মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান এবং নিয়োগপত্রের দুটি শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
বুধবার চট্টগ্রামের বটতলী পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয়। রানিং স্টাফদের দাবি না মানা হলে দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মজিবুর রহমান জানান, রানিং স্টাফদের দাবি পূরণ না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কারণে রানিং স্টাফদের পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দ্রুত সংশোধন করা প্রয়োজন।
রানিং স্টাফদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান নিশ্চিত করা এবং নতুন নিয়োগ পাওয়া রানিং স্টাফদের জন্য আরোপিত দুটি শর্ত বাতিল করা। এছাড়া বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পুনর্বহালেরও দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের নেতারা জানান, ১৬০ বছর ধরে রানিং স্টাফরা অবসরের পর মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক পেয়ে আসছেন। কিন্তু ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন নিয়ম চালু করে বেতন, পেনশন ও আনুতোষিক কমিয়ে দেয়, যা রানিং স্টাফদের জীবনযাত্রায় সংকট তৈরি করেছে।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য ২০২২ সালের পর থেকে দুটি শর্ত যোগ করা হয়েছে। প্রথমত, তারা রানিং অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা পাবেন না। দ্বিতীয়ত, তাদের মাসিক রানিং অ্যালাউন্স মূল বেতনের চেয়ে বেশি হবে না। এছাড়া, অবসরের সময় তাদের শেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে পেনশন নির্ধারণ করা হবে, যা রেলওয়ের প্রচলিত বিধির পরিপন্থী বলে অভিযোগ করেন রানিং স্টাফরা।
রানিং স্টাফদের দাবি আদায়ে এর আগেও আন্দোলন হয়েছে। ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল তারা কর্মবিরতি পালন করলে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন রেল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। কিন্তু এখনো সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের দাবির পক্ষে থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিয়ে জটিলতা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী, সহ-সভাপতি খুরশিদ আলমসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান এবং নিয়োগপত্রের দুটি শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
বুধবার চট্টগ্রামের বটতলী পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয়। রানিং স্টাফদের দাবি না মানা হলে দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মজিবুর রহমান জানান, রানিং স্টাফদের দাবি পূরণ না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কারণে রানিং স্টাফদের পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দ্রুত সংশোধন করা প্রয়োজন।
রানিং স্টাফদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান নিশ্চিত করা এবং নতুন নিয়োগ পাওয়া রানিং স্টাফদের জন্য আরোপিত দুটি শর্ত বাতিল করা। এছাড়া বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পুনর্বহালেরও দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের নেতারা জানান, ১৬০ বছর ধরে রানিং স্টাফরা অবসরের পর মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক পেয়ে আসছেন। কিন্তু ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন নিয়ম চালু করে বেতন, পেনশন ও আনুতোষিক কমিয়ে দেয়, যা রানিং স্টাফদের জীবনযাত্রায় সংকট তৈরি করেছে।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য ২০২২ সালের পর থেকে দুটি শর্ত যোগ করা হয়েছে। প্রথমত, তারা রানিং অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা পাবেন না। দ্বিতীয়ত, তাদের মাসিক রানিং অ্যালাউন্স মূল বেতনের চেয়ে বেশি হবে না। এছাড়া, অবসরের সময় তাদের শেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে পেনশন নির্ধারণ করা হবে, যা রেলওয়ের প্রচলিত বিধির পরিপন্থী বলে অভিযোগ করেন রানিং স্টাফরা।
রানিং স্টাফদের দাবি আদায়ে এর আগেও আন্দোলন হয়েছে। ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল তারা কর্মবিরতি পালন করলে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন রেল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। কিন্তু এখনো সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের দাবির পক্ষে থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিয়ে জটিলতা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী, সহ-সভাপতি খুরশিদ আলমসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।