তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মুহিবুল হক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, প্রথম মামলা হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে। এই মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তালিকায় উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুহিবুল হক, এম মফিদুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, সাবেক প্রকৌশলী আব্দুল মালেক ও হাবিবুর রহমান। এছাড়া অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনালের মালিক লুৎফুল্লাহ মাজেদ ও এমডি মাহবুব আনামসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, প্রকল্পের ব্যয় বেআইনিভাবে বাড়িয়ে ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলাটি শাহজালাল বিমানবন্দরের সিএনএস-এটিএম সিস্টেম ও রাডার প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা হয়েছে। একই তালিকার সঙ্গে আরও দুজন, আফরোজা নাসরিন সুলতানা ও এ কে এম মনজুর আহমেদকে যুক্ত করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলাটি কক্সবাজার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ও রানওয়ে নির্মাণ প্রকল্পে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা হয়। এখানে প্রথম মামলার প্রধান আসামিদের সঙ্গে আরও দুই নাম যোগ করা হয়েছে—শফিকুল ইসলাম ও ইউনুস ভূইয়া।
চতুর্থ মামলা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি প্রকল্পে ২১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা হয়েছে। এতে ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুহিবুল হক, জনেন্দ্রনাথ সরকার, ও মইদুর রহমান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা প্রকল্পের কাজের ব্যয় কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন। অগ্রিম বিল নিয়ে কাজ বন্ধ করে আত্মগোপন করেছেন কিছু সংস্থার কর্মীরা।
দুদক জানিয়েছে, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মুহিবুল হক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, প্রথম মামলা হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে। এই মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তালিকায় উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুহিবুল হক, এম মফিদুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, সাবেক প্রকৌশলী আব্দুল মালেক ও হাবিবুর রহমান। এছাড়া অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনালের মালিক লুৎফুল্লাহ মাজেদ ও এমডি মাহবুব আনামসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, প্রকল্পের ব্যয় বেআইনিভাবে বাড়িয়ে ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলাটি শাহজালাল বিমানবন্দরের সিএনএস-এটিএম সিস্টেম ও রাডার প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা হয়েছে। একই তালিকার সঙ্গে আরও দুজন, আফরোজা নাসরিন সুলতানা ও এ কে এম মনজুর আহমেদকে যুক্ত করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলাটি কক্সবাজার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ও রানওয়ে নির্মাণ প্রকল্পে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা হয়। এখানে প্রথম মামলার প্রধান আসামিদের সঙ্গে আরও দুই নাম যোগ করা হয়েছে—শফিকুল ইসলাম ও ইউনুস ভূইয়া।
চতুর্থ মামলা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি প্রকল্পে ২১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা হয়েছে। এতে ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুহিবুল হক, জনেন্দ্রনাথ সরকার, ও মইদুর রহমান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা প্রকল্পের কাজের ব্যয় কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন। অগ্রিম বিল নিয়ে কাজ বন্ধ করে আত্মগোপন করেছেন কিছু সংস্থার কর্মীরা।
দুদক জানিয়েছে, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।