alt

জাতীয়

বিমানবন্দরের দ্বিতীয় দফার হুমকিও ভুয়া

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

একদিনে দ্বিতীয় দফায় পাওয়া বোমার হুমকির পরেও তল্লাশি চালিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু মেলেনি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি এসব ‘তথ্যদাতাকেও’ খোঁজা হচ্ছে।

তবে এসব হুমকি কাজ বাড়িয়েছে বিমানবন্দরে কর্মরত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর। এরকম তথ্য পেলে নিয়ম অনুযায়ী যে তল্লাশি চালাতে হয়- তা সময় ও শ্রমসাধ্য ব্যপার।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলছেন, “যেকোনো রকম থ্রেট পেলে আমরা তল্লাশি চালাতে বাধ্য। এটা প্রটোকলের মধ্যে রয়েছে।”

তিনি বলছেন, “কে বা কারা এই (হুমকির) তথ্য দিচ্ছে- তা খোঁজা হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে যে কেউই বাংলাদেশে বসেও পাকিস্তানের নম্বর ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ধনেরর হুমকি দাতাদের যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজার আইন রয়েছে বাংলাদেশে।”

বুধবার ভোরে বিমানবন্দরে কর্মরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডিউটি অফিসারের সরকারি মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে পাকিস্তানি একটি নম্বর থেকে বার্তা আসে। সেখানে বলা হয়, রোম থেকে ছেড়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের একটি লাগেজে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। এরপর নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে উড়োজাহাজটিকে অবতরণ করানো হয়। যাত্রীদের নামানোর পর উড়োজাহাজে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি কিছুই।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার রাত ১১টার দিকে এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের একই ফোনে মালয়েশিয়ার একটি নম্বর থেকে আরেকটি বার্তা আসে। সেখানে একটি লাগেজের ছবি দিয়ে বলা হয়, বিমানবন্দরে এরকম লাগেজে বিস্ফোরক থাকতে পারে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী আরেক দফা তল্লাশি চালায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিমান বন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে জানান, নিরাপত্তা তল্লাশি করে কোথাও কিছু পাওয়া যায়নি। রাত আড়াইটায় তল্লাশি কার্যক্রম সমাপ্ত (থ্রেট ক্লিয়ার) ঘোষণা করা হয়।

শাহজালাল বিমানবন্দরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বুধবার রোম থেকে আসা বিমানের ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ২০ মিনিটে নামার পর সেটিকে থার্ড টার্মিনালের সামনে একটু ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়; যাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মূল এয়ারপোর্টে কার্যক্রম চালানো যায়। উড়োজাহাজটি অবতরণ করার আগ পর্যন্ত যাত্রীদের এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

যাত্রীদের নিজেদের হাতব্যাগ রেখেই বোর্ডিং পাস নিয়ে নেমে আসতে বলা হয়। তাদেরকে কয়েকটি বাসে তুলে টার্মিনালে নেওয়া হয়। সেখানে বিমানের পক্ষ থেকে তাদের খাবার-পানিসহ আনুষঙ্গিক সেবা দেওয়া হয়।

ওই কর্মকর্তা বলেন, “উড়োজাহাজের ভেতরে গিয়ে দেখা গেল, যাত্রীদের অনেকেই সিটের ওপর পাসপোর্ট-ফোন ফেলে গেছেন। ভেতরে কিছুটা এলোমেলো অবস্থা। তখন কয়েকশ বড় পলিব্যাগ নিয়ে আসা হয়।

“কেবিনের সিটের ওপর লকার থেকে যাত্রীদের প্রত্যেকটি ব্যাগ নামিয়ে তল্লাশি শেষে সিট নম্বর অনুযায়ী পলিথিনে প্যাক সেখানেই রেখে দেওয়া হয়।”

ওই কর্মকর্তা বলেন, “ইউরোপ থেকে আসা যাত্রীরা হাতব্যাগে প্রচুর মালামাল ক্যারি করেন। এর মধ্যে একটা দুশ্চিন্তা ছিল কোনো যাত্রীর মালামাল যেন না হারায়। কেউ যেন বলতে না পারেন তার মোবাইল কিংবা অন্য কিছু খোয়া গেছে।”

বিমানবন্দরের ওই কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজের কার্গো হোল্ডে ছোট ছোট কনটেইনারে ও প্যালেটে রাখা ব্যাগ ও অন্যান্য মালামালও নামানো হয়। এর মধ্যেই পুলিশের ‘স্নিফার ডগ’ চলে আসে। প্রত্যেকটা ব্যাগ বের করে সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়।

প্রথমে সেগুলো বোম ডিসপোজাল ইউনিটের স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করা হয়। পরে সেগুলো কুকুর দিয়ে শোঁকানো হয়। অনেক ব্যাগ খুলেও পরীক্ষা করা হয়। কিছু ব্যাগ এক্সরে করেও দেখা হয়। পরে কিছু না পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে তল্লাশি শেষ করে ‘থ্রেট ক্লিয়ার’ ঘোষণা করা হয়।

ওই কর্মকর্তা বলেন, তল্লাশি শেষ হওয়ার পর বোর্ডিং কার্ড অনুযায়ী সিট নম্বর ধরে ২০-৩০ জন যাত্রীকে বাসে করে এনে উড়োজাহাজে তুলে তাদের মালামাল সংগ্রহের জন্য বলা হয়। এরপর যাত্রীরা মালামাল নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান।

তল্লাশি কার্যক্রমে বিমানবন্দরে কর্মরত সংস্থাগুলো ছাড়াও পুলিশ-র‌্যাবের সদস্যরাও অংশন।

বেবিচক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, “বিমান বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ সবগুলো সংস্থার সদস্যরা এই কার্যক্রমে অংশ নেন। পুলিশের কুকুরগুলোকে কাজে লাগানো হয়।”

ছবি

জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মাহমুদুর রহমানের আপিলের রায় ১০ ফেব্রুয়ারি

ছবি

টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের সময়সীমা নির্ধারণে আইনি নোটিশ

ছবি

বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ বৈষম্যমূলক, সংশোধনের দাবি বার সভাপতির

ছবি

ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে : ইসি মাছউদ

ছবি

একে একে কারাগার থেকে বের হচ্ছেন মুক্তি পাওয়া বিডিআর জওয়ানরা

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে লাগার্ডের সহায়তা চাইলেন ইউনূস

ছবি

আন্দোলন দমাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘের প্রতিবেদন ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি’

ছবি

সাড়ে ১৫ বছর পর মুক্তি: বিডিআর জওয়ানদের জন্য কারাফটকে স্বজনদের অপেক্ষা

অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ, বিচার চলবে

ছবি

সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর শাহবাগ থেকে সরলেন ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা

ছবি

শাহজালালে বোমা হুমকির বার্তা আসে পাকিস্তানি নম্বর থেকে : ডিএমপি

ছবি

১৭ বছর পর দখলমুক্ত হলো গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ১৫শ’ কোটি টাকার সম্পদ

ছবি

মহার্ঘ ভাতা ও ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন বন্ধের হুঁশিয়ারি

ছবি

ডাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

উড়োজাহাজে বিস্ফোরকের ভুয়া তথ্য, শনাক্ত হলে আইনি ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূসকে ২০২৫ ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ

ছবি

রোম থেকে ঢাকাগামী বিমানে বোমা হুমকি: মিথ্যা সংবাদের ভিত্তিতে সতর্কতা

ছবি

মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া মার্চের মধ্যে শুরু

ছবি

শাহজালালে বোমা হুমকির বার্তা পাকিস্তানি নম্বর থেকে: ডিএমপি

ছবি

মালয়েশিয়া যেতে অপেক্ষমাণ ১৮ হাজার কর্মীকে মার্চ-এপ্রিলে পাঠানোর উদ্যোগ

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ

ছবি

ঔষধ, রেস্তোরাঁ, মোবাইল ও পোশাক খাতে পূর্বের শুল্কহার বহাল

ছবি

ব্রিটিশ দম্পতির হারানো পাসপোর্ট ও তিন লাখ টাকা ৮ ঘণ্টায় উদ্ধার

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছে ঝুলছিল লাশ

ছবি

বিমানের রোম ফ্লাইটে বোমা পাওয়া যায়নি, ইমিগ্রেশনে আটকা ২৫০ যাত্রী

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের বৈঠক

ছবি

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দিকে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

ছবি

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস

ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোম ফ্লাইটে ‘বোমা হুমকি’, নিরাপদে ঢাকায় অবতরণ

‘গায়েবি’ ও সাইবার আইনে মত প্রকাশের মামলাগুলো ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহারের ঘোষণা আইন উপদেষ্টার

চাঁদাবাজি-ঘুষ বন্ধে বিশেষ ‘স্কোয়াড’ গঠনের সুপারিশ, টাস্কফোর্সের খসড়া প্রতিবেদন

ছবি

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ হবে কাউন্সিলের মাধ্যমে, অধ্যাদেশ

ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে সংঘর্ষ, আহত ৭

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় সহায়তার আশ্বাস জার্মান চ্যান্সেলর

ছবি

বাংলাদেশে জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ইইউ-ইউএন উইমেন অংশীদারত্ব চুক্তি

tab

জাতীয়

বিমানবন্দরের দ্বিতীয় দফার হুমকিও ভুয়া

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

একদিনে দ্বিতীয় দফায় পাওয়া বোমার হুমকির পরেও তল্লাশি চালিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু মেলেনি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি এসব ‘তথ্যদাতাকেও’ খোঁজা হচ্ছে।

তবে এসব হুমকি কাজ বাড়িয়েছে বিমানবন্দরে কর্মরত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর। এরকম তথ্য পেলে নিয়ম অনুযায়ী যে তল্লাশি চালাতে হয়- তা সময় ও শ্রমসাধ্য ব্যপার।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলছেন, “যেকোনো রকম থ্রেট পেলে আমরা তল্লাশি চালাতে বাধ্য। এটা প্রটোকলের মধ্যে রয়েছে।”

তিনি বলছেন, “কে বা কারা এই (হুমকির) তথ্য দিচ্ছে- তা খোঁজা হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে যে কেউই বাংলাদেশে বসেও পাকিস্তানের নম্বর ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ধনেরর হুমকি দাতাদের যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজার আইন রয়েছে বাংলাদেশে।”

বুধবার ভোরে বিমানবন্দরে কর্মরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডিউটি অফিসারের সরকারি মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে পাকিস্তানি একটি নম্বর থেকে বার্তা আসে। সেখানে বলা হয়, রোম থেকে ছেড়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের একটি লাগেজে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। এরপর নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে উড়োজাহাজটিকে অবতরণ করানো হয়। যাত্রীদের নামানোর পর উড়োজাহাজে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি কিছুই।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার রাত ১১টার দিকে এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের একই ফোনে মালয়েশিয়ার একটি নম্বর থেকে আরেকটি বার্তা আসে। সেখানে একটি লাগেজের ছবি দিয়ে বলা হয়, বিমানবন্দরে এরকম লাগেজে বিস্ফোরক থাকতে পারে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী আরেক দফা তল্লাশি চালায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিমান বন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে জানান, নিরাপত্তা তল্লাশি করে কোথাও কিছু পাওয়া যায়নি। রাত আড়াইটায় তল্লাশি কার্যক্রম সমাপ্ত (থ্রেট ক্লিয়ার) ঘোষণা করা হয়।

শাহজালাল বিমানবন্দরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বুধবার রোম থেকে আসা বিমানের ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ২০ মিনিটে নামার পর সেটিকে থার্ড টার্মিনালের সামনে একটু ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়; যাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মূল এয়ারপোর্টে কার্যক্রম চালানো যায়। উড়োজাহাজটি অবতরণ করার আগ পর্যন্ত যাত্রীদের এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

যাত্রীদের নিজেদের হাতব্যাগ রেখেই বোর্ডিং পাস নিয়ে নেমে আসতে বলা হয়। তাদেরকে কয়েকটি বাসে তুলে টার্মিনালে নেওয়া হয়। সেখানে বিমানের পক্ষ থেকে তাদের খাবার-পানিসহ আনুষঙ্গিক সেবা দেওয়া হয়।

ওই কর্মকর্তা বলেন, “উড়োজাহাজের ভেতরে গিয়ে দেখা গেল, যাত্রীদের অনেকেই সিটের ওপর পাসপোর্ট-ফোন ফেলে গেছেন। ভেতরে কিছুটা এলোমেলো অবস্থা। তখন কয়েকশ বড় পলিব্যাগ নিয়ে আসা হয়।

“কেবিনের সিটের ওপর লকার থেকে যাত্রীদের প্রত্যেকটি ব্যাগ নামিয়ে তল্লাশি শেষে সিট নম্বর অনুযায়ী পলিথিনে প্যাক সেখানেই রেখে দেওয়া হয়।”

ওই কর্মকর্তা বলেন, “ইউরোপ থেকে আসা যাত্রীরা হাতব্যাগে প্রচুর মালামাল ক্যারি করেন। এর মধ্যে একটা দুশ্চিন্তা ছিল কোনো যাত্রীর মালামাল যেন না হারায়। কেউ যেন বলতে না পারেন তার মোবাইল কিংবা অন্য কিছু খোয়া গেছে।”

বিমানবন্দরের ওই কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজের কার্গো হোল্ডে ছোট ছোট কনটেইনারে ও প্যালেটে রাখা ব্যাগ ও অন্যান্য মালামালও নামানো হয়। এর মধ্যেই পুলিশের ‘স্নিফার ডগ’ চলে আসে। প্রত্যেকটা ব্যাগ বের করে সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়।

প্রথমে সেগুলো বোম ডিসপোজাল ইউনিটের স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করা হয়। পরে সেগুলো কুকুর দিয়ে শোঁকানো হয়। অনেক ব্যাগ খুলেও পরীক্ষা করা হয়। কিছু ব্যাগ এক্সরে করেও দেখা হয়। পরে কিছু না পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে তল্লাশি শেষ করে ‘থ্রেট ক্লিয়ার’ ঘোষণা করা হয়।

ওই কর্মকর্তা বলেন, তল্লাশি শেষ হওয়ার পর বোর্ডিং কার্ড অনুযায়ী সিট নম্বর ধরে ২০-৩০ জন যাত্রীকে বাসে করে এনে উড়োজাহাজে তুলে তাদের মালামাল সংগ্রহের জন্য বলা হয়। এরপর যাত্রীরা মালামাল নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান।

তল্লাশি কার্যক্রমে বিমানবন্দরে কর্মরত সংস্থাগুলো ছাড়াও পুলিশ-র‌্যাবের সদস্যরাও অংশন।

বেবিচক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, “বিমান বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ সবগুলো সংস্থার সদস্যরা এই কার্যক্রমে অংশ নেন। পুলিশের কুকুরগুলোকে কাজে লাগানো হয়।”

back to top