বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ‘বিশ্বাসযোগ্য’ অভিযোগের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় তাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর বলে মন্তব্য করেছে দুদক।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ‘বিশ্বাসযোগ্য’ অভিযোগ পাওয়ার পর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশটির জন্য তার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দায়িত্ব পালনকে ‘মর্যাদাহানিকর’ বলে মন্তব্য করেছে।
দুদক জানিয়েছে, পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে এবং তারা এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। তারা জানিয়েছে, পুতুলকে ডব্লিউএইচও-এর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে মনোনীত করার সময় রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ, পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে সফরসঙ্গী করা হয়েছে, যদিও তার যোগ্যতা যথাযথ ছিল না। এছাড়া, তদন্তে জানা গেছে, তিনি ডব্লিউএইচও-তে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে মনোনীত হওয়ার সময় কানাডার নাগরিক ছিলেন, এবং কানাডার পাসপোর্টধারী ছিলেন।
এছাড়া, দুদক জানিয়েছে, পুতুল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্পের কূটনৈতিক জোনে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন এবং এর জন্য তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ‘জোর করে উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাৎ’ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আরও অভিযোগ রয়েছে যে, পুতুল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ‘ভুয়া প্রকল্প’ দেখিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
দুদকের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, “সার্বিকভাবে দেখা যায় যে, পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। এহেন ব্যক্তি বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর। এর ফলে বিশ্বমণ্ডলে দেশের সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জোরালো আশংকা রয়েছে।”
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে লেখাপড়া করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল সাইকোলজিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তার মা, শেখ হাসিনা, তাকে অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশ জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে, পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্যও করা হয়।
২০২৩ সালের নভেম্বরে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দপ্তর ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত। দায়িত্ব গ্রহণের পর, পুতুল সেখানেই আছেন। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর, শেখ হাসিনাও দিল্লিতে অবস্থান করছেন।
এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে ‘তথ্য গোপন ও ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের অভিযোগ, যার বিষয়ে দুদক একটি মামলা দায়ের করেছে।
দুদক আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ডব্লিউএইচও এর ৭৬তম সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশ থেকে শতাধিক কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি দল দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছিল, এবং এই সময়ে ‘রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়’ হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
এটি নিশ্চিত যে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। যদিও তিনি আন্তর্জাতিক দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ দেশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ‘বিশ্বাসযোগ্য’ অভিযোগের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় তাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর বলে মন্তব্য করেছে দুদক।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ‘বিশ্বাসযোগ্য’ অভিযোগ পাওয়ার পর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশটির জন্য তার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দায়িত্ব পালনকে ‘মর্যাদাহানিকর’ বলে মন্তব্য করেছে।
দুদক জানিয়েছে, পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে এবং তারা এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। তারা জানিয়েছে, পুতুলকে ডব্লিউএইচও-এর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে মনোনীত করার সময় রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ, পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে সফরসঙ্গী করা হয়েছে, যদিও তার যোগ্যতা যথাযথ ছিল না। এছাড়া, তদন্তে জানা গেছে, তিনি ডব্লিউএইচও-তে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে মনোনীত হওয়ার সময় কানাডার নাগরিক ছিলেন, এবং কানাডার পাসপোর্টধারী ছিলেন।
এছাড়া, দুদক জানিয়েছে, পুতুল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্পের কূটনৈতিক জোনে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন এবং এর জন্য তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ‘জোর করে উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাৎ’ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আরও অভিযোগ রয়েছে যে, পুতুল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ‘ভুয়া প্রকল্প’ দেখিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
দুদকের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, “সার্বিকভাবে দেখা যায় যে, পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। এহেন ব্যক্তি বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর। এর ফলে বিশ্বমণ্ডলে দেশের সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জোরালো আশংকা রয়েছে।”
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে লেখাপড়া করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল সাইকোলজিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তার মা, শেখ হাসিনা, তাকে অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশ জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে, পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্যও করা হয়।
২০২৩ সালের নভেম্বরে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দপ্তর ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত। দায়িত্ব গ্রহণের পর, পুতুল সেখানেই আছেন। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর, শেখ হাসিনাও দিল্লিতে অবস্থান করছেন।
এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে ‘তথ্য গোপন ও ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের অভিযোগ, যার বিষয়ে দুদক একটি মামলা দায়ের করেছে।
দুদক আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ডব্লিউএইচও এর ৭৬তম সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশ থেকে শতাধিক কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি দল দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছিল, এবং এই সময়ে ‘রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়’ হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
এটি নিশ্চিত যে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। যদিও তিনি আন্তর্জাতিক দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ দেশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।