সরকারি চাকরিতে প্রবেশে পুরুষের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ ও নারীর ৩৭ বছর করার দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছে চাকরিপ্রত্যাশীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকশ’ আন্দোলনকারী শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন। পরে তারা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা হন। দোয়েল চত্বর দিয়ে শিক্ষাভবনের সামনে আসার পর পুলিশের বাধার মুখে পড়ে আন্দোলনকারীরা। এরপর সেখানেই তারা অবস্থান নিলে শিক্ষাভবন থেকে জিরো পয়েন্ট সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
‘এক দফা এক দাবি, ৩৫ ৩৫’, ‘লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, আমার বোনের রক্ত- বৃথা যেতে দেব না’- এমন নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের একজন রফিকুল ইসলাম বলেন, দাবি আদায়ের প্রশ্নে তারা অনড়। আন্দোলন চলতে থাকবে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে চাকরিতে আবেদনের নূন্যতম বয়স ৩৫ বছর করার কথা বলা হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে বয়সসীমা উন্মুক্ত রাখার কথাও বলা হয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকার বয়সসীমা নির্ধারণ করেছে ৩২ বছর।
আন্দোলনকারীরা সেই সিন্ধান্ত মানেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সেটা মানি না, আমরা আবারও আন্দোলনে নেমেছি। যতক্ষণ দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।’
বিক্ষোভে অংশ নেয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে তারা সমাবেশ করেছেন। আন্দোলন আবার শুরু হয়েছে। তারা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন।
নিলুফা আরও বলেন, ‘আমরা সচিবালয়ের দিকে যেতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানে আছি।’
দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ তা খুব একটা আমলে নেয়নি।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সরকারি চাকরিতে প্রবেশে পুরুষের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ ও নারীর ৩৭ বছর করার দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছে চাকরিপ্রত্যাশীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকশ’ আন্দোলনকারী শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন। পরে তারা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা হন। দোয়েল চত্বর দিয়ে শিক্ষাভবনের সামনে আসার পর পুলিশের বাধার মুখে পড়ে আন্দোলনকারীরা। এরপর সেখানেই তারা অবস্থান নিলে শিক্ষাভবন থেকে জিরো পয়েন্ট সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
‘এক দফা এক দাবি, ৩৫ ৩৫’, ‘লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, আমার বোনের রক্ত- বৃথা যেতে দেব না’- এমন নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের একজন রফিকুল ইসলাম বলেন, দাবি আদায়ের প্রশ্নে তারা অনড়। আন্দোলন চলতে থাকবে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে চাকরিতে আবেদনের নূন্যতম বয়স ৩৫ বছর করার কথা বলা হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে বয়সসীমা উন্মুক্ত রাখার কথাও বলা হয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকার বয়সসীমা নির্ধারণ করেছে ৩২ বছর।
আন্দোলনকারীরা সেই সিন্ধান্ত মানেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সেটা মানি না, আমরা আবারও আন্দোলনে নেমেছি। যতক্ষণ দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।’
বিক্ষোভে অংশ নেয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে তারা সমাবেশ করেছেন। আন্দোলন আবার শুরু হয়েছে। তারা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন।
নিলুফা আরও বলেন, ‘আমরা সচিবালয়ের দিকে যেতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানে আছি।’
দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ তা খুব একটা আমলে নেয়নি।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।