বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ নানাভাবে পুনরুৎপাদিত হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন বিশিষ্ট চিন্তক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেন, "প্রতিদিন ফ্যাসিবাদ নতুন নতুন রূপে হাজির হচ্ছে। আমাদের আশপাশেই আছে, তাই সতর্ক থাকতে হবে।"
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদের জমানায় শিকারি সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, "শুধু সরকার বদলালে ফ্যাসিবাদ শেষ হয় না। এটি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরেও বিদ্যমান।"
তিনি দাবি করেন, "বিশ্ববিদ্যালয়, সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিওর মাধ্যমে জনমত নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা হওয়া দরকার।"
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, "ফকির মজনু শাহের নামে থাকা সেতুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতির এসব ঘটনা ফ্যাসিবাদেরই অংশ।"
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে সাংবাদিকতার একটি অংশ ‘শিকারি সাংবাদিকতা’র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর মাধ্যমে কাউকে সহজেই অপরাধী বানানো ও চরিত্রহনন করা সম্ভব।"
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, "হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করে মিডিয়ায় প্রচার, গুলশানে মুনিয়া হত্যাকাণ্ডে সায়েম সোবহান আনভীরের সংশ্লিষ্টতার গুজব, কিংবা পরীমনির বাড়িতে র্যাবের অভিযান লাইভ সম্প্রচার—সবই শিকারি সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ বলেন, "২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের সময় তারেক রহমানের সঙ্গে আমার একটি ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করা হয়। সেটি নিয়ে টেলিভিশনে টকশো পর্যন্ত হয়েছে। এটি কি আইনসিদ্ধ?"
তিনি আরও বলেন, "এ ধরনের সাংবাদিকতা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হুমকির মুখে ফেলছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এসব বন্ধ হবে।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, "শিকারি সাংবাদিকতা আসলে সাংবাদিকতায় দুর্বৃত্তায়নের একটি অংশ। এর ভয়াবহতা সবাই বুঝি, তাই সবাইকে সতর্ক হতে হবে।"
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম।
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ নানাভাবে পুনরুৎপাদিত হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন বিশিষ্ট চিন্তক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেন, "প্রতিদিন ফ্যাসিবাদ নতুন নতুন রূপে হাজির হচ্ছে। আমাদের আশপাশেই আছে, তাই সতর্ক থাকতে হবে।"
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদের জমানায় শিকারি সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, "শুধু সরকার বদলালে ফ্যাসিবাদ শেষ হয় না। এটি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরেও বিদ্যমান।"
তিনি দাবি করেন, "বিশ্ববিদ্যালয়, সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিওর মাধ্যমে জনমত নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা হওয়া দরকার।"
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, "ফকির মজনু শাহের নামে থাকা সেতুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতির এসব ঘটনা ফ্যাসিবাদেরই অংশ।"
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে সাংবাদিকতার একটি অংশ ‘শিকারি সাংবাদিকতা’র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর মাধ্যমে কাউকে সহজেই অপরাধী বানানো ও চরিত্রহনন করা সম্ভব।"
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, "হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করে মিডিয়ায় প্রচার, গুলশানে মুনিয়া হত্যাকাণ্ডে সায়েম সোবহান আনভীরের সংশ্লিষ্টতার গুজব, কিংবা পরীমনির বাড়িতে র্যাবের অভিযান লাইভ সম্প্রচার—সবই শিকারি সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ বলেন, "২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের সময় তারেক রহমানের সঙ্গে আমার একটি ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করা হয়। সেটি নিয়ে টেলিভিশনে টকশো পর্যন্ত হয়েছে। এটি কি আইনসিদ্ধ?"
তিনি আরও বলেন, "এ ধরনের সাংবাদিকতা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হুমকির মুখে ফেলছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এসব বন্ধ হবে।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, "শিকারি সাংবাদিকতা আসলে সাংবাদিকতায় দুর্বৃত্তায়নের একটি অংশ। এর ভয়াবহতা সবাই বুঝি, তাই সবাইকে সতর্ক হতে হবে।"
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম।