পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরিয়ে ফেলা এবং এর প্রতিবাদে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কি ‘কর্তৃত্ববাদের পুনর্বাসনকেন্দ্র’ হয়ে উঠেছে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার ঘটনা ‘কর্তৃত্ববাদের এজেন্ডা বহাল রাখার ঘৃণ্য প্রয়াস’।
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের প্রচ্ছদের চিত্রকর্মে ‘মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী’ লেখা একটি গাছের ছবি ছিল। কিন্তু এনসিটিবির সিদ্ধান্তে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ ব্যানারে এনসিটিবি ঘেরাও করলে, রাতে বইটির অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি মুছে ফেলা হয়। এর প্রতিবাদে ১৭ জানুয়ারি আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্রজনতা’ পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্রজনতা’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে গেলে সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ সদস্যরা তাদের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠিপেটা করে। এতে ৯ জন শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বাংলাদেশে সহিংসতা, জাতিগত বিদ্বেষ এবং ধর্মান্ধতার কোনো স্থান নেই।” তবে সেখানে বিক্ষোভকারীদের ‘আদিবাসী’ না বলে ‘জাতিগত সংখ্যালঘু’ উল্লেখ করা হয়, যা টিআইবি ‘সচেতন এড়িয়ে যাওয়া’ বলে সমালোচনা করেছে।
টিআইবি এনসিটিবির পদক্ষেপকে ‘কর্তৃত্ববাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ’ বলে অভিহিত করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় এনে ‘কর্তৃত্ববাদের দোসরমুক্ত’ করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশে ‘আদিবাসী নেই’—এই ধারণা তৈরি করতে কর্তৃত্ববাদী সরকার আন্তর্জাতিক সমালোচনাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। এনসিটিবি সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।”
টিআইবি সরকারের কাছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বীকৃতি ও সমঅধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “শুধু কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনই যথেষ্ট নয়, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে কর্তৃত্ববাদী চিন্তাধারা ও চর্চারও পরিবর্তন করতে হবে।”
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরিয়ে ফেলা এবং এর প্রতিবাদে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কি ‘কর্তৃত্ববাদের পুনর্বাসনকেন্দ্র’ হয়ে উঠেছে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার ঘটনা ‘কর্তৃত্ববাদের এজেন্ডা বহাল রাখার ঘৃণ্য প্রয়াস’।
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের প্রচ্ছদের চিত্রকর্মে ‘মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী’ লেখা একটি গাছের ছবি ছিল। কিন্তু এনসিটিবির সিদ্ধান্তে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ ব্যানারে এনসিটিবি ঘেরাও করলে, রাতে বইটির অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি মুছে ফেলা হয়। এর প্রতিবাদে ১৭ জানুয়ারি আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্রজনতা’ পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্রজনতা’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে গেলে সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ সদস্যরা তাদের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠিপেটা করে। এতে ৯ জন শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বাংলাদেশে সহিংসতা, জাতিগত বিদ্বেষ এবং ধর্মান্ধতার কোনো স্থান নেই।” তবে সেখানে বিক্ষোভকারীদের ‘আদিবাসী’ না বলে ‘জাতিগত সংখ্যালঘু’ উল্লেখ করা হয়, যা টিআইবি ‘সচেতন এড়িয়ে যাওয়া’ বলে সমালোচনা করেছে।
টিআইবি এনসিটিবির পদক্ষেপকে ‘কর্তৃত্ববাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ’ বলে অভিহিত করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় এনে ‘কর্তৃত্ববাদের দোসরমুক্ত’ করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশে ‘আদিবাসী নেই’—এই ধারণা তৈরি করতে কর্তৃত্ববাদী সরকার আন্তর্জাতিক সমালোচনাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। এনসিটিবি সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।”
টিআইবি সরকারের কাছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বীকৃতি ও সমঅধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “শুধু কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনই যথেষ্ট নয়, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে কর্তৃত্ববাদী চিন্তাধারা ও চর্চারও পরিবর্তন করতে হবে।”