প্রভাবশালীরা গত ১৭ বছর ধরে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রায় ১০ একর সম্পত্তি দখলে রেখেছিল। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্ধকৃত সাত একর সম্পত্তিও রয়েছে।
অবশেষে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ, র্যাবসহ যৌথ বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সম্পত্তি দখলমুক্ত করেছেন।
এই সম্পত্তি দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের সহায়তা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। চাওয়া হয়েছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সহায়তা।
১৪ একরেরও বেশি সম্পত্তি প্রভাবশালীরা দখল করে ভবন বানিয়েছে
আরও সরকারি সম্পত্তি দখলদারদের নিবন্ধন বাতিলসহ ব্যবস্থা নিতে রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সংবাদকে জানান, রাজধানীর মিরপুর ৮ নম্বর সেকশনের ব্লক-ঘ এর ঝিলপাড়ে প্রায় ১০ একর সম্পত্তি রয়েছে। সেই জমি প্রভাবশালীরা দখল করে মোল্লা বস্তি গড়ে তোলে ভাড়া দিত। ওই বস্তি থেকে নিয়মিত ভাড়া আদায় করতো। বিগত সরকারের আমলে ওই জায়গা প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছে। যার কারণে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা নোটিস দেয়ার পরও বস্তি থাকায় জায়গা দখল করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি এ নিয়ে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয় ও মিরপুর ঢাকা ডিভিশন-১ অফিসের যৌথ উদ্যোগে কয়েকশ পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কড়া নিরাপত্তায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
উচ্ছেদের ফলে রাষ্ট্রের সম্পত্তি অবশেষে দখলমুক্ত হলো। যার মূল্য এক হাজার ৫শ’ কোটি টাকার বেশি হবে বলে দাবি করছেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলীরা।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ঢাকা ডিভিশন-১ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন সংবাদকে জানান, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বস্তির দখলে নেয়া সম্ভব হয়নি। এখন ১০ একর সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। এই সম্পত্তি এখন সরকারের দখলে আসছে। এতে সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্ধ দেয়া সম্পত্তি হস্তাস্তর করা সম্ভব হবে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ঢাকা ডিভিশনের-১ নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাঈখ মুঠোফোনে সংবাদকে জানান, সম্পত্তি দখল মুক্ত করার আগে অবৈধ দখলদারদেরকে নোটিস দেয়া থেকে শুরু করে মাইকিং করা হয়েছে। এরপর গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নির্দেশে বুধবার (২২ জানুয়ারি) ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। দখলমুক্ত করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সেখানে ২০০৬ সালে বরাদ্ধ প্রাপ্তদের সম্পত্তি তাদের বুঝিয়ে দেয়ার পরও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সম্পদ থাকবে।
এই কর্মকর্তা ইতোমধ্যে মিরপুরে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আরও প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ প্রভাবশালী হাউজিংয়ের দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারে পল্লবী থানায় মামলাও দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদনও করেছেন।
প্রভাশালীরা মিরপুর বাউনিয়া মোজার ১৪ দশমিক ৫৮ একর সম্পত্তি দখল করে ভবন তৈরি করে বিক্রি করে দিয়েছে। ওই সময়ের গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ না করলে এখন বর্তমান প্রশাসন দখল ও অবৈধভাবে ভবন তৈরি করা সম্পত্তি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে কাজ করছেন। বর্তমানে এই সম্পত্তির মূল্য এক হাজারেরও বেশি কোটি টাকার হবে বলে মন্তব্য করেন।
জাতীয় গৃহায়ন কর্র্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, মিরপুর হাউজিং এস্টেটের বাউনিয়া মৌজার ৯ নম্বর সেকশনসহ আশপাশ এলাকার অধিগ্রহণ ও গেজেট মতে ১৪ দশমিক ৫৮ একর সম্পত্তি প্রভাবশালীরা হাউজিংয়ের নামে দখল করে শেয়ার প্লট আকারে বিক্রি করে দিয়েছে। সেখানে অনেকেই ভবন তৈরি করেছেন। ওই সময় সরকারি এই সম্পদ কিভাবে দখলে নিয়েছে। কি ভাবে কাগজপত্র তৈরি করেছে। তাদের রাঘব বোয়ালরা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার হাউজিং থেকে অনেকেই সেই সম্পত্তি কিনে প্রতারিত হয়েছে।জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সরকারি এই সব সম্পত্তি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিত জারিকৃত পত্রাদির কার্যকারিতা বাতিল করার জন্য রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত জানিয়েছেন। এরপর গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সেখানে স্বপ্ননগর হাউজিং তৃতীয় প্রকল্প করার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছেন।
সরকারি সম্পত্তি দখলদার ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর নিবন্ধন, নকশা বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচালক স্বাক্ষর করেছেন।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
প্রভাবশালীরা গত ১৭ বছর ধরে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রায় ১০ একর সম্পত্তি দখলে রেখেছিল। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্ধকৃত সাত একর সম্পত্তিও রয়েছে।
অবশেষে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ, র্যাবসহ যৌথ বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সম্পত্তি দখলমুক্ত করেছেন।
এই সম্পত্তি দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের সহায়তা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। চাওয়া হয়েছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সহায়তা।
১৪ একরেরও বেশি সম্পত্তি প্রভাবশালীরা দখল করে ভবন বানিয়েছে
আরও সরকারি সম্পত্তি দখলদারদের নিবন্ধন বাতিলসহ ব্যবস্থা নিতে রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সংবাদকে জানান, রাজধানীর মিরপুর ৮ নম্বর সেকশনের ব্লক-ঘ এর ঝিলপাড়ে প্রায় ১০ একর সম্পত্তি রয়েছে। সেই জমি প্রভাবশালীরা দখল করে মোল্লা বস্তি গড়ে তোলে ভাড়া দিত। ওই বস্তি থেকে নিয়মিত ভাড়া আদায় করতো। বিগত সরকারের আমলে ওই জায়গা প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছে। যার কারণে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা নোটিস দেয়ার পরও বস্তি থাকায় জায়গা দখল করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি এ নিয়ে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয় ও মিরপুর ঢাকা ডিভিশন-১ অফিসের যৌথ উদ্যোগে কয়েকশ পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কড়া নিরাপত্তায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
উচ্ছেদের ফলে রাষ্ট্রের সম্পত্তি অবশেষে দখলমুক্ত হলো। যার মূল্য এক হাজার ৫শ’ কোটি টাকার বেশি হবে বলে দাবি করছেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলীরা।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ঢাকা ডিভিশন-১ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন সংবাদকে জানান, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বস্তির দখলে নেয়া সম্ভব হয়নি। এখন ১০ একর সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। এই সম্পত্তি এখন সরকারের দখলে আসছে। এতে সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্ধ দেয়া সম্পত্তি হস্তাস্তর করা সম্ভব হবে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ঢাকা ডিভিশনের-১ নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাঈখ মুঠোফোনে সংবাদকে জানান, সম্পত্তি দখল মুক্ত করার আগে অবৈধ দখলদারদেরকে নোটিস দেয়া থেকে শুরু করে মাইকিং করা হয়েছে। এরপর গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নির্দেশে বুধবার (২২ জানুয়ারি) ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। দখলমুক্ত করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সেখানে ২০০৬ সালে বরাদ্ধ প্রাপ্তদের সম্পত্তি তাদের বুঝিয়ে দেয়ার পরও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সম্পদ থাকবে।
এই কর্মকর্তা ইতোমধ্যে মিরপুরে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আরও প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ প্রভাবশালী হাউজিংয়ের দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারে পল্লবী থানায় মামলাও দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদনও করেছেন।
প্রভাশালীরা মিরপুর বাউনিয়া মোজার ১৪ দশমিক ৫৮ একর সম্পত্তি দখল করে ভবন তৈরি করে বিক্রি করে দিয়েছে। ওই সময়ের গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ না করলে এখন বর্তমান প্রশাসন দখল ও অবৈধভাবে ভবন তৈরি করা সম্পত্তি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে কাজ করছেন। বর্তমানে এই সম্পত্তির মূল্য এক হাজারেরও বেশি কোটি টাকার হবে বলে মন্তব্য করেন।
জাতীয় গৃহায়ন কর্র্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, মিরপুর হাউজিং এস্টেটের বাউনিয়া মৌজার ৯ নম্বর সেকশনসহ আশপাশ এলাকার অধিগ্রহণ ও গেজেট মতে ১৪ দশমিক ৫৮ একর সম্পত্তি প্রভাবশালীরা হাউজিংয়ের নামে দখল করে শেয়ার প্লট আকারে বিক্রি করে দিয়েছে। সেখানে অনেকেই ভবন তৈরি করেছেন। ওই সময় সরকারি এই সম্পদ কিভাবে দখলে নিয়েছে। কি ভাবে কাগজপত্র তৈরি করেছে। তাদের রাঘব বোয়ালরা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার হাউজিং থেকে অনেকেই সেই সম্পত্তি কিনে প্রতারিত হয়েছে।জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সরকারি এই সব সম্পত্তি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিত জারিকৃত পত্রাদির কার্যকারিতা বাতিল করার জন্য রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত জানিয়েছেন। এরপর গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সেখানে স্বপ্ননগর হাউজিং তৃতীয় প্রকল্প করার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছেন।
সরকারি সম্পত্তি দখলদার ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর নিবন্ধন, নকশা বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচালক স্বাক্ষর করেছেন।