হবে। বাজারে এবং পরিবহনের চাঁদাবাজীর কারনে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে যায়। নতুন বছরে আমরা চাঁদাবাজী থেকে রক্ষা পেতে চাই।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি আমাদের কাছে আরও বেশি ট্যাক্স নিতে চায় তা-ও আমরা দিতে রাজি কিন্তু দলের চামচাদের চাঁদা দিতে পারব না। গত ১৫ বছর চাঁদা দিতে দিতে আমরা ক্লান্ত। সরকারের কাছে আমার প্রত্যাশা, সরকার যেন এমন একটা সিস্টেম চালু করে যাতে সব চাঁদাবাজদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া যায়।’
মিজান মিয়া একজন সাধারণ পিঠা বিক্রেতা। পেশায় গরিব শ্রমজীবি হলেও আগামী বছরে সুখের স্বপ্ন দেখছেন। আগামী বছরের তার প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, দিন আসে দিন যায়, আমাদের গরিব মানুষের জীবনে শান্তি আসেনা। এবার দেশের সবকিচু পাল্টে গেছে। তাই আগামী বছরে আমার বড় চাওয়া: জিনিসপত্রে দাম কমানো হোক। সারাদিনে যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। আগামী বছর এ অবস্থা থেকে রক্ষা পতে চাই।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথাও বলেন মিজান। তার মতে রাস্তাঘাটে চলতে-ফিরতে ভয় লাগে, কখন কে এসে সব ছিনতাই করে নিয়ে যায় বোঝা যায় না। আমার এলাকার আশপাশের অনেকেরই এমন অবস্থা। চুরি-ডাকাতিও বেড়েছে। আগামী বছর আমরা এ অবস্থা যেন না থাকে। চাই, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হোক। একই সঙ্গে পথে-ঘাটে চাঁদাবাজীও যেন বন্ধ করে সরকার- এটাও আমার চাওয়া।
অনেক কষ্টে কাটছে দিন- এমন মন্তব্য করে ঔষদের দোকানের কর্মী শাহ আলম নুতন বছর ২০২৫ সালে যেন সে কষ্ট থেকে মুক্তি পান সে প্রত্যাশার কথাই জানালেন। তিনি বলেন, সারাদিনই অনেকটা টেনশনে থাকি, এই বুঝি জিনিসপত্রের দাম আবার বেড়ে গেলো- সে চিন্তায়। আগামী বছর দেশের অর্থনৈতিক বিষয়ে অনেক অনিয়ম ও অনাচার কমবে- এমন প্রত্যাশা করেন শাহ আলম। আর তা হলে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি আসবে বলে মনে করেন তিনি।
শাহ আলম বলেন, জনপ্রতিনিধিরা নেই বলে স্থানীয় সরকারের অনেক উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে আছে। সড়ক পথ ঠিকমতো মেরামত হচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ ঠিক মতো কাজ করছে না বলে নিয়ম মানা হচ্ছে না সড়কে যানবাহন চলাচলে । ফলে প্রতিদিনই যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘণ্টা। এটা কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে সবাই গভীরভাবে ভাববে- এমনটা চান শাহ আলম।
ঢাকার উত্তরার ষোলহাটি এলাকায় বাস করেন অটোরিক্সাচলক মো. বাবু। স্বমী স্ত্রী মিলে এক রুমের ভাড়া বাসায় থাকেন। গত ২০২৪ সালে আয় রোজগার মন্দ ছিলও না বলে দাবি তার। তবে আসছে বছর কেমন যাবে তা নিয়ে চিন্তিত।
মো. বাবু সংবাদকে বলেন, ‘এখন আর আগের মতো চাদা দিতে হয় না, তাই রোজগার এখন একটু ভালোই হচ্ছে।’ দ্রব্যমূল্য নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রোজগার ভালো হইলে কি হবে, জিনিস পত্রের যেই দাম। রিক্সার জমা, বাজার খরচ আর ঘর ভাড়া দিয়ে হাতে কিছুই থাকে না।’ আগামী বছর এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বলে আশা তার।
গাজীপুরের গৃহিণী মাহমুদা সুলতানা আশা করে বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে আগামী দিনগুলো ভালোই কাটবে মনে হয়।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিগত দিনে দ্রব্যমূল্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম অরাজকতা হয়েছে।’
দুই ছেলের মা মাহমুদা জানান, তার ছোট ছেলে ২০২৪ এ এইচএসসি পাশ করেছে, কিন্তু কতটুকু শিখতে পেরেছে, জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আগামী দিনে ভালো কিছুর প্রত্যাশা তার। শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন কিছু হবে বলে আশা করছেন তিনি।
রিক্সাচালক আনিছুর রহমান সংবাদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আগের মত আয়-রোজগার নাই, জিনিসপত্রের দাম, আর বাসাভাড়া দিয়ে সংসার চালাতে পারছি না। ভাবছি গ্রামের বাড়িতে চলে যাবো। জমি চাষকরে যা পাবো তাই দিয়ে সংসার চালাতে চেষ্টা করবো।
আগামী বছর নতুন সরকার অনেক ভালো কাজ করবেÑ এমন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, যদি অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয় তবে আবার ঢাকায় চলে আসবো। সরকার যেভাবে দেশ চালাচ্ছে তাতে ভালো কিছু হবে মনে হয়। এসে সাধারণ মানুষের জীবনে আগামী বছর অনেক স্বস্তি এনে দেবে বলে মনে করি। সেই আশা নিয়ে আছি। তবে অনেক ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর হতে হবে।
মো. মোহন মোল্লা পেশায় গাড়িচালক, একটি কোম্পানির গাড়ি চালান। তার কাছে নতুন বছরে প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সামনে একটা সুষ্ঠ নির্বাচন হবেÑ এমন প্রত্যাশা আমার। এখন ওয়ার্ড পর্যায়ে কোনো কমিশনার নাই, থানা পর্যায়ে চেয়ারম্যান নাই। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কাজ অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন অগোছালো আছে, অস্থিরতায় আছে। এলাকায় এলাকায় প্রায়ই মারামারি, ডাকাতি, ছিনতাই চলছে। নির্বাচিত সরকার হলে এসব সমস্যা সমাধানে কঠোর হতে পারবে।
তিনি বলেন, চাল-তেল-ডালের দাম বাড়তির দিকে, গরিব মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর। বাজারের জিনিসপত্রের দাম আগামী বছর কমানোর জন্য আগামী বছর কঠোর হবেÑ এটাই আমরা চাই।
বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫
নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্যদিয়ে বিদায় নিলো ২০২৪ সাল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে দেশে নতুন সামাজিক- রাজনৈতিক বাস্তবতায় আজ থেকে শুরু হলো নতুন বছর ২০২৫ সালের যাত্রা। নতুন সামাজিক রাজনৈতিক অবস্থায় নতুন বছর এসে নতুন প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষে মধ্যে।
আজ থেকে শুরু হওয়া নতুন বছরে কি প্রত্যাশা করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ- এ নিয়ে সংবাদ কথা বলেছে বিভিন্ন পেশার কয়েকজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তাদের প্রত্যাশার কথাই এখানে তুলে ধরা হলো।
নতুন বছরেই বা কি আশা করে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গৃহকর্মী ফিরোজা বেগম সংবাদকে জানান, ‘পুরান বছরটা তো গেল খালি অস্থিরতা আর দুশ্চিন্তায়। মারামারি কাটাকাটির মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে টেনশন গেল। বছরভর জিনিস পত্রের দাম খালি বাড়লই। আমাদের আয়ের চেয়ে খরচ এত বেশি হলো যে কিছু জমানো দূরে থাক, আরও জমা পুঁজি ভেঙে খেতে হলো। হাতের জমানো টাকাও এখন প্রায় শেষ, সামনের বছরে বাচ্চাদের স্কুলের ভর্তিতে একটা বড় খরচের ধাক্কা আসছে। সামনের দিনগুলোতেও যদি খরচ এমন বাড়তেই থাকে তাহলে তো জীবন টানাই কষ্ট হয়ে যাবে।’ তিনি আশা করেন সামনের বছরে যেন জিনিস পত্রের দাম কমায় সরকার।
পুরানা পল্টনে মুদিখানার দোকান চালান মো. সবুজ হোসেন ক্ষুদ্র একজন উদ্যোক্তা। নানা অনিশ্চয়তার দোলাচলে ২০২৪ সাল কেটেছে তার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে দীর্ঘদিন সংকটে ছিলেন তিনি। তবে বতর্মান অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আগামী ২০২৫ সালে তিনি ভালো কিছু আশা করছেন।
তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বছরের মাঝামাঝি সময়েই আন্দোলন শুরু হয়। এরপর থেকে এমনও দিন গেছে সপ্তাহে দুই, তিনদিন দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এসব সময়ে বেচাকেনা হয়নি বললেই চলে। বছরে যে পরিমাণ ব্যবসা করার ইচ্ছা ছিল তা করতে পারিনি। বর্তমানে অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এই সরকারের কাছে আমরা ভালো কিছু আশা করছি। আমরা আর কোনো অনিশ্চয়তা চাই না। আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
দেশে এতদিন অনেক চাঁদাবাজী হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন সংবাদকে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা চাঁদাবাজী বন্ধ করতে সরকার কঠোর হবে। বাজারে এবং পরিবহনের চাঁদাবাজীর কারনে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে যায়। নতুন বছরে আমরা চাঁদাবাজী থেকে রক্ষা পেতে চাই।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি আমাদের কাছে আরও বেশি ট্যাক্স নিতে চায় তা-ও আমরা দিতে রাজি কিন্তু দলের চামচাদের চাঁদা দিতে পারব না। গত ১৫ বছর চাঁদা দিতে দিতে আমরা ক্লান্ত। সরকারের কাছে আমার প্রত্যাশা, সরকার যেন এমন একটা সিস্টেম চালু করে যাতে সব চাঁদাবাজদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া যায়।’
মিজান মিয়া একজন সাধারণ পিঠা বিক্রেতা। পেশায় গরিব শ্রমজীবি হলেও আগামী বছরে সুখের স্বপ্ন দেখছেন। আগামী বছরের তার প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, দিন আসে দিন যায়, আমাদের গরিব মানুষের জীবনে শান্তি আসেনা। এবার দেশের সবকিচু পাল্টে গেছে। তাই আগামী বছরে আমার বড় চাওয়া: জিনিসপত্রে দাম কমানো হোক। সারাদিনে যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। আগামী বছর এ অবস্থা থেকে রক্ষা পতে চাই।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথাও বলেন মিজান। তার মতে রাস্তাঘাটে চলতে-ফিরতে ভয় লাগে, কখন কে এসে সব ছিনতাই করে নিয়ে যায় বোঝা যায় না। আমার এলাকার আশপাশের অনেকেরই এমন অবস্থা। চুরি-ডাকাতিও বেড়েছে। আগামী বছর আমরা এ অবস্থা যেন না থাকে। চাই, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হোক। একই সঙ্গে পথে-ঘাটে চাঁদাবাজীও যেন বন্ধ করে সরকার- এটাও আমার চাওয়া।
অনেক কষ্টে কাটছে দিন- এমন মন্তব্য করে ঔষদের দোকানের কর্মী শাহ আলম নুতন বছর ২০২৫ সালে যেন সে কষ্ট থেকে মুক্তি পান সে প্রত্যাশার কথাই জানালেন। তিনি বলেন, সারাদিনই অনেকটা টেনশনে থাকি, এই বুঝি জিনিসপত্রের দাম আবার বেড়ে গেলো- সে চিন্তায়। আগামী বছর দেশের অর্থনৈতিক বিষয়ে অনেক অনিয়ম ও অনাচার কমবে- এমন প্রত্যাশা করেন শাহ আলম। আর তা হলে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি আসবে বলে মনে করেন তিনি।
শাহ আলম বলেন, জনপ্রতিনিধিরা নেই বলে স্থানীয় সরকারের অনেক উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে আছে। সড়ক পথ ঠিকমতো মেরামত হচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ ঠিক মতো কাজ করছে না বলে নিয়ম মানা হচ্ছে না সড়কে যানবাহন চলাচলে । ফলে প্রতিদিনই যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘণ্টা। এটা কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে সবাই গভীরভাবে ভাববে- এমনটা চান শাহ আলম।
ঢাকার উত্তরার ষোলহাটি এলাকায় বাস করেন অটোরিক্সাচলক মো. বাবু। স্বমী স্ত্রী মিলে এক রুমের ভাড়া বাসায় থাকেন। গত ২০২৪ সালে আয় রোজগার মন্দ ছিলও না বলে দাবি তার। তবে আসছে বছর কেমন যাবে তা নিয়ে চিন্তিত।
মো. বাবু সংবাদকে বলেন, ‘এখন আর আগের মতো চাদা দিতে হয় না, তাই রোজগার এখন একটু ভালোই হচ্ছে।’ দ্রব্যমূল্য নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রোজগার ভালো হইলে কি হবে, জিনিস পত্রের যেই দাম। রিক্সার জমা, বাজার খরচ আর ঘর ভাড়া দিয়ে হাতে কিছুই থাকে না।’ আগামী বছর এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বলে আশা তার।
গাজীপুরের গৃহিণী মাহমুদা সুলতানা আশা করে বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে আগামী দিনগুলো ভালোই কাটবে মনে হয়।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিগত দিনে দ্রব্যমূল্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম অরাজকতা হয়েছে।’
দুই ছেলের মা মাহমুদা জানান, তার ছোট ছেলে ২০২৪ এ এইচএসসি পাশ করেছে, কিন্তু কতটুকু শিখতে পেরেছে, জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আগামী দিনে ভালো কিছুর প্রত্যাশা তার। শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন কিছু হবে বলে আশা করছেন তিনি।
রিক্সাচালক আনিছুর রহমান সংবাদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আগের মত আয়-রোজগার নাই, জিনিসপত্রের দাম, আর বাসাভাড়া দিয়ে সংসার চালাতে পারছি না। ভাবছি গ্রামের বাড়িতে চলে যাবো। জমি চাষকরে যা পাবো তাই দিয়ে সংসার চালাতে চেষ্টা করবো।
আগামী বছর নতুন সরকার অনেক ভালো কাজ করবেÑ এমন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, যদি অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয় তবে আবার ঢাকায় চলে আসবো। সরকার যেভাবে দেশ চালাচ্ছে তাতে ভালো কিছু হবে মনে হয়। এসে সাধারণ মানুষের জীবনে আগামী বছর অনেক স্বস্তি এনে দেবে বলে মনে করি। সেই আশা নিয়ে আছি। তবে অনেক ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর হতে হবে।
মো. মোহন মোল্লা পেশায় গাড়িচালক, একটি কোম্পানির গাড়ি চালান। তার কাছে নতুন বছরে প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সামনে একটা সুষ্ঠ নির্বাচন হবেÑ এমন প্রত্যাশা আমার। এখন ওয়ার্ড পর্যায়ে কোনো কমিশনার নাই, থানা পর্যায়ে চেয়ারম্যান নাই। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কাজ অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন অগোছালো আছে, অস্থিরতায় আছে। এলাকায় এলাকায় প্রায়ই মারামারি, ডাকাতি, ছিনতাই চলছে। নির্বাচিত সরকার হলে এসব সমস্যা সমাধানে কঠোর হতে পারবে।
তিনি বলেন, চাল-তেল-ডালের দাম বাড়তির দিকে, গরিব মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর। বাজারের জিনিসপত্রের দাম আগামী বছর কমানোর জন্য আগামী বছর কঠোর হবেÑ এটাই আমরা চাই।