alt

জাতীয়

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পাবেন কি পাবেন না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারি চাকরিজীবীরা কি মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে আর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে এখন আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’

তাহলে কি মহার্ঘ ভাতার বিষয় থেকে সরকার সরে আসছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিলো? কে দিয়েছে ঘোষণা আমি জানি না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেবো দেবো কি দেবো না, কত (দেবো), তারপর ঘোষণা দেবো।’

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবনা গেছে কি না- এর উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো এখনো ঘোষণা দেইনি। আমি তো এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’

সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ।

তবে এরই মধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের খসড়া প্রস্তাবে ব্যয় কিছুটা কমাতে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মচারীদের ১০ বা ১৫ শতাংশ হারে ভাতার বিষয়টি আলোচনায় ছিল।

এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকে দশম গ্রেডে ১০ শতাংশ দেওয়া হলে পাঁচ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকার প্রয়োজন ছিল। আর ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ব্যয় আরেকটু বেড়ে দাঁড়াতো প্রায় ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ এ পরিমাণ টাকার সংস্থান করে সংশোধিত বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করে।

তবে সরকার এ উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই নানান মহলে সমালোচনা শুরু হয়। বিশ্লেষকরা বলছিলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সমষ্টিক অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।

এর মধ্যে গত জুলাই-আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে সরকারের রাজস্ব আহরণ ব্যাপক কমেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।

ছবি

কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা, আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা

পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

রাজনীতি করতে হলে আওয়ামী লীগে ‘ক্লিন’ নেতৃত্ব আসতে হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বিশ্ববিদ্যালয় : ৭ কলেজের জন্য একটি নাকি তিতুমীরের জন্য আলাদা

ছবি

ধর্মঘট প্রত্যাহার, ট্রেন চলাচল শুরু

ছবি

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালায় আসছে পরিবর্তন, নতুন কার্ডের মেয়াদ হবে তিন বছর

ছবি

নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হবে সংস্কারের অগ্রগতি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

ছবি

সাত কলেজের ভবিষ্যৎ: শিগগিরই ফলাফল প্রকাশ করবে সরকার, জানালেন প্রেস সচিব

স্বাস্থ্য সংকট জাদুবলে পরিবর্তন সম্ভব নয়: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ছবি

ব্যাংকখাতে চুরি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে উৎসাহিত করা হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ম্যানচেস্টার রুটে সাময়িকভাবে ফ্লাইট স্থগিত

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার কর্মসংস্থান বাড়াতে ব্যর্থ: সিপিডি

ছবি

বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না করলে ফল আমদানি বন্ধের হুমকি

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার খুনিদের মিছিল বরদাশত করবে না : প্রেস সেক্রেটারি

ছবি

দুই পক্ষই ইজতেমা করবেন, সবই মাথায় আছে : আইজিপি

ছবি

তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব

ছবি

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে কথার ‘টোনটা’ আলাদা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

কর্মবিরতির পর রেল চলাচল শুরু, সূচিতে বিপর্যয়

ছবি

গভীর রাতে রেলের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, ট্রেন চলাচল শুরু

ছবি

৩১ জানুয়ারি থেকে ৩ পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু, প্রস্তুতির ৯৭ ভাগ সম্পন্ন

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জামাতিকরণ করা হয়েছে, এটা অত্যন্ত ভয়ংকর : রিজভী

ছবি

ধর্মঘটে অচল রেলপথ, ভোগান্তিতে মানুষ

জৈন্তা হরিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ছবি

‘ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ পদক পেলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত

ছবি

হাই কোর্টের রায়: গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক

ছবি

১৫১৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণের ঘোষণা, শিক্ষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার

ছবি

রেলপথে অচলাবস্থা: সমঝোতা ছাড়াই বৈঠক শেষ

ছবি

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে ইইউ : মিলার

ছবি

রেল কর্মীদের দাবি নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার শর্তসাপেক্ষ মন্তব্য

ছবি

রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তি, সমাধানে আলোচনার আহ্বান

ছবি

সাতারকুলের ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর : হাইকোর্ট

ছবি

পুলিশি বর্বরতায় সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ছিল: এইচআরডব্লিউ

ছবি

ট্রেন বন্ধ, যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে বিআরটিসির বাস

ছবি

কমলাপুর স্টেশনে রেলপথ উপদেষ্টা ও সচিব

ছবি

তিন বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও ন্যায্য হতে হবে:টবি ক্যাডম্যান

tab

জাতীয়

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পাবেন কি পাবেন না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারি চাকরিজীবীরা কি মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে আর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে এখন আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’

তাহলে কি মহার্ঘ ভাতার বিষয় থেকে সরকার সরে আসছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিলো? কে দিয়েছে ঘোষণা আমি জানি না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেবো দেবো কি দেবো না, কত (দেবো), তারপর ঘোষণা দেবো।’

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবনা গেছে কি না- এর উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো এখনো ঘোষণা দেইনি। আমি তো এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’

সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ।

তবে এরই মধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের খসড়া প্রস্তাবে ব্যয় কিছুটা কমাতে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মচারীদের ১০ বা ১৫ শতাংশ হারে ভাতার বিষয়টি আলোচনায় ছিল।

এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকে দশম গ্রেডে ১০ শতাংশ দেওয়া হলে পাঁচ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকার প্রয়োজন ছিল। আর ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ব্যয় আরেকটু বেড়ে দাঁড়াতো প্রায় ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ এ পরিমাণ টাকার সংস্থান করে সংশোধিত বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করে।

তবে সরকার এ উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই নানান মহলে সমালোচনা শুরু হয়। বিশ্লেষকরা বলছিলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সমষ্টিক অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।

এর মধ্যে গত জুলাই-আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে সরকারের রাজস্ব আহরণ ব্যাপক কমেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।

back to top