রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাকে দুঃখজনক হিসেবে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “রেল বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা দুঃখজনক। স্টাফদের দাবিগুলো যৌক্তিক হলে তা নিয়ে আলোচনা করা যাবে। আমরা এরই মধ্যে তাঁদের কিছু দাবি পূরণ করেছি এবং বাকি দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এখানে সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন।”
গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতির ফলে ঢাকার কমলাপুরসহ দেশের অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করেছে সরকার। বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০টি বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজন হলে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
রানিং স্টাফদের দাবি নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরও জানান, “তাঁদের মাইলেজ অ্যালাউন্সের দাবি দীর্ঘদিনের। অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে সুবিধাগুলো সীমিত করেছিল। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে রেল বন্ধ রেখে এভাবে দাবি আদায় কোনো সমাধান নয়। সামনে বিশ্ব ইজতেমার মতো বড় আয়োজন, তাই দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।”
রানিং স্টাফদের মধ্যে গার্ড, ট্রেনচালক, সহকারী চালক এবং টিকিট পরিদর্শকরা রয়েছেন, যারা দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজের জন্য বাড়তি অর্থ পাওয়ার দাবি করছেন তারা। তাদের পেনশন সুবিধায় বেসিকের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ যোগ করার বিষয়েও দাবি রয়েছে।
গত বুধবার চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে রানিং স্টাফ ইউনিয়ন ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়। সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি শুরু করেছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সমাধানে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাকে দুঃখজনক হিসেবে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “রেল বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা দুঃখজনক। স্টাফদের দাবিগুলো যৌক্তিক হলে তা নিয়ে আলোচনা করা যাবে। আমরা এরই মধ্যে তাঁদের কিছু দাবি পূরণ করেছি এবং বাকি দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এখানে সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন।”
গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতির ফলে ঢাকার কমলাপুরসহ দেশের অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করেছে সরকার। বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০টি বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজন হলে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
রানিং স্টাফদের দাবি নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরও জানান, “তাঁদের মাইলেজ অ্যালাউন্সের দাবি দীর্ঘদিনের। অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে সুবিধাগুলো সীমিত করেছিল। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে রেল বন্ধ রেখে এভাবে দাবি আদায় কোনো সমাধান নয়। সামনে বিশ্ব ইজতেমার মতো বড় আয়োজন, তাই দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।”
রানিং স্টাফদের মধ্যে গার্ড, ট্রেনচালক, সহকারী চালক এবং টিকিট পরিদর্শকরা রয়েছেন, যারা দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজের জন্য বাড়তি অর্থ পাওয়ার দাবি করছেন তারা। তাদের পেনশন সুবিধায় বেসিকের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ যোগ করার বিষয়েও দাবি রয়েছে।
গত বুধবার চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে রানিং স্টাফ ইউনিয়ন ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়। সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি শুরু করেছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সমাধানে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।