বাংলাদেশের জন্য পাঁচটি বড় ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতিকে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৫ সালের বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ডব্লিউইএফ।
গত ১৫ জানুয়ারি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে নির্বাহী মতামত জরিপ (ইওএস) চালানো হয়। এতে অংশগ্রহণকারীদের আগামী দুই বছরে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় পাঁচটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করতে বলা হয়। ৩৪টি সম্ভাব্য ঝুঁকির তালিকা থেকে তারা এই পাঁচটি ঝুঁকি নির্ধারণ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।
এছাড়া, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বাংলাদেশের জন্য অন্যতম প্রধান ঝুঁকি। বিশেষ করে বন্যা ও তাপপ্রবাহের মতো জলবায়ুজনিত দুর্যোগ ক্রমেই বাড়ছে, যা মানুষের জীবন ও কৃষি খাতের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
দূষণও (বায়ু, পানি, মাটি) দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে এসেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বায়ুদূষণ গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।
অর্থনৈতিক দিক থেকেও বাংলাদেশ কিছু বড় ঝুঁকির সম্মুখীন। বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে উঠছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া ও নতুন বিনিয়োগের অভাব ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়া, অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা (মন্দা ও স্থবিরতা) বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি তৈরি করছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব, আমদানি-রপ্তানিতে বাধা ও বিনিয়োগের নিম্নগতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দিতে পারে।
ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনে বিশ্বের জন্য ২০২৫ সালের শীর্ষ ১০টি ঝুঁকির তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে রাষ্ট্রভিত্তিক সশস্ত্র সংঘাতকে। এটি দুই বছর আগেও এত বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখা হতো না।
বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, ভূ-অর্থনৈতিক বিবাদ, অপতথ্য ও ভুল তথ্য, সামাজিক মেরুকরণ, বৈশ্বিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব বা বেকারত্ব, মানবাধিকার বা নাগরিক স্বাধীনতার অবক্ষয় এবং অসমতা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু সংকট ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে ডব্লিউইএফ।
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের জন্য পাঁচটি বড় ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতিকে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৫ সালের বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ডব্লিউইএফ।
গত ১৫ জানুয়ারি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে নির্বাহী মতামত জরিপ (ইওএস) চালানো হয়। এতে অংশগ্রহণকারীদের আগামী দুই বছরে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় পাঁচটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করতে বলা হয়। ৩৪টি সম্ভাব্য ঝুঁকির তালিকা থেকে তারা এই পাঁচটি ঝুঁকি নির্ধারণ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।
এছাড়া, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বাংলাদেশের জন্য অন্যতম প্রধান ঝুঁকি। বিশেষ করে বন্যা ও তাপপ্রবাহের মতো জলবায়ুজনিত দুর্যোগ ক্রমেই বাড়ছে, যা মানুষের জীবন ও কৃষি খাতের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
দূষণও (বায়ু, পানি, মাটি) দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে এসেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বায়ুদূষণ গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।
অর্থনৈতিক দিক থেকেও বাংলাদেশ কিছু বড় ঝুঁকির সম্মুখীন। বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে উঠছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া ও নতুন বিনিয়োগের অভাব ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়া, অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা (মন্দা ও স্থবিরতা) বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি তৈরি করছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব, আমদানি-রপ্তানিতে বাধা ও বিনিয়োগের নিম্নগতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দিতে পারে।
ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনে বিশ্বের জন্য ২০২৫ সালের শীর্ষ ১০টি ঝুঁকির তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে রাষ্ট্রভিত্তিক সশস্ত্র সংঘাতকে। এটি দুই বছর আগেও এত বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখা হতো না।
বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, ভূ-অর্থনৈতিক বিবাদ, অপতথ্য ও ভুল তথ্য, সামাজিক মেরুকরণ, বৈশ্বিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব বা বেকারত্ব, মানবাধিকার বা নাগরিক স্বাধীনতার অবক্ষয় এবং অসমতা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু সংকট ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে ডব্লিউইএফ।