এমপিওভুক্তি শুরু ২০২৫ সালে, জাতীয়করণ প্রক্রিয়া ২০২৬-২০২৭ সালে সম্পন্ন হবে
ঢাকা: সরকারের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে চলা বিক্ষোভ এবং আন্দোলনের ফলস্বরূপ এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা পেয়েছেন। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক মঙ্গলবার বিকালে ঘোষণা করেছেন যে, দেশের ১৫১৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে। এই ঘোষণার ফলে শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন থেকে সরে এসে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সচিবালয়ে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষকরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সুখবরের পরে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন। যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে তাদের বঞ্চনার লাঘব হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, "এখন থেকে সকল স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের আওতায় আসবে। ২০২৫ সাল থেকে এমপিও কার্যক্রম শুরু হবে, এবং তারপর ২০২৬-২০২৭ এর মধ্যে জাতীয়করণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।"
দীর্ঘদিন ধরে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদের দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতা এবং বঞ্চনা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে তাদের বেতন, অধিকার, এবং জাতীয়করণের বিষয়টি ছিল তাদের মূল দাবি। গত রবিবার থেকে শাহবাগে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের দাবি ছিল যে, ১৫১৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের আওতায় এনে তাদের বেতন-ভাতা, কর্মসূচি এবং বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করা হোক।
এছাড়া, তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—প্রথমত, ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার নিবন্ধন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা, দ্বিতীয়ত, কোডবিহীন মাদ্রাসাগুলোর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্তকরণ, তৃতীয়ত, আলাদা নীতিমালা তৈরির দাবি, চতুর্থত, পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা, নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদন, পঞ্চমত, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহায়ক নিয়োগের ব্যবস্থা এবং ষষ্ঠত, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি।
মঙ্গলবারের ঘোষণার পর, আন্দোলনকারীরা জানান যে, সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের দাবিগুলো স্বীকৃতি পেয়েছে এবং কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে যে, শিগগিরই তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর সমাধান আসবে।
জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ১৫১৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে, যা সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান পেয়ে থাকে। এসব মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকরা প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা ৩ হাজার টাকা অনুদান পান। তবে, এছাড়া আরও ৫ হাজার ৯৩২টি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান বা সুবিধা পায় না।
এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া চলতি বছরের জুন থেকে শুরু হবে এবং জাতীয়করণ প্রক্রিয়া ২০২৬-২০২৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক। তিনি আরও জানান, "প্রথমে এমপিওভুক্তি করা হবে, এরপর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করা হবে।" তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, জাতীয়করণের পর এসব মাদ্রাসায় শিক্ষকদের জন্য আরও উন্নত সুবিধা এবং সুযোগ থাকবে।
এছাড়া, জাতীয়করণের পর মাদ্রাসাগুলোর জন্য নতুন কিছু সুবিধাও চালু হবে, যেমন উপবৃত্তি প্রোগ্রাম, মিডডে মিল এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এসব সুবিধা মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গত কয়েকদিন ধরে শাহবাগে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকরা পুলিশি হস্তক্ষেপের মুখে পড়েন। ২৮ জানুয়ারি রোববার, পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, জলকামান এবং লাঠিচার্জের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল। এই পরিস্থিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। তবে, তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে, এবং অবশেষে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আসার মাধ্যমে তাদের বঞ্চনা দূর হওয়ার আশা জাগে।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই জাতীয়করণের প্রক্রিয়াটি মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ে সফল হয়েছেন এবং জাতীয়করণ প্রক্রিয়া শুরু হলে, তাদের শিক্ষাগত, পেশাগত এবং আর্থিক উন্নতি হবে।
জোরালো আন্দোলন এবং সরকারের প্রতিক্রিয়ার পর শিক্ষকদের মধ্যে একটি তৃপ্তি ও আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দাবি তুলে ধরেছি, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি যৌক্তিক বলে স্বীকার করা হয়েছে এবং আমাদের দাবি পূরণ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।"
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, "এই আন্দোলন শুধু আমাদের বেতন কিংবা সুবিধার জন্য ছিল না, বরং এটি ছিল একটি দীর্ঘদিনের প্রাপ্য অধিকার অর্জনের আন্দোলন। আমরা সন্তুষ্ট, কারণ আমরা শোনেছি যে আমাদের দাবি পূরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।"
এছাড়া, ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন মৌ বলেন, "আমরা যখন শুরুতে এই আন্দোলন শুরু করি, তখন কেউ বিশ্বাস করত না যে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের আন্দোলন ফলপ্রসূ হয়েছে। আশা করি, আমাদের দাবিগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হবে।"
শিক্ষকদের দাবি পূরণের এই বড় পদক্ষেপটি তাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলস্বরূপ অর্জিত হয়েছে। জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শুরু হলে দেশের এই মাদ্রাসা শিক্ষার মান এবং শিক্ষকদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের জন্য এই সংবাদ ছিল একটি বড় জয়, যা তাদের ভবিষ্যৎকে আরও সমৃদ্ধ এবং উন্নত করবে।
এমপিওভুক্তি শুরু ২০২৫ সালে, জাতীয়করণ প্রক্রিয়া ২০২৬-২০২৭ সালে সম্পন্ন হবে
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা: সরকারের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে চলা বিক্ষোভ এবং আন্দোলনের ফলস্বরূপ এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা পেয়েছেন। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক মঙ্গলবার বিকালে ঘোষণা করেছেন যে, দেশের ১৫১৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে। এই ঘোষণার ফলে শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন থেকে সরে এসে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সচিবালয়ে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষকরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সুখবরের পরে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন। যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে তাদের বঞ্চনার লাঘব হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, "এখন থেকে সকল স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের আওতায় আসবে। ২০২৫ সাল থেকে এমপিও কার্যক্রম শুরু হবে, এবং তারপর ২০২৬-২০২৭ এর মধ্যে জাতীয়করণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।"
দীর্ঘদিন ধরে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদের দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতা এবং বঞ্চনা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে তাদের বেতন, অধিকার, এবং জাতীয়করণের বিষয়টি ছিল তাদের মূল দাবি। গত রবিবার থেকে শাহবাগে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের দাবি ছিল যে, ১৫১৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের আওতায় এনে তাদের বেতন-ভাতা, কর্মসূচি এবং বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করা হোক।
এছাড়া, তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—প্রথমত, ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার নিবন্ধন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা, দ্বিতীয়ত, কোডবিহীন মাদ্রাসাগুলোর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্তকরণ, তৃতীয়ত, আলাদা নীতিমালা তৈরির দাবি, চতুর্থত, পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা, নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদন, পঞ্চমত, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহায়ক নিয়োগের ব্যবস্থা এবং ষষ্ঠত, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি।
মঙ্গলবারের ঘোষণার পর, আন্দোলনকারীরা জানান যে, সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের দাবিগুলো স্বীকৃতি পেয়েছে এবং কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে যে, শিগগিরই তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর সমাধান আসবে।
জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ১৫১৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে, যা সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান পেয়ে থাকে। এসব মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকরা প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা ৩ হাজার টাকা অনুদান পান। তবে, এছাড়া আরও ৫ হাজার ৯৩২টি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান বা সুবিধা পায় না।
এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া চলতি বছরের জুন থেকে শুরু হবে এবং জাতীয়করণ প্রক্রিয়া ২০২৬-২০২৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক। তিনি আরও জানান, "প্রথমে এমপিওভুক্তি করা হবে, এরপর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করা হবে।" তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, জাতীয়করণের পর এসব মাদ্রাসায় শিক্ষকদের জন্য আরও উন্নত সুবিধা এবং সুযোগ থাকবে।
এছাড়া, জাতীয়করণের পর মাদ্রাসাগুলোর জন্য নতুন কিছু সুবিধাও চালু হবে, যেমন উপবৃত্তি প্রোগ্রাম, মিডডে মিল এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এসব সুবিধা মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গত কয়েকদিন ধরে শাহবাগে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকরা পুলিশি হস্তক্ষেপের মুখে পড়েন। ২৮ জানুয়ারি রোববার, পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, জলকামান এবং লাঠিচার্জের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল। এই পরিস্থিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। তবে, তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে, এবং অবশেষে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আসার মাধ্যমে তাদের বঞ্চনা দূর হওয়ার আশা জাগে।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই জাতীয়করণের প্রক্রিয়াটি মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ে সফল হয়েছেন এবং জাতীয়করণ প্রক্রিয়া শুরু হলে, তাদের শিক্ষাগত, পেশাগত এবং আর্থিক উন্নতি হবে।
জোরালো আন্দোলন এবং সরকারের প্রতিক্রিয়ার পর শিক্ষকদের মধ্যে একটি তৃপ্তি ও আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দাবি তুলে ধরেছি, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি যৌক্তিক বলে স্বীকার করা হয়েছে এবং আমাদের দাবি পূরণ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।"
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, "এই আন্দোলন শুধু আমাদের বেতন কিংবা সুবিধার জন্য ছিল না, বরং এটি ছিল একটি দীর্ঘদিনের প্রাপ্য অধিকার অর্জনের আন্দোলন। আমরা সন্তুষ্ট, কারণ আমরা শোনেছি যে আমাদের দাবি পূরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।"
এছাড়া, ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন মৌ বলেন, "আমরা যখন শুরুতে এই আন্দোলন শুরু করি, তখন কেউ বিশ্বাস করত না যে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের আন্দোলন ফলপ্রসূ হয়েছে। আশা করি, আমাদের দাবিগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হবে।"
শিক্ষকদের দাবি পূরণের এই বড় পদক্ষেপটি তাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলস্বরূপ অর্জিত হয়েছে। জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শুরু হলে দেশের এই মাদ্রাসা শিক্ষার মান এবং শিক্ষকদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের জন্য এই সংবাদ ছিল একটি বড় জয়, যা তাদের ভবিষ্যৎকে আরও সমৃদ্ধ এবং উন্নত করবে।