অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব বলেছেন, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমানে চলমান মামলাগুলোতে ‘গাফিলতি’ রয়ে যাচ্ছে, যার কারণে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন না।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত
‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি’ কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাকির হোসেন গালিব আরও বলেন, "বিগত ১৫-১৬ বছরে দেশের আর্থিক খাত ধ্বংস করা হয়েছে। কিছু লোকজন রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করছে, আর তারা নির্বিঘ্নে ভোগ করছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।"
তিনি জানান, বিচারক হিসেবে তিনি যেসব মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন, সেগুলোতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতির ছাপ দেখতে পাচ্ছেন। এছাড়া, তিনি মনে করেন, যেসব মামলায় বিচারের জন্য আসা ব্যক্তিদের সম্পদ মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তা যথাযথ নয়। তিনি একটি মামলার উদাহরণ দেন, যেখানে একজন ব্যক্তির সম্পদ ২৫০ কোটি টাকা হলেও, প্রকৃতপক্ষে সে ব্যক্তির মোট সম্পদ ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি।
জাকির হোসেন গালিব আরও উল্লেখ করেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেওয়া এবং অর্থ পাচারের বিষয়টি যথাযথভাবে মোকাবিলা না করার বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, "যেসব মানুষ রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আইন ব্যবস্থা আরও কঠোর হওয়া উচিত। তবে, আমার কাছে মনে হচ্ছে এ ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।"
এদিকে, ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, "আমরা যারা বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছি, আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে এবং ন্যায়বিচারের প্রতি আমাদের দায়িত্ব অবহেলা করা উচিত নয়।"
কনফারেন্সে ‘আইনের ব্যত্যয় এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ।
কনফারেন্সে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার তারেক জুবায়েরসহ আরও অনেক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, কনফারেন্সে ভেজাল ঔষধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়, যা আইনানুগভাবে সঠিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।
অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব বলেছেন, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমানে চলমান মামলাগুলোতে ‘গাফিলতি’ রয়ে যাচ্ছে, যার কারণে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন না।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত
‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি’ কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাকির হোসেন গালিব আরও বলেন, "বিগত ১৫-১৬ বছরে দেশের আর্থিক খাত ধ্বংস করা হয়েছে। কিছু লোকজন রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করছে, আর তারা নির্বিঘ্নে ভোগ করছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।"
তিনি জানান, বিচারক হিসেবে তিনি যেসব মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন, সেগুলোতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতির ছাপ দেখতে পাচ্ছেন। এছাড়া, তিনি মনে করেন, যেসব মামলায় বিচারের জন্য আসা ব্যক্তিদের সম্পদ মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তা যথাযথ নয়। তিনি একটি মামলার উদাহরণ দেন, যেখানে একজন ব্যক্তির সম্পদ ২৫০ কোটি টাকা হলেও, প্রকৃতপক্ষে সে ব্যক্তির মোট সম্পদ ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি।
জাকির হোসেন গালিব আরও উল্লেখ করেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেওয়া এবং অর্থ পাচারের বিষয়টি যথাযথভাবে মোকাবিলা না করার বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, "যেসব মানুষ রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আইন ব্যবস্থা আরও কঠোর হওয়া উচিত। তবে, আমার কাছে মনে হচ্ছে এ ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।"
এদিকে, ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, "আমরা যারা বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছি, আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে এবং ন্যায়বিচারের প্রতি আমাদের দায়িত্ব অবহেলা করা উচিত নয়।"
কনফারেন্সে ‘আইনের ব্যত্যয় এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ।
কনফারেন্সে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার তারেক জুবায়েরসহ আরও অনেক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, কনফারেন্সে ভেজাল ঔষধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়, যা আইনানুগভাবে সঠিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।