alt

জাতীয়

ডেসটিনি এমডি রফিকুলসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে ৪,৫১৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

বহুল আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ১৯ জনকে ১২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁদের ৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক রবিউল আলম বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রফিকুল আমীন, মোহাম্মদ হোসেন এবং এম হারুন-অর-রশীদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৬ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

অন্যান্য দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমান, মেজবাহ উদ্দিন, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ, ফারাহ দিবা, জামসেদ আরা চৌধুরী, শেখ তৈয়েবুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জসীম উদ্দিন, জাকির হোসেন, এস এম আহসানুল কবির, জুবায়ের সোহেল, মোসাদ্দেক আলী, আবদুল মান্নান এবং আবুল কালাম আজাদ।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলাগুলোর তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জন এবং মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্যে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এতে সাড়ে আট লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।

অন্যদিকে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আত্মসাৎ করা অর্থের একটি অংশ এলসি (ঋণপত্র) আকারে এবং কিছু সরাসরি বিদেশে পাচার করা হয়।

দুদকের করা মামলার অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর আদালত দোষীদের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, “রায়ে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি মামলার যথাযথ সমাপ্তি হয়েছে।”

আত্মসাৎ করা বিপুল পরিমাণ অর্থের কারণে বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে একজন বলেন, “আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি। এ রায় আমাদের কিছুটা হলেও সান্ত্বনা দেবে।”

ডেসটিনি মামলার এই রায় দেশের আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

ছবি

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ বদলে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ প্রস্তাব

ছবি

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা ও প্রধানমন্ত্রীত্বের সীমা সংক্রান্ত সুপারিশ পেশ

ছবি

জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধরে রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশে সংস্কারের পথে নতুন যাত্রা: ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু

ছবি

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন: রাষ্ট্র ও নির্বাচন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সুপারিশমালা

ছবি

নতুন বাংলাদেশ গঠনে সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ

ছবি

ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে দুর্নীতিবিরোধী কৌশলপত্র প্রণয়নসহ ৪৭ দফা সুপারিশ

ছবি

সংবিধানে ৫ মূলনীতির সুপারিশ: বাদ ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনে আমাদের সম্পর্ক হোঁচট খাবে না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

গণঅভ্যুত্থানের সনদের ভিত্তিতেই হবে ত্রয়োদশ নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ডেসটিনি অর্থ আত্মসাৎ মামলা: সাবেক সেনাপ্রধানসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতি নিয়ে এনসিটিবি সামনে সংঘর্ষ: দুই পক্ষের হামলায় আহত অন্তত ১২

ছবি

সাবেক পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ আরো ৯ মামলায় গ্রেপ্তার

ছবি

চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা

ছবি

চাকরিহারা এসআইদের অনশনে পুলিশের জলকামান, সরিয়ে দিল রাতেই

ছবি

‘ছাগল-কাণ্ডে’ আলোচিত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর ও তাঁর স্ত্রী গ্রেপ্তার

ছবি

চুরি হওয়া অর্থ ফেরাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় কাজ করছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

ছবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা-তারেকসহ সবাই খালাস

ছবি

গরম ও সেচে বিদ্যুৎ সঙ্কটের শঙ্কা, দ্রুত বকেয়া পরিশোধের তাগিদ

জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

নির্বাচনের সময়সীমা ঠিক করবে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো: জাতিসংঘের দূত

ছবি

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্তে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার

ছবি

অবৈধ বিদেশিদের বৈধ হওয়ার সময় মনে করিয়ে দিল সরকার

ছবি

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ: পদত্যাগের আহ্বান এবং তদন্তের দাবি

ছবি

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবর খালাস, মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই

হাসিনাসহ জড়িতদের কল রেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ

ছবি

মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে জগন্নাথ শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার, চলবে শাটডাউন

পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে “আদিবাসী” শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ায় প্রতিবাদ

ছবি

বাংলাদেশ-মেক্সিকো পণ্যবাহী কার্গো সেবা চালু করতে চাই: রাষ্ট্রদূত ফজল আনসারী

ছবি

জাকসু নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাবি উপাচার্যের মতবিনিময়, ১ ফেব্রুয়ারি তফসিল

এইচএমপি ভাইরাস সংক্রমক রোগী শনাক্ত এই মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় ঃ আতংক ও উদ্দেগের কারন নেই-ডাঃ মোস্তাক

ছবি

শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের কল রেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচনের পরামর্শ চেয়েছেন উপাচার্য

ছবি

সেনাবাহিনীকে কাজ হস্তান্তরের আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার, বুধবার পর্যন্ত শাটডাউন

ছবি

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্যাট বৃদ্ধি ও আমদানির উদ্যোগ: খাদ্য উপদেষ্টা

ছবি

সীমান্তে বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা, দিল্লিতে তলব বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে

tab

জাতীয়

ডেসটিনি এমডি রফিকুলসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে ৪,৫১৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

বহুল আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ১৯ জনকে ১২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁদের ৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক রবিউল আলম বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রফিকুল আমীন, মোহাম্মদ হোসেন এবং এম হারুন-অর-রশীদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৬ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

অন্যান্য দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমান, মেজবাহ উদ্দিন, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ, ফারাহ দিবা, জামসেদ আরা চৌধুরী, শেখ তৈয়েবুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জসীম উদ্দিন, জাকির হোসেন, এস এম আহসানুল কবির, জুবায়ের সোহেল, মোসাদ্দেক আলী, আবদুল মান্নান এবং আবুল কালাম আজাদ।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলাগুলোর তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জন এবং মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্যে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এতে সাড়ে আট লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।

অন্যদিকে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আত্মসাৎ করা অর্থের একটি অংশ এলসি (ঋণপত্র) আকারে এবং কিছু সরাসরি বিদেশে পাচার করা হয়।

দুদকের করা মামলার অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর আদালত দোষীদের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, “রায়ে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি মামলার যথাযথ সমাপ্তি হয়েছে।”

আত্মসাৎ করা বিপুল পরিমাণ অর্থের কারণে বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে একজন বলেন, “আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি। এ রায় আমাদের কিছুটা হলেও সান্ত্বনা দেবে।”

ডেসটিনি মামলার এই রায় দেশের আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

back to top