ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের উচ্চ প্রবৃদ্ধিকে ‘ভুয়া’ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি, তার শাসনামল নিয়ে প্রশ্ন না তোলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করেছেন তিনি।
ডাভোসে রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে আমার খুব একটা আগ্রহ নেই। বরং আমি এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই, যেখানে সম্পদের বিকেন্দ্রীকরণ সম্ভব হবে।”
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। তার শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা হলেও ইউনূস সেই প্রবৃদ্ধিকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “তিনি (শেখ হাসিনা) ডাভোসে এসে সবাইকে সবক দিতেন কীভাবে দেশ চালাতে হয়। কিন্তু কেউ তাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। এটা মোটেও ভালো কোনো বৈশ্বিক ব্যবস্থা নয়। সব কিছুর জন্য বিশ্বের দায় আছে। তিনি (শেখ হাসিনা) বলতেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। ভুয়া প্রবৃদ্ধি; পুরোপুরি ভুয়া।”
কেন তিনি এই প্রবৃদ্ধিকে ‘ভুয়া’ বলছেন, সেই ব্যাখ্যা রয়টার্সকে দেননি ইউনূস। তবে তিনি বলেন, বৃহত্তর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি দরকার, যেখানে সম্পদের বৈষম্য থাকবে না।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৫%। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা ৮% ছুঁই ছুঁই করেছিল। যদিও কোভিড মহামারী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে প্রবৃদ্ধির হার পরবর্তীতে কিছুটা কমে যায়।
২০২৩ সালে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, “স্বাধীনতার পর দরিদ্র দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে।”
শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে বিচারের জন্য দেশে ফেরানোর দাবি জানিয়েছে ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।
তবে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ইউনূস বলেন, “এটা আমাকে কষ্ট দেয়। বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতের মানচিত্র আঁকতে পারবেন না। তাই দুই দেশের সম্পর্ক যতটা সম্ভব শক্তিশালী হওয়া উচিত।”
২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তিনি নিজে নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের উচ্চ প্রবৃদ্ধিকে ‘ভুয়া’ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি, তার শাসনামল নিয়ে প্রশ্ন না তোলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করেছেন তিনি।
ডাভোসে রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে আমার খুব একটা আগ্রহ নেই। বরং আমি এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই, যেখানে সম্পদের বিকেন্দ্রীকরণ সম্ভব হবে।”
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। তার শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা হলেও ইউনূস সেই প্রবৃদ্ধিকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “তিনি (শেখ হাসিনা) ডাভোসে এসে সবাইকে সবক দিতেন কীভাবে দেশ চালাতে হয়। কিন্তু কেউ তাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। এটা মোটেও ভালো কোনো বৈশ্বিক ব্যবস্থা নয়। সব কিছুর জন্য বিশ্বের দায় আছে। তিনি (শেখ হাসিনা) বলতেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। ভুয়া প্রবৃদ্ধি; পুরোপুরি ভুয়া।”
কেন তিনি এই প্রবৃদ্ধিকে ‘ভুয়া’ বলছেন, সেই ব্যাখ্যা রয়টার্সকে দেননি ইউনূস। তবে তিনি বলেন, বৃহত্তর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি দরকার, যেখানে সম্পদের বৈষম্য থাকবে না।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৫%। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা ৮% ছুঁই ছুঁই করেছিল। যদিও কোভিড মহামারী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে প্রবৃদ্ধির হার পরবর্তীতে কিছুটা কমে যায়।
২০২৩ সালে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, “স্বাধীনতার পর দরিদ্র দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে।”
শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে বিচারের জন্য দেশে ফেরানোর দাবি জানিয়েছে ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।
তবে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ইউনূস বলেন, “এটা আমাকে কষ্ট দেয়। বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতের মানচিত্র আঁকতে পারবেন না। তাই দুই দেশের সম্পর্ক যতটা সম্ভব শক্তিশালী হওয়া উচিত।”
২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তিনি নিজে নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।