দুদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ভূমিকার জন্য ‘বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ পেয়েছেন ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলান।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই মেডেল সৌদির রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা মূল্যায়ন করে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তার সময়ে বাংলাদেশ-সৌদি আরবের সম্পর্কের ‘অতুলনীয়’ উন্নতি করেছে। দুদেশের বহুমুখী সম্পর্ককে প্রসারিত ও মজবুত করার ক্ষেত্রে তার সক্রিয়তা ও প্রতিশ্রুতি ছিল ‘উদাহরণযোগ্য’।
“তার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের সহযোগিতা বহুবিধ ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে সৌদি আরবের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সৌদি আরব অন্যতম প্রধান অংশীদারে পরিণত হয়েছে।”
কৌভিড-১৯ মহামারীর সময় সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য রাষ্ট্রদূত দুহাইলানের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “সৌদি আরবের কাজ করা ত্রিশ লাখের বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী সেখানকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে। এই পরস্পরনির্ভরশীলতা আমাদের দুদেশের মধ্যে জোরালো ও ক্রমবর্ধমান সংযোগের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।”
তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের পর থেকে সৌদি আরব অবিচল বন্ধু ও বিশ্বস্ত অংশ। এ বছর আমদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের সহযোগিতা উন্নয়নে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে অভিন্ন লক্ষ্যে প্রতি কার্যক্রমের মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ উপকার বয়ে আনছে।”
তিনি বলেন, “আমরা জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একযোগে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। উভয় দেশই বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির পক্ষে সমর্থন জানানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে। আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করছি।”
রাষ্ট্রদূত ঈসা বলেন, “বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ এখানকার রাষ্ট্রদূতদের কাজে আরও উৎসাহিত করবে। তবে এটা শুধু আমার অর্জন নয়, আমার মিশনের সব কর্মকর্তাদের পরিশ্রমের ফসল।”
মুজিববর্ষ উপলক্ষে একজন দেশি ও একজন বিদেশি কূটনীতিককে ২০২০ সাল থেকে ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ দেওয়া শুরু করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।
প্রথমবার ওই পদক পান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের তখনকার সচিব খুরশেদ আলম এবং ঢাকার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি।
২০২১ সালের ‘বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাওয়ার্ড অব এক্সিলেন্স’ পান বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও পোল্যান্ডে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পুরস্কারের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি এ বছর কেবল একজন বিদেশি কূটনীতিককে পুরস্কার দিল।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
দুদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ভূমিকার জন্য ‘বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ পেয়েছেন ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলান।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই মেডেল সৌদির রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা মূল্যায়ন করে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তার সময়ে বাংলাদেশ-সৌদি আরবের সম্পর্কের ‘অতুলনীয়’ উন্নতি করেছে। দুদেশের বহুমুখী সম্পর্ককে প্রসারিত ও মজবুত করার ক্ষেত্রে তার সক্রিয়তা ও প্রতিশ্রুতি ছিল ‘উদাহরণযোগ্য’।
“তার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের সহযোগিতা বহুবিধ ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে সৌদি আরবের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সৌদি আরব অন্যতম প্রধান অংশীদারে পরিণত হয়েছে।”
কৌভিড-১৯ মহামারীর সময় সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য রাষ্ট্রদূত দুহাইলানের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “সৌদি আরবের কাজ করা ত্রিশ লাখের বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী সেখানকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে। এই পরস্পরনির্ভরশীলতা আমাদের দুদেশের মধ্যে জোরালো ও ক্রমবর্ধমান সংযোগের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।”
তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের পর থেকে সৌদি আরব অবিচল বন্ধু ও বিশ্বস্ত অংশ। এ বছর আমদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের সহযোগিতা উন্নয়নে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে অভিন্ন লক্ষ্যে প্রতি কার্যক্রমের মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ উপকার বয়ে আনছে।”
তিনি বলেন, “আমরা জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একযোগে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। উভয় দেশই বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির পক্ষে সমর্থন জানানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে। আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করছি।”
রাষ্ট্রদূত ঈসা বলেন, “বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ এখানকার রাষ্ট্রদূতদের কাজে আরও উৎসাহিত করবে। তবে এটা শুধু আমার অর্জন নয়, আমার মিশনের সব কর্মকর্তাদের পরিশ্রমের ফসল।”
মুজিববর্ষ উপলক্ষে একজন দেশি ও একজন বিদেশি কূটনীতিককে ২০২০ সাল থেকে ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ দেওয়া শুরু করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।
প্রথমবার ওই পদক পান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের তখনকার সচিব খুরশেদ আলম এবং ঢাকার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি।
২০২১ সালের ‘বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাওয়ার্ড অব এক্সিলেন্স’ পান বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও পোল্যান্ডে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পুরস্কারের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি এ বছর কেবল একজন বিদেশি কূটনীতিককে পুরস্কার দিল।