alt

জাতীয়

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় যা আছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় এই ভূখণ্ডের মানুষের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুগের পর যুগ সংগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তান আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জন, ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

এরপরের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে কীভাবে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সে প্রসঙ্গও রয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায়।

খসড়ায় বলা হয়, ‘...আমরা, ছাত্র-জনতা সেই অভিপ্রায়বলে আত্মমর্যাদা, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের যে আদর্শে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে, সেই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম জনগোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের সংগঠিত করিলাম। আমরা, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি এবং ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও অখ-তা রক্ষার্থে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানালাম। আমরা সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পুনরাবৃত্তি রোধ নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করবে, এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করলাম।’

খসড়ায় আরও বলা হয়, ‘আমরা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে লালন করার দলিল ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম। আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটপাটের অপরাধগুলোর উপযুক্ত বিচার করা হবে, এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা এই ঘোষণা প্রদান করলাম যে ১৯৭২ এবং ১/১১ কালের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য আমাদের একটি নতুন জনতন্ত্র (রিপাবলিক) প্রয়োজন, যা রাষ্ট্রে সব ধরনের নিপীড়ন, শোষণ ও বৈষম্যর অবসান ঘটাবে এবং এ দেশের তরুণসমাজের প্রত্যাশাকে ধারণ করতে পারবে। আমরা এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম যে এই ঘোষণাপত্রকে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।’

অভ্যুত্থান পরবর্তী ঘোষনাপত্র
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হয়। এরপর ২৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যৌথভাবে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে ২৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নাৎসি বাহিনীর মত অপ্রাসঙ্গিক এবং ১৯৭২ সালের সংবিধানের ‘কবর’ রচনা করা হবে।’

এ ঘোষণাপত্র নিয়ে তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা তৈরি হয়। হঠাৎ ঘোষণাপত্রের বিষয়টি কেন সামনে আনা হলো, এর প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে।

*মার্চ ফর ইউনিটি*
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তখন ঘোষণাপত্রের এ উদ্যোগের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার সম্পৃক্ত নয় বলে উল্লেখ করেছিল।

পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

*আল্টিমেটাম *
ওই রাতে বৈঠক করে ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেয়ার বদলে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। এরপর দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার এ সংক্রান্ত আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

১৬ জানুয়ারি বিকেলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করে অন্তর্বর্তী সরকার, যাতে নেতৃত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

ছবি

ঘোষণাপত্র: আরও আলোচনা চান সবাই

ছবি

সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

ছবি

‘ঢাকা-দিল্লির চুক্তিগুলো ভারত প্রকাশ করলেও বাংলাদেশ করে না’

সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও বিচার দাবিতে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ শুরু

ছবি

‘সংখ্যালঘু’ শিক্ষার্থীদের সমাবেশে হামলা, নিন্দা জানিয়ে বিচারের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের

ছবি

‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, ছত্রভঙ্গ

ছবি

পুলিশ সংস্কারে বিশেষায়িত দলের সুপারিশ

ছবি

‘আদিবাসী’ গ্রাফিতি বাদ: প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা

পুলিশের শক্তি প্রয়োগের সীমা নির্ধারণ চায় সংস্কার কমিশন

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে নির্বাচন বাতিলের সুপারিশ

ছবি

বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তন, তিন মূলনীতি বাদ, নতুন চার মূলনীতির সুপারিশ

এবার গণঅভ্যুত্থানের সনদ, তার ভিত্তিতেই নির্বাচন: ইউনূস

ছবি

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ বদলে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ প্রস্তাব

ছবি

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা ও প্রধানমন্ত্রীত্বের সীমা সংক্রান্ত সুপারিশ পেশ

ছবি

জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধরে রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ডেসটিনি এমডি রফিকুলসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

বাংলাদেশে সংস্কারের পথে নতুন যাত্রা: ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু

ছবি

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন: রাষ্ট্র ও নির্বাচন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সুপারিশমালা

ছবি

নতুন বাংলাদেশ গঠনে সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ

ছবি

ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে দুর্নীতিবিরোধী কৌশলপত্র প্রণয়নসহ ৪৭ দফা সুপারিশ

ছবি

সংবিধানে ৫ মূলনীতির সুপারিশ: বাদ ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনে আমাদের সম্পর্ক হোঁচট খাবে না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

গণঅভ্যুত্থানের সনদের ভিত্তিতেই হবে ত্রয়োদশ নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ডেসটিনি অর্থ আত্মসাৎ মামলা: সাবেক সেনাপ্রধানসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতি নিয়ে এনসিটিবি সামনে সংঘর্ষ: দুই পক্ষের হামলায় আহত অন্তত ১২

ছবি

সাবেক পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ আরো ৯ মামলায় গ্রেপ্তার

ছবি

চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা

ছবি

চাকরিহারা এসআইদের অনশনে পুলিশের জলকামান, সরিয়ে দিল রাতেই

ছবি

‘ছাগল-কাণ্ডে’ আলোচিত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর ও তাঁর স্ত্রী গ্রেপ্তার

ছবি

চুরি হওয়া অর্থ ফেরাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় কাজ করছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

ছবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা-তারেকসহ সবাই খালাস

ছবি

গরম ও সেচে বিদ্যুৎ সঙ্কটের শঙ্কা, দ্রুত বকেয়া পরিশোধের তাগিদ

জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

নির্বাচনের সময়সীমা ঠিক করবে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো: জাতিসংঘের দূত

ছবি

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্তে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার

tab

জাতীয়

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় যা আছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় এই ভূখণ্ডের মানুষের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুগের পর যুগ সংগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তান আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জন, ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

এরপরের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে কীভাবে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সে প্রসঙ্গও রয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায়।

খসড়ায় বলা হয়, ‘...আমরা, ছাত্র-জনতা সেই অভিপ্রায়বলে আত্মমর্যাদা, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের যে আদর্শে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে, সেই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম জনগোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের সংগঠিত করিলাম। আমরা, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি এবং ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও অখ-তা রক্ষার্থে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানালাম। আমরা সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পুনরাবৃত্তি রোধ নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করবে, এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করলাম।’

খসড়ায় আরও বলা হয়, ‘আমরা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে লালন করার দলিল ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম। আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটপাটের অপরাধগুলোর উপযুক্ত বিচার করা হবে, এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা এই ঘোষণা প্রদান করলাম যে ১৯৭২ এবং ১/১১ কালের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য আমাদের একটি নতুন জনতন্ত্র (রিপাবলিক) প্রয়োজন, যা রাষ্ট্রে সব ধরনের নিপীড়ন, শোষণ ও বৈষম্যর অবসান ঘটাবে এবং এ দেশের তরুণসমাজের প্রত্যাশাকে ধারণ করতে পারবে। আমরা এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম যে এই ঘোষণাপত্রকে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।’

অভ্যুত্থান পরবর্তী ঘোষনাপত্র
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হয়। এরপর ২৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যৌথভাবে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে ২৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নাৎসি বাহিনীর মত অপ্রাসঙ্গিক এবং ১৯৭২ সালের সংবিধানের ‘কবর’ রচনা করা হবে।’

এ ঘোষণাপত্র নিয়ে তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা তৈরি হয়। হঠাৎ ঘোষণাপত্রের বিষয়টি কেন সামনে আনা হলো, এর প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে।

*মার্চ ফর ইউনিটি*
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তখন ঘোষণাপত্রের এ উদ্যোগের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার সম্পৃক্ত নয় বলে উল্লেখ করেছিল।

পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

*আল্টিমেটাম *
ওই রাতে বৈঠক করে ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেয়ার বদলে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। এরপর দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার এ সংক্রান্ত আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

১৬ জানুয়ারি বিকেলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করে অন্তর্বর্তী সরকার, যাতে নেতৃত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

back to top