alt

জাতীয়

আঁচল ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা

এক বছরে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, মেয়েদের সংখ্যা বেশি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আত্মহত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত এক বছরে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, যার মধ্যে ৬১% মেয়ে শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন।

একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি জানায়, শিক্ষার স্তর অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি (৪৬.১%)। এছাড়া ২০২৩ সালে ৫১৩ জন এবং ২০২২ সালে ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিলেন, যা থেকে বোঝা যায়, সামগ্রিকভাবে আত্মহত্যার সংখ্যা কিছুটা কমলেও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ এখনও কাটেনি।

স্কুলগামীদের আত্মহত্যার হার বেশি

২০২৪ সালে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি (৪৯.৪%)। কলেজ পর্যায়ে এই হার ২৩.২% এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১৭.৭৪%। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ৬.৮%।

শিক্ষার স্তর অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ে আত্মহত্যার হার ৪৬.১%, উচ্চ মাধ্যমিকে ১৯.৪% এবং স্নাতক পর্যায়ে ১৪.৬%। এছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে ৭.৪%, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১.৯%, ডিপ্লোমা পর্যায়ে ০.৬%, এবং সদ্য পড়ালেখা শেষ করা বেকারদের মধ্যে ০.৬% আত্মহত্যা করেছেন।

ঢাকায় আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি

আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ২৯% শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে খুলনায় ১৭.৭%, চট্টগ্রামে ১৫.৮%, রাজশাহী ও বরিশালে ১০.৭%, রংপুরে ৭.৭%, ময়মনসিংহে ৫.৫% এবং সিলেটে ২.১% আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

আত্মহত্যার প্রধান কারণগুলো কী?

২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ অভিমান (২৮.৪%)। এছাড়া প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণে ১৬.৮%, পড়ালেখার চাপে ১৪.২%, এবং মানসিক অস্থিরতায় ৫.৫% শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।

কীভাবে আত্মহত্যা করেছেন?

সমীক্ষায় দেখা গেছে, আত্মহত্যার সবচেয়ে বেশি মাধ্যম ছিল গলায় ফাঁস (৮৩.৫%)। এছাড়া বিষপান (৮.৭%), এবং অন্যান্য উপায়ে (উঁচু থেকে লাফ, ট্রেনে কাটা পড়া, পানিতে ডোবা, ছুরি দিয়ে আঘাত ইত্যাদি) ৪.৬% শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।

আত্মহত্যা রোধে সুপারিশ

আঁচল ফাউন্ডেশন শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছে।

>> শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘স্বেচ্ছাসেবী অ্যাম্বাসেডর’ নিয়োগ। তারা তাদের সহপাঠীদের মানসিক চাপ, হতাশা বা উদ্বেগ চিহ্নিত করে মানসিক সহায়তার জন্য কাউন্সেলিং সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।

>> শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছোট ছোট দল তৈরি করা যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা, উদ্বেগ বা মানসিক চাপ নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। এটি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয়তা রক্ষার পরিবেশ তৈরি করবে।

>> শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নিয়মিত কর্মশালা করা।

>> আত্মহত্যা প্রতিরোধে ‘মেন্টাল হেলথ চ্যালেঞ্জ’ বা ‘জীবনের জন্য পয়েন্ট অর্জন’ নামে গেমিং অ্যাপ চালু করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা মানসিক সুস্থতার জন্য ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে।

>> শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ফিলিংস অ্যালার্ম সিস্টেম’ চালু করা, যা তাদের মেজাজের ওঠা-নামা পর্যবেক্ষণ করবে এবং হতাশার লক্ষণ দেখা দিলে সতর্কবার্তা পাঠাবে।

>> অভিভাবকদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়াতে এবং কীভাবে সন্তানদের মানসিক চাপ ও হতাশা সামলাতে সাহায্য করা যায় সে বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়ার কর্মসূচি চালু করা।

>> শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্ট, মিউজিক, ড্রামা বা ড্যান্স থেরাপি ক্লাস চালু করা। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের আবেগকে সৃজনশীল উপায়ে প্রকাশ করতে পারবে এবং মানসিক চাপ মুক্ত থাকবে।

>> সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “#LifeMatters” বা “#TalkToUs” এর মতো ক্যাম্পেইন চালু করে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় উৎসাহিত করা। যেখানে বিশেষজ্ঞরাও বিনামূল্যে পরামর্শ দিতে পারবেন।

>> নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ স্কলারশিপ চালু করা।

>> আত্মহত্যার পেছনের কারণ বিশ্লেষণ এবং কার্যকর সমাধান বের করার জন্য গবেষণা তহবিল তৈরি করা।

>> বছরে একদিন ‘জীবন সংরক্ষণ প্রতিশ্রুতি দিবস’ পালন করা।

>> প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সেশন রাখা, যেখানে তারা তাদের জীবনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। এটি তাদের ইতিবাচক চিন্তাভাবনা গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে।

>> মানসিক স্বাস্থ্য সেবার জন্য হেল্প লাইন চালু করা, যেটি সবসময় সচল থাকবে।

ছবি

সচিবালয়ের সামনে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের লাঠিপেটা

হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়টি রাজনৈতিক-কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

‘ডেভিল হান্টে’র ৫ম দিনে আরও ৫৬৬ জন গ্রেপ্তার

আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি, নিশ্চিত হতে আরও তদন্ত প্রয়োজন: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

ছবি

আবারও শাহবাগ অবরোধ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের: জলকামান, লাঠিচার্জেও অনড়, টেনে-হিঁচড়ে সরালো পুলিশ, আটক ১৪

‘মার্চ টু ঢাকা’ ঠেকাতে হাসিনা সরকারের যে পরিকল্পনার কথা জানালো জাতিসংঘ

ছবি

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে আহ্বান এইচআরডব্লিউ’র

ছবি

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর পঞ্চম দিনে গ্রেপ্তার ৫৬৬

ছবি

২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় আন্তর্জাতিক পোলট্রি মেলা

ছবি

হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে তাগিদ দেওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক-কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত:পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

ছবি

১০ মিনিটে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন

ছবি

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখতে হবে: মহিউদ্দিন রুবেল

ঢাকার বাইরেও ‘আয়নাঘর’ আছে, খুঁজে বের করা হবে: প্রেস সচিব

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০০ কোটি টাকা চাইলো ইসি

ছবি

আওয়ামী লীগ দেশে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা

শেখ হাসিনা, তার সরকার ও দলের শীর্ষদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘প্রমাণ’ পেয়েছে জাতিসংঘ

মৃত্যুদণ্ড থাকলে ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়ায় সহযোগিতা ‘করবে না’ জাতিসংঘ

ছবি

টর্চার সেলে আটক থাকার কক্ষ শনাক্ত করলেন দুই উপদেষ্টা

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

ছবি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৮০০ কোটি টাকা চাইল ইসি

ছবি

আ. লীগ সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠিত করেছিল

হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

বাংলাদেশের জন্য আজ ঐতিহাসিক দিন: শফিকুল আলম

বিক্ষোভকারীদের দমাতে ‘প্রাণঘাতি বলপ্রয়োগের’ নির্দেশ দেয় সরকার : জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন

ছবি

ডেভিল হান্টে অস্ত্র উদ্ধার ‘আশানুরূপ নয়’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে ড. ইউনূস

ছবি

বইমেলায় হামলা: মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত

ছবি

সংস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন চান প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

সংবিধান সংস্কার কমিশনের জরিপ : ‌নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় ৮৬% মানুষ

ছবি

অপারেশন ডেভিল হান্ট: অভিযানের তৃতীয় দিনে গ্রেপ্তার ৬০৭ জন

গরম শুরুর আগেই আদানির পুরো বিদ্যুৎ চাইছে বাংলাদেশ

ছবি

শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা, দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টা

ছবি

‘ডেভিল হান্টের’ তৃতীয় দিনে হাতিয়ায় গোলাগুলি, বোমা বিস্ফোরণ

tab

জাতীয়

আঁচল ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা

এক বছরে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, মেয়েদের সংখ্যা বেশি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আত্মহত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত এক বছরে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, যার মধ্যে ৬১% মেয়ে শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন।

একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি জানায়, শিক্ষার স্তর অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি (৪৬.১%)। এছাড়া ২০২৩ সালে ৫১৩ জন এবং ২০২২ সালে ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিলেন, যা থেকে বোঝা যায়, সামগ্রিকভাবে আত্মহত্যার সংখ্যা কিছুটা কমলেও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ এখনও কাটেনি।

স্কুলগামীদের আত্মহত্যার হার বেশি

২০২৪ সালে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি (৪৯.৪%)। কলেজ পর্যায়ে এই হার ২৩.২% এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১৭.৭৪%। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ৬.৮%।

শিক্ষার স্তর অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ে আত্মহত্যার হার ৪৬.১%, উচ্চ মাধ্যমিকে ১৯.৪% এবং স্নাতক পর্যায়ে ১৪.৬%। এছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে ৭.৪%, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১.৯%, ডিপ্লোমা পর্যায়ে ০.৬%, এবং সদ্য পড়ালেখা শেষ করা বেকারদের মধ্যে ০.৬% আত্মহত্যা করেছেন।

ঢাকায় আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি

আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ২৯% শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে খুলনায় ১৭.৭%, চট্টগ্রামে ১৫.৮%, রাজশাহী ও বরিশালে ১০.৭%, রংপুরে ৭.৭%, ময়মনসিংহে ৫.৫% এবং সিলেটে ২.১% আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

আত্মহত্যার প্রধান কারণগুলো কী?

২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ অভিমান (২৮.৪%)। এছাড়া প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণে ১৬.৮%, পড়ালেখার চাপে ১৪.২%, এবং মানসিক অস্থিরতায় ৫.৫% শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।

কীভাবে আত্মহত্যা করেছেন?

সমীক্ষায় দেখা গেছে, আত্মহত্যার সবচেয়ে বেশি মাধ্যম ছিল গলায় ফাঁস (৮৩.৫%)। এছাড়া বিষপান (৮.৭%), এবং অন্যান্য উপায়ে (উঁচু থেকে লাফ, ট্রেনে কাটা পড়া, পানিতে ডোবা, ছুরি দিয়ে আঘাত ইত্যাদি) ৪.৬% শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।

আত্মহত্যা রোধে সুপারিশ

আঁচল ফাউন্ডেশন শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছে।

>> শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘স্বেচ্ছাসেবী অ্যাম্বাসেডর’ নিয়োগ। তারা তাদের সহপাঠীদের মানসিক চাপ, হতাশা বা উদ্বেগ চিহ্নিত করে মানসিক সহায়তার জন্য কাউন্সেলিং সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।

>> শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছোট ছোট দল তৈরি করা যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা, উদ্বেগ বা মানসিক চাপ নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। এটি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয়তা রক্ষার পরিবেশ তৈরি করবে।

>> শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নিয়মিত কর্মশালা করা।

>> আত্মহত্যা প্রতিরোধে ‘মেন্টাল হেলথ চ্যালেঞ্জ’ বা ‘জীবনের জন্য পয়েন্ট অর্জন’ নামে গেমিং অ্যাপ চালু করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা মানসিক সুস্থতার জন্য ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে।

>> শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ফিলিংস অ্যালার্ম সিস্টেম’ চালু করা, যা তাদের মেজাজের ওঠা-নামা পর্যবেক্ষণ করবে এবং হতাশার লক্ষণ দেখা দিলে সতর্কবার্তা পাঠাবে।

>> অভিভাবকদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়াতে এবং কীভাবে সন্তানদের মানসিক চাপ ও হতাশা সামলাতে সাহায্য করা যায় সে বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়ার কর্মসূচি চালু করা।

>> শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্ট, মিউজিক, ড্রামা বা ড্যান্স থেরাপি ক্লাস চালু করা। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের আবেগকে সৃজনশীল উপায়ে প্রকাশ করতে পারবে এবং মানসিক চাপ মুক্ত থাকবে।

>> সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “#LifeMatters” বা “#TalkToUs” এর মতো ক্যাম্পেইন চালু করে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় উৎসাহিত করা। যেখানে বিশেষজ্ঞরাও বিনামূল্যে পরামর্শ দিতে পারবেন।

>> নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ স্কলারশিপ চালু করা।

>> আত্মহত্যার পেছনের কারণ বিশ্লেষণ এবং কার্যকর সমাধান বের করার জন্য গবেষণা তহবিল তৈরি করা।

>> বছরে একদিন ‘জীবন সংরক্ষণ প্রতিশ্রুতি দিবস’ পালন করা।

>> প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সেশন রাখা, যেখানে তারা তাদের জীবনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। এটি তাদের ইতিবাচক চিন্তাভাবনা গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে।

>> মানসিক স্বাস্থ্য সেবার জন্য হেল্প লাইন চালু করা, যেটি সবসময় সচল থাকবে।

back to top