alt

জাতীয়

শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদের সংকট: আদিবাসী গ্রাফিতি বিতর্কে প্রতিবাদ

সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতির দাবিতে উত্তাল প্রতিবাদ সভা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ নামে একটি নাম-না-জানা সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী গ্রাফিতি অপসারণ করা হলো। শনিবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’র আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, “যদি সরকার এই ঘটনার পর দুঃখপ্রকাশ করতে পারে, তাহলে এই সংগঠনের দাবির প্রতি এত দ্রুত কেন সাড়া দেওয়া হলো? সরকারকে এ বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে।”

এই সমাবেশটি আয়োজন করা হয় আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে এবং গত বুধবার মতিঝিলে পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে।

‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ নামের সংগঠনটি ১২ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ঘেরাও করে পাঠ্যবইয়ের পেছনের মলাট থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি অপসারণসহ পাঁচ দফা দাবি তোলে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সেদিন রাতেই বইটির অনলাইন সংস্করণ থেকে গ্রাফিতি সরিয়ে নেওয়া হয়।

তবে আদিবাসী ছাত্র জনতার দাবি, এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ এবং চাপের মুখে নেওয়া হয়েছে। গ্রাফিতি অপসারণের প্রতিবাদ জানাতে বুধবার পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’র কর্মীরা সেখানে হামলা চালায়। এ হামলায় ২১ জনের বেশি আহত হন।

সমাবেশে জোবাইদা নাসরীন বলেন, “একটি সংগঠন যারা নিজেদের পরিচিতি দিয়ে আমাদের সামনে নতুন এসেছে, তাদের দাবিতে এভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া কেন? এটি শুধু আদিবাসীদের উপর নিপীড়নের দৃষ্টান্ত নয়, বরং বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক আদর্শের বিপরীত। সংবিধান সংস্কারে বহুত্ববাদের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু এই নিপীড়ন তার বিপরীতে কাজ করছে।”

অন্যদিকে, আইনজীবী নিকোলাস চাকমা বলেন, “পাঠ্যপুস্তকে কী রাখা হবে তা এনসিটিবির যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। তাহলে চিন্তাভাবনা করেই গ্রাফিতিটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। হঠাৎ করে একটি সংগঠনের চাপে সেটি সরানো হলো কেন?”

১. পাঠ্যবই থেকে সরানো গ্রাফিতি পুনর্বহাল করতে হবে।

২. আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।

৩. বুধবারের হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, “এই ঘটনা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী। সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতি না দিয়ে এভাবে তাদের ন্যায্য দাবিকে অবদমিত করার চেষ্টা চললে জনগণ তা মেনে নেবে না।”

আদিবাসী ছাত্র জনতার নেতা অলিক মৃ বলেন, “হামলাকারীদের নেতৃত্বদানকারী এখনও বিভিন্ন টক শোতে অংশ নিচ্ছেন, অথচ তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। সরকার কী কারণে তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হচ্ছে? তার কি এমন শক্তি রয়েছে যে রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে?”

তিনি আরও দাবি করেন, “যতক্ষণ না এই ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এটা শুধু আদিবাসী শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার লড়াই নয়, এটা ন্যায্যতার প্রশ্ন।”

সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না আসলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রাফিতি সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল উগ্রবাদ এড়াতে। তবে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা এবং দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা একমত হন যে, সংবিধানের বহুত্ববাদী চেতনাকে রক্ষার জন্য রাষ্ট্রকে আরো জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। তারা জানান, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং পাঠ্যবইয়ে তাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির যথাযথ স্থান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

এই আন্দোলন এখন শুধু আদিবাসী ছাত্র জনতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষাক্রম, সংস্কৃতি ও সংবিধানের অন্তর্ভুক্তিমূলক চেতনার প্রতিনিধিত্ব করছে।

ছবি

বৃষ্টিপাত কমার আভাস, সরানো হলো সতর্ক সংকেত

ছবি

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম গেলো ত্রিপুরা

৯৮৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ উত্তীর্ণ, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনে খসড়া অনুমোদন

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য ভিত্তিহীন: পিএসসি

নির্মাণাধীন ভবনে সাবেক সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তার ফ্ল্যাট, অনুসন্ধানে দুদক

দেশে আবার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা যাতে তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত: আলী রীয়াজ

সরকারি নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

এস আলম ও পরিবারের সিঙ্গাপুরে ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

অর্থ আত্মসাৎ স্বাস্থ্যের সাবেক পরিচালকসহ ২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় সড়কে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বার

ছবি

প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে এসএসসিতে অদম্য লিতুন জিরার চমক

ডেঙ্গু: চলতি বছরে আক্রান্ত প্রায় ১৪ হাজার, মোট মৃত্যু ৫৪ জনের

ছবি

বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, একটি খুনি বাহিনী: নাহিদ

ছবি

মোবাইল তুলতে গিয়ে ৪ চা শ্রমিকের মৃত্যু, বাগানে শোকের ছায়া

শাপলা-দোয়েল বাদ, যুক্ত হচ্ছে বেগুন, লাউ, লিচু

আইসিসিতে বিচার দাবি অ্যামনেস্টির

ছবি

নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণে পানিবন্দী ৬৩,৮৬০ পরিবার, আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৮ পরিবার, জনদুর্ভোগ চরমে

গণমাধ্যম সংস্কারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১২ নতুন সিদ্ধান্ত

আরপিও, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন সংশোধনসহ এক গুচ্ছ সুপারিশ নিয়ে ইসির বৈঠক

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল বোর্ড

মার্কিন শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা আজ শেষ হচ্ছে, প্রথম দিনের আলোচনায় ‘বেশিরভাগ ইস্যুতে ঐকমত্য’

ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সন্তুষ্ট বিএনপি

ছবি

১৫ বছর পর এসএসসি ও সমমানের ফলে ছন্দপতন, ১৯ লাখ পরীক্ষার্থীর ছয় লাখই ফেল

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার বিচার শুরু, দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

ছবি

চীন ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

১৮ জুলাই গ্রাহকদের ১ জিবি ফ্রি ডেটা দিতে নির্দেশনা জারি করেছে বিটিআরসি

ছবি

শহীদ ও আহতদের জন্য আলাদা দুটি ফ্ল্যাট প্রকল্প একনেকে যাচ্ছে

ছবি

জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী ঐচ্ছিক প্রোটোকলসহ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

মাধ্যমিকে পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে অগ্রগতি, কিন্তু এখন মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য জরুরি: আলী রীয়াজ

ছবি

শাপলা-দোয়েল বাদ, নতুন তালিকায় ১১৫ প্রতীক

ছবি

বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের এবার বাদ দেওয়ার চিন্তা

ছবি

জুলাই আহতদের জন্য ঢাকায় দেড় হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার

ছবি

শেখ হাসিনার কল রেকর্ড ‘ট্রেলারমাত্র’, উদ্ধার করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা: তাজুল ইসলাম

tab

জাতীয়

শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদের সংকট: আদিবাসী গ্রাফিতি বিতর্কে প্রতিবাদ

সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতির দাবিতে উত্তাল প্রতিবাদ সভা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ নামে একটি নাম-না-জানা সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী গ্রাফিতি অপসারণ করা হলো। শনিবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’র আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, “যদি সরকার এই ঘটনার পর দুঃখপ্রকাশ করতে পারে, তাহলে এই সংগঠনের দাবির প্রতি এত দ্রুত কেন সাড়া দেওয়া হলো? সরকারকে এ বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে।”

এই সমাবেশটি আয়োজন করা হয় আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে এবং গত বুধবার মতিঝিলে পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে।

‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ নামের সংগঠনটি ১২ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ঘেরাও করে পাঠ্যবইয়ের পেছনের মলাট থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি অপসারণসহ পাঁচ দফা দাবি তোলে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সেদিন রাতেই বইটির অনলাইন সংস্করণ থেকে গ্রাফিতি সরিয়ে নেওয়া হয়।

তবে আদিবাসী ছাত্র জনতার দাবি, এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ এবং চাপের মুখে নেওয়া হয়েছে। গ্রাফিতি অপসারণের প্রতিবাদ জানাতে বুধবার পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’র কর্মীরা সেখানে হামলা চালায়। এ হামলায় ২১ জনের বেশি আহত হন।

সমাবেশে জোবাইদা নাসরীন বলেন, “একটি সংগঠন যারা নিজেদের পরিচিতি দিয়ে আমাদের সামনে নতুন এসেছে, তাদের দাবিতে এভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া কেন? এটি শুধু আদিবাসীদের উপর নিপীড়নের দৃষ্টান্ত নয়, বরং বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক আদর্শের বিপরীত। সংবিধান সংস্কারে বহুত্ববাদের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু এই নিপীড়ন তার বিপরীতে কাজ করছে।”

অন্যদিকে, আইনজীবী নিকোলাস চাকমা বলেন, “পাঠ্যপুস্তকে কী রাখা হবে তা এনসিটিবির যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। তাহলে চিন্তাভাবনা করেই গ্রাফিতিটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। হঠাৎ করে একটি সংগঠনের চাপে সেটি সরানো হলো কেন?”

১. পাঠ্যবই থেকে সরানো গ্রাফিতি পুনর্বহাল করতে হবে।

২. আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।

৩. বুধবারের হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, “এই ঘটনা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী। সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতি না দিয়ে এভাবে তাদের ন্যায্য দাবিকে অবদমিত করার চেষ্টা চললে জনগণ তা মেনে নেবে না।”

আদিবাসী ছাত্র জনতার নেতা অলিক মৃ বলেন, “হামলাকারীদের নেতৃত্বদানকারী এখনও বিভিন্ন টক শোতে অংশ নিচ্ছেন, অথচ তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। সরকার কী কারণে তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হচ্ছে? তার কি এমন শক্তি রয়েছে যে রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে?”

তিনি আরও দাবি করেন, “যতক্ষণ না এই ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এটা শুধু আদিবাসী শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার লড়াই নয়, এটা ন্যায্যতার প্রশ্ন।”

সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না আসলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রাফিতি সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল উগ্রবাদ এড়াতে। তবে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা এবং দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা একমত হন যে, সংবিধানের বহুত্ববাদী চেতনাকে রক্ষার জন্য রাষ্ট্রকে আরো জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। তারা জানান, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং পাঠ্যবইয়ে তাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির যথাযথ স্থান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

এই আন্দোলন এখন শুধু আদিবাসী ছাত্র জনতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষাক্রম, সংস্কৃতি ও সংবিধানের অন্তর্ভুক্তিমূলক চেতনার প্রতিনিধিত্ব করছে।

back to top