রেলওয়ের রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত ভাতা সুবিধা পুনঃবহাল, পেনশন, আনুতোষিক সুবিধাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আবারও কর্মবিরতিতে যাচ্ছে । আজ সোমবার রাত ১২টা থেকেই তাদের এই কর্মসূচী শুরু করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির নেতারা। ফলে মাঝরাত থেকেই ট্রেন চলাচল ব্যহত হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে তাদের দাবি নিয়ে আলোচনার কথা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ে কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে ওই মাইলেজ সুবিধা বাদ দিয়ে তা সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবসের সমপরিমাণ করার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে রানিং স্টাফদের পেনশন ও আনুতোষিক ভাতায় মূল বেতনের সঙ্গে পাওয়া ভাতা যোগ করার বিষয়টিও বাদ দেওয়া হয়। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রানিং স্টাফরা।
এই মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। কয়েক দফায় অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকাসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। তবে বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলসচিব, রেলমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসেন। কিন্তু দাবি আর পূরণ হয়নি। ফলে আবারো তারা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির নেতারা বলছেন, কর্মচারীদের অবসরোত্তর ৭৫ শতাংশ মাইলেজ মূল বেতনের সঙ্গে যোগ করে পেনশন নির্ধারণের বিধান প্রায় ১৬০ বছর ধরে চলমান ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে রেলওয়ের কোডিফাইড রুল অমান্য করে রানিং স্টাফদের পার্ট অব পে হিসেবে গণ্য মাইলেজ, যা যুগ যুগ ধরে বেতন খাতের অংশ ছিল, সেখান থেকে সরিয়ে টিএ খাতে নেওয়ার ফলে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে কথা বলছি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশ্বাস দেন আমরা আন্দোলন স্থগিত করি, এভাবেই চলছে। কিন্তু এখন বাজারে যে উর্দ্ধগতি তাতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারির প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ট্রেন চালানো বন্ধ রাখব। ট্রেন চালানো বন্ধের বিষয় থেকে সরে আসতে গেলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে স্পষ্ট চিঠি দিতে হবে। আমরা ওনাদের বারবার সময় দিয়েছি, আন্দোলন করেছি, বারবার প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু এবার আর কোনো কিছু করার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘রানিং স্টাফদের দাবী বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করেনি। তাদের কর্মসূচীর কারনে রেলওয়ে চলাচলের তো সমস্যা হবেই। তবে রাতের যাত্রীদের কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।’ রাতে স্বাভাবিকভাবে ঢাকার কমলাপুর ট্রেন ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি কর্মসূচী প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফগণ (চলমান ট্রেনে দায়িত্ব পালনকারী) ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে সারাদেশে রেল চলাচলে অচলাবস্থা ও চরম যাত্রী ভোগান্তির আশংকা রয়েছে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় তাদের দাবি-দাওয়া বা চাহিদা পূরণে যথেষ্ট আন্তরিক ও সর্বোচ্চ সচেষ্ট। ইতোমধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফগণের দাবী-দাওয়াসমূহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পত্র যোগাযোগের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও অব্যাহত আছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে ইতোমধ্যে তাদের রানিং এলাউন্স ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া মাইলেজ এলাউন্স পাবার জন্য সর্বনি¤œ ৮ ঘন্টা ও ১০০ মাইল দূরত্বের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। রানিং স্টাফগণের অন্যান্য দাবি আদায়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় যথেষ্ট আন্তরিক ও সচেষ্ট রয়েছে। এমতাবস্থায় পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচী প্রত্যাহারপূর্বক রেলের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান অব্যাহত রেখে ট্রেন পরিচালনা করাই রেলওয়ের মূল কাজ। সে লক্ষ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীদের যে কোন সমস্যা ও দাবি-দাওয়ার বিষয় সমাধানে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে। রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়া আদায়েও রেলপথ মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এমতাবস্থায়, যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি বিবেচনা করে পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার এবং আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে রানিং স্টাফগণ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
রেলওয়ের রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত ভাতা সুবিধা পুনঃবহাল, পেনশন, আনুতোষিক সুবিধাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আবারও কর্মবিরতিতে যাচ্ছে । আজ সোমবার রাত ১২টা থেকেই তাদের এই কর্মসূচী শুরু করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির নেতারা। ফলে মাঝরাত থেকেই ট্রেন চলাচল ব্যহত হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে তাদের দাবি নিয়ে আলোচনার কথা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ে কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে ওই মাইলেজ সুবিধা বাদ দিয়ে তা সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবসের সমপরিমাণ করার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে রানিং স্টাফদের পেনশন ও আনুতোষিক ভাতায় মূল বেতনের সঙ্গে পাওয়া ভাতা যোগ করার বিষয়টিও বাদ দেওয়া হয়। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রানিং স্টাফরা।
এই মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। কয়েক দফায় অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকাসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। তবে বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলসচিব, রেলমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসেন। কিন্তু দাবি আর পূরণ হয়নি। ফলে আবারো তারা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির নেতারা বলছেন, কর্মচারীদের অবসরোত্তর ৭৫ শতাংশ মাইলেজ মূল বেতনের সঙ্গে যোগ করে পেনশন নির্ধারণের বিধান প্রায় ১৬০ বছর ধরে চলমান ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে রেলওয়ের কোডিফাইড রুল অমান্য করে রানিং স্টাফদের পার্ট অব পে হিসেবে গণ্য মাইলেজ, যা যুগ যুগ ধরে বেতন খাতের অংশ ছিল, সেখান থেকে সরিয়ে টিএ খাতে নেওয়ার ফলে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে কথা বলছি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশ্বাস দেন আমরা আন্দোলন স্থগিত করি, এভাবেই চলছে। কিন্তু এখন বাজারে যে উর্দ্ধগতি তাতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারির প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ট্রেন চালানো বন্ধ রাখব। ট্রেন চালানো বন্ধের বিষয় থেকে সরে আসতে গেলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে স্পষ্ট চিঠি দিতে হবে। আমরা ওনাদের বারবার সময় দিয়েছি, আন্দোলন করেছি, বারবার প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু এবার আর কোনো কিছু করার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘রানিং স্টাফদের দাবী বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করেনি। তাদের কর্মসূচীর কারনে রেলওয়ে চলাচলের তো সমস্যা হবেই। তবে রাতের যাত্রীদের কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।’ রাতে স্বাভাবিকভাবে ঢাকার কমলাপুর ট্রেন ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি কর্মসূচী প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফগণ (চলমান ট্রেনে দায়িত্ব পালনকারী) ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে সারাদেশে রেল চলাচলে অচলাবস্থা ও চরম যাত্রী ভোগান্তির আশংকা রয়েছে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় তাদের দাবি-দাওয়া বা চাহিদা পূরণে যথেষ্ট আন্তরিক ও সর্বোচ্চ সচেষ্ট। ইতোমধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফগণের দাবী-দাওয়াসমূহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পত্র যোগাযোগের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও অব্যাহত আছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে ইতোমধ্যে তাদের রানিং এলাউন্স ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া মাইলেজ এলাউন্স পাবার জন্য সর্বনি¤œ ৮ ঘন্টা ও ১০০ মাইল দূরত্বের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। রানিং স্টাফগণের অন্যান্য দাবি আদায়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় যথেষ্ট আন্তরিক ও সচেষ্ট রয়েছে। এমতাবস্থায় পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচী প্রত্যাহারপূর্বক রেলের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান অব্যাহত রেখে ট্রেন পরিচালনা করাই রেলওয়ের মূল কাজ। সে লক্ষ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীদের যে কোন সমস্যা ও দাবি-দাওয়ার বিষয় সমাধানে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে। রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়া আদায়েও রেলপথ মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এমতাবস্থায়, যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি বিবেচনা করে পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার এবং আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে রানিং স্টাফগণ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।