২০২৪ আক্রান্ত -১ লাখের বেশী,মৃত্যু-৫৭৫জন
২০২৩ আক্রান্ত-৩ লাখের বেশী,মৃত্যু-১৭০৫জন
দেশে ২০২৪ সাল জুড়ে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার দাপট ছিল। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের শেষ দিন( ৩১ ডিসেস্বর) পর্যন্ত প্রতিদিন এই মশার কামড়ে শিশু ও বয়স্ক থেকে নানা পেশার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেকেই মারাও গেছেন।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজের্ন্সী অ্যান্ড অপারেশন কন্ট্রোলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাঃ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন,গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৪জন তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতুবরণকারিদের মধ্যে একজন ঢাকা উত্তর সিটি ও একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মারা গেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩২জন। মিটফোর্ড হাসপাতালে ২০জন,ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৭জন,মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬জন,কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭জন,মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৩জন। এই ভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনো ভর্তি আছে। অন্যরা ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে ভর্তি আছে।
২০২৪ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে মোট ১ লাখ ১ হাজার ২১৪জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৫৭৫জন। তার মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১৬জন,ফেব্রুয়ারি মাসে ৫জন, মার্চ মাসে ৬জন,এপ্রিলে ২জন,মে মাসে ১২জন,জুনে ৪জন,জুলাইতে ১৪জন, আগস্টে ৩০জন,সেপ্টম্বরে ৮৭জন,অক্টোবরে ১৩৫জন,নভেম্বর মাসে ১৭৩জন,ডিসেম্বর মাসে ৮৭জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এর আগে ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ,৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭০৫জন।
এ হিসেবে গত দুই বছরে দেশে শুধু এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪ লাখের বেশী। দুই বছরে মশার কামড়ে মারা গেছেন ২ হাজার ২শর বেশী। এই ভাবে প্রতি বছর দেশে মশার কামড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক প্রফেসর কবিরুল বাসার এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কেবি মডেল নামে একটি প্রস্তাব তৈরী করেছে। তার প্রস্তাবটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। কেবি মডেল কার্যকর হলে মশা দমনে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন। ওই প্রস্তাবের কিছু অংশ গ্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা একটি পরিচিত শত্রু এডিস মশা এবং তার দ্বারা সংক্রমিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। ২০০০ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছর এডিস মশার কামড়ে মানুষ কমবেশী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এর বাহক মশা সম্পর্কে সকলে জানলেও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও আমাদের জানা। তারপরও আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছি কেন ?
গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কোন ভাবে ডেঙ্গু ভাইরাস ঠেকানো যাচ্ছে না। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের যে সংখ্যা দিচ্ছে। এছাড়াও আরও অনেকেই চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার ও বাসাবাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তার হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পৌছায় না।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব গবেষণাগার সব সময়ই মশা ও মশা বাহিত রোগ নিয়ে গবেষনা করে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা,মাঠ পর্যায়ের এডিস মশার ঘনত্ব,বৃষ্টিপাত,তাপমাত্রা,আদ্রতাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে এনালাইসিস করে মডেল তৈরী করেছি। যার মাধ্যমে ডেঙ্গু সম্বর্কে আগাম ধারনা দিতে দিতে পারি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে মডেল তৈরী করেছি। এই মডেল অনুযায়ী ৫ বছর কার্যক্রম চালাতে পারলে ডেঙ্গুৃ নিয়ন্ত্রণল করা হবে বলে এই কীটতত্ত্ব¡বিদ নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্যকর্মী ঃ প্রতি বছর এক হাজার হোল্ডিং বা বাড়ির জন্য একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে। আউটসোসিং পদ্ধতিতে এই জনবল নিয়োগ করা যেতে পারে। এই স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে প্রতিটি বাড়ির মালিকের ফোন নম্বর ও ঠিকানা থাকবে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগও থাকবে।
ওই বাড়িতে কারো কোন জ্বর হয়েছে কিনা সেই তথ্য নিয়মিত তার কাছে থাকতে হবে। প্রতি ১৫ দিনে একদিন তার নির্ধারিত বাড়িতে গিয়ে বাড়ির মালিকপক্ষের কাউকে নিয়ে সম্পূর্ণ বাড়ি ও বাড়ির আঙ্গিনা ঘুরে দেখতে হবে। কোথাও কোন পাত্রে পানি জমা আছে কিনা। সেখান থেকে ডেঙ্গুৃর বাহক এডিস মশার প্রজনন হতে পারে।
ওই বাড়িতে এডিস মশা জনমাতে পারে বা জন্মেছে। এমন কোন ধরনের পাত্র পাওয়া যায় তা হলে সেই বাড়ির লোককে দিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে কি ভাবে কাজটি করতে হয়। নিয়মিত ভাবে তাদের এই কাজ করার অনুরোধ করতে হবে। আর লার্ভা পাওয়া বাড়ির মালিককে সতর্ক নোটিশ করতে হবে।
ভবিষ্যতে আর না পাওয়া যায়। আর ভবিষ্যতে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই নোটিশে উল্লেখ্য থাকতে হবে।
আর মশা দমনে বাড়ি বাড়ি ভিজিট করা ও প্রাপ্ত তথ্য ডেঙ্গু নিধন অ্যাপে এণ্ট্রি দিতে হবে। এটি দেয়ার পর কেন্দ্রীয় রেন্সপন্স টিম দ্রুত ওই বাড়ি ও আশপাশ এলাকা মশা দমনে ব্যবস্থা নিবেন।
এই ভাবে মশা দমনে প্রতিটি ব্লকে ক্লিনার , মশককর্মী , সুপারভাইজার ,সহকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবে। আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ পৃথিবীতে কোন নাগরিকের সম্পৃক্ততা ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণ করা কখনোই সম্ভব নয়।
নাগরিকদের মশা নিয়ন্ত্রণে সম্পৃক্ত করার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইন আছে। সেই আইন বাংলাদেশে তৈরী ও তা বাস্তবায়ন করা দরকার। তাহলে এডিস মশা দমন করা সম্ভব হবে বলে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞ তার প্রস্তাবে উল্লেখ করেছেন।
২০২৪ আক্রান্ত -১ লাখের বেশী,মৃত্যু-৫৭৫জন
২০২৩ আক্রান্ত-৩ লাখের বেশী,মৃত্যু-১৭০৫জন
বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫
দেশে ২০২৪ সাল জুড়ে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার দাপট ছিল। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের শেষ দিন( ৩১ ডিসেস্বর) পর্যন্ত প্রতিদিন এই মশার কামড়ে শিশু ও বয়স্ক থেকে নানা পেশার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেকেই মারাও গেছেন।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজের্ন্সী অ্যান্ড অপারেশন কন্ট্রোলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাঃ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন,গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৪জন তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতুবরণকারিদের মধ্যে একজন ঢাকা উত্তর সিটি ও একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মারা গেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩২জন। মিটফোর্ড হাসপাতালে ২০জন,ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৭জন,মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬জন,কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭জন,মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৩জন। এই ভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনো ভর্তি আছে। অন্যরা ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে ভর্তি আছে।
২০২৪ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে মোট ১ লাখ ১ হাজার ২১৪জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৫৭৫জন। তার মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১৬জন,ফেব্রুয়ারি মাসে ৫জন, মার্চ মাসে ৬জন,এপ্রিলে ২জন,মে মাসে ১২জন,জুনে ৪জন,জুলাইতে ১৪জন, আগস্টে ৩০জন,সেপ্টম্বরে ৮৭জন,অক্টোবরে ১৩৫জন,নভেম্বর মাসে ১৭৩জন,ডিসেম্বর মাসে ৮৭জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এর আগে ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ,৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭০৫জন।
এ হিসেবে গত দুই বছরে দেশে শুধু এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪ লাখের বেশী। দুই বছরে মশার কামড়ে মারা গেছেন ২ হাজার ২শর বেশী। এই ভাবে প্রতি বছর দেশে মশার কামড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক প্রফেসর কবিরুল বাসার এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কেবি মডেল নামে একটি প্রস্তাব তৈরী করেছে। তার প্রস্তাবটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। কেবি মডেল কার্যকর হলে মশা দমনে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন। ওই প্রস্তাবের কিছু অংশ গ্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা একটি পরিচিত শত্রু এডিস মশা এবং তার দ্বারা সংক্রমিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। ২০০০ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছর এডিস মশার কামড়ে মানুষ কমবেশী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এর বাহক মশা সম্পর্কে সকলে জানলেও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও আমাদের জানা। তারপরও আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছি কেন ?
গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কোন ভাবে ডেঙ্গু ভাইরাস ঠেকানো যাচ্ছে না। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের যে সংখ্যা দিচ্ছে। এছাড়াও আরও অনেকেই চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার ও বাসাবাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তার হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পৌছায় না।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব গবেষণাগার সব সময়ই মশা ও মশা বাহিত রোগ নিয়ে গবেষনা করে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা,মাঠ পর্যায়ের এডিস মশার ঘনত্ব,বৃষ্টিপাত,তাপমাত্রা,আদ্রতাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে এনালাইসিস করে মডেল তৈরী করেছি। যার মাধ্যমে ডেঙ্গু সম্বর্কে আগাম ধারনা দিতে দিতে পারি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে মডেল তৈরী করেছি। এই মডেল অনুযায়ী ৫ বছর কার্যক্রম চালাতে পারলে ডেঙ্গুৃ নিয়ন্ত্রণল করা হবে বলে এই কীটতত্ত্ব¡বিদ নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্যকর্মী ঃ প্রতি বছর এক হাজার হোল্ডিং বা বাড়ির জন্য একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে। আউটসোসিং পদ্ধতিতে এই জনবল নিয়োগ করা যেতে পারে। এই স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে প্রতিটি বাড়ির মালিকের ফোন নম্বর ও ঠিকানা থাকবে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগও থাকবে।
ওই বাড়িতে কারো কোন জ্বর হয়েছে কিনা সেই তথ্য নিয়মিত তার কাছে থাকতে হবে। প্রতি ১৫ দিনে একদিন তার নির্ধারিত বাড়িতে গিয়ে বাড়ির মালিকপক্ষের কাউকে নিয়ে সম্পূর্ণ বাড়ি ও বাড়ির আঙ্গিনা ঘুরে দেখতে হবে। কোথাও কোন পাত্রে পানি জমা আছে কিনা। সেখান থেকে ডেঙ্গুৃর বাহক এডিস মশার প্রজনন হতে পারে।
ওই বাড়িতে এডিস মশা জনমাতে পারে বা জন্মেছে। এমন কোন ধরনের পাত্র পাওয়া যায় তা হলে সেই বাড়ির লোককে দিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে কি ভাবে কাজটি করতে হয়। নিয়মিত ভাবে তাদের এই কাজ করার অনুরোধ করতে হবে। আর লার্ভা পাওয়া বাড়ির মালিককে সতর্ক নোটিশ করতে হবে।
ভবিষ্যতে আর না পাওয়া যায়। আর ভবিষ্যতে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই নোটিশে উল্লেখ্য থাকতে হবে।
আর মশা দমনে বাড়ি বাড়ি ভিজিট করা ও প্রাপ্ত তথ্য ডেঙ্গু নিধন অ্যাপে এণ্ট্রি দিতে হবে। এটি দেয়ার পর কেন্দ্রীয় রেন্সপন্স টিম দ্রুত ওই বাড়ি ও আশপাশ এলাকা মশা দমনে ব্যবস্থা নিবেন।
এই ভাবে মশা দমনে প্রতিটি ব্লকে ক্লিনার , মশককর্মী , সুপারভাইজার ,সহকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবে। আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ পৃথিবীতে কোন নাগরিকের সম্পৃক্ততা ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণ করা কখনোই সম্ভব নয়।
নাগরিকদের মশা নিয়ন্ত্রণে সম্পৃক্ত করার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইন আছে। সেই আইন বাংলাদেশে তৈরী ও তা বাস্তবায়ন করা দরকার। তাহলে এডিস মশা দমন করা সম্ভব হবে বলে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞ তার প্রস্তাবে উল্লেখ করেছেন।