জুলাই গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে কাজ করার জন্য একটি বিশেষ সেল গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেলের অধীনে চারটি টিম কাজ করবে, যেগুলো শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন, ডকুমেন্টেশন, বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং স্মারক নির্মাণের ওপর দায়িত্ব পালন করবে।
বুধবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সেল গঠনের ঘোষণা দেন সংগঠনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।
ঘোষণা অনুযায়ী, সেলটির নেতৃত্বে রয়েছেন সম্পাদক হাসান ইনাম। সেলে মোট সদস্য রয়েছেন ৪৯ জন। এর অধীনে থাকা চারটি টিম হলো:
১. আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন টিম: এই টিমে ১৯ জন সদস্য কাজ করবেন।
২. জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ডকুমেন্টেশন টিম: ডকুমেন্টেশনের কাজের জন্য টিমে রয়েছে ১৬ জন সদস্য।
৩. বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য শিক্ষানবিশ আইনজীবী টিম: এতে থাকবেন ৫ জন সদস্য।
৪. শহীদি স্মারক নির্মাণ টিম: স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ মিনার তৈরিতে কাজ করবেন ৮ জন সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফ সোহেল বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নেওয়া উদ্যোগগুলো অপ্রতুল। এমনকি অভ্যুত্থানের ঘটনাগুলোর সঠিক ডকুমেন্টেশনও করা হয়নি। এর ফলে জুলাই অভ্যুত্থানের মতো একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের স্মৃতি ধূসর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্য এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ভূমিকা তদন্ত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বিচারিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি খুব ধীর। পাশাপাশি, শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে শহীদ মিনার ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মতো পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি।”
সেলের মূল লক্ষ্য হলো, আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন।
জুলাই অভ্যুত্থানের বিস্তারিত ডকুমেন্টেশন তৈরি করা।
অভ্যুত্থানের ঘটনায় জড়িতদের বিচার ত্বরান্বিত করা।
গণ–অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে ধরে রাখতে শহীদি ফলক ও স্মারক নির্মাণ।
সংবাদ সম্মেলনে সেলের সম্পাদক হাসান ইনামের নেতৃত্বে চারটি টিমের সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়। প্রত্যেকটি টিম নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করবে বলে জানানো হয়।
সংগঠনটি মনে করে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা জরুরি। এই অভ্যুত্থানের নেপথ্যে থাকা সাহসী যোদ্ধাদের ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন না হলে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টি হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫
জুলাই গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে কাজ করার জন্য একটি বিশেষ সেল গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেলের অধীনে চারটি টিম কাজ করবে, যেগুলো শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন, ডকুমেন্টেশন, বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং স্মারক নির্মাণের ওপর দায়িত্ব পালন করবে।
বুধবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সেল গঠনের ঘোষণা দেন সংগঠনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।
ঘোষণা অনুযায়ী, সেলটির নেতৃত্বে রয়েছেন সম্পাদক হাসান ইনাম। সেলে মোট সদস্য রয়েছেন ৪৯ জন। এর অধীনে থাকা চারটি টিম হলো:
১. আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন টিম: এই টিমে ১৯ জন সদস্য কাজ করবেন।
২. জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ডকুমেন্টেশন টিম: ডকুমেন্টেশনের কাজের জন্য টিমে রয়েছে ১৬ জন সদস্য।
৩. বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য শিক্ষানবিশ আইনজীবী টিম: এতে থাকবেন ৫ জন সদস্য।
৪. শহীদি স্মারক নির্মাণ টিম: স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ মিনার তৈরিতে কাজ করবেন ৮ জন সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফ সোহেল বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নেওয়া উদ্যোগগুলো অপ্রতুল। এমনকি অভ্যুত্থানের ঘটনাগুলোর সঠিক ডকুমেন্টেশনও করা হয়নি। এর ফলে জুলাই অভ্যুত্থানের মতো একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের স্মৃতি ধূসর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্য এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ভূমিকা তদন্ত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বিচারিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি খুব ধীর। পাশাপাশি, শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে শহীদ মিনার ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মতো পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি।”
সেলের মূল লক্ষ্য হলো, আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন।
জুলাই অভ্যুত্থানের বিস্তারিত ডকুমেন্টেশন তৈরি করা।
অভ্যুত্থানের ঘটনায় জড়িতদের বিচার ত্বরান্বিত করা।
গণ–অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে ধরে রাখতে শহীদি ফলক ও স্মারক নির্মাণ।
সংবাদ সম্মেলনে সেলের সম্পাদক হাসান ইনামের নেতৃত্বে চারটি টিমের সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়। প্রত্যেকটি টিম নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করবে বলে জানানো হয়।
সংগঠনটি মনে করে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা জরুরি। এই অভ্যুত্থানের নেপথ্যে থাকা সাহসী যোদ্ধাদের ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন না হলে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টি হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে।