জেলা বা এলাকার নাম অনুসারে নতুন নামকরণ
দেশের ১৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সিদ্ধান্তের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তন করে সেগুলোর অবস্থানরত জেলা বা এলাকার নামে নামকরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেন। উপদেষ্টারা পুরনো এবং নতুন নামের একটি তালিকা প্রকাশ করলেও এ সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া বা কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি।
পরিবর্তিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা
উপদেষ্টাদের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে যে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেগুলোর আগের নাম এবং নতুন নাম হলো:
১. শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় → নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়
২. শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ → কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়
৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ → নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়
৪. মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় → মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়
৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় → গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (চালু প্রক্রিয়াধীন) → শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৭. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি → বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি
৮. বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় → জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৯. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর → পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১০. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ → গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ → নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি → মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
১৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় → অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত নামগুলো সংশ্লিষ্ট অঞ্চল বা জেলার পরিচয় তুলে ধরে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করতে হবে। এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
এর আগে ১৪টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাম বদল করা হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধু ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়।
নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। অনেকেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও কেউ কেউ এ উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বর্তমানে দেশে মোট ৫৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি মেডিকেল ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন নামকরণ স্থানীয় পরিচিতি আরও স্পষ্ট করবে বলে মত দিয়েছেন অনেক শিক্ষা বিশেষজ্ঞ।
সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা এবং নাম পরিবর্তনের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া স্পষ্ট হলে এ বিষয়ে আরও আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া আশা করা হচ্ছে।
জেলা বা এলাকার নাম অনুসারে নতুন নামকরণ
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
দেশের ১৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সিদ্ধান্তের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তন করে সেগুলোর অবস্থানরত জেলা বা এলাকার নামে নামকরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেন। উপদেষ্টারা পুরনো এবং নতুন নামের একটি তালিকা প্রকাশ করলেও এ সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া বা কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি।
পরিবর্তিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা
উপদেষ্টাদের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে যে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেগুলোর আগের নাম এবং নতুন নাম হলো:
১. শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় → নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়
২. শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ → কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়
৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ → নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়
৪. মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় → মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়
৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় → গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (চালু প্রক্রিয়াধীন) → শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৭. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি → বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি
৮. বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় → জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৯. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর → পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১০. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ → গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ → নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি → মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
১৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় → অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত নামগুলো সংশ্লিষ্ট অঞ্চল বা জেলার পরিচয় তুলে ধরে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করতে হবে। এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
এর আগে ১৪টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাম বদল করা হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধু ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়।
নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। অনেকেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও কেউ কেউ এ উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বর্তমানে দেশে মোট ৫৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি মেডিকেল ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন নামকরণ স্থানীয় পরিচিতি আরও স্পষ্ট করবে বলে মত দিয়েছেন অনেক শিক্ষা বিশেষজ্ঞ।
সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা এবং নাম পরিবর্তনের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া স্পষ্ট হলে এ বিষয়ে আরও আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া আশা করা হচ্ছে।