টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। ৩ পর্বের ইজতেমা প্রথম পর্ব শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। শুরায়ে নেজামির অনুসারীদের দিয়ে শুরু হবে চলতি বছরের ইজতেমা। ২ ফেব্রুয়ারি আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্ব। ইজতেমা উপলক্ষ্যে মাঠ প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যে মাঠের ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানায়, ঢাকা থেকে আগত মুসল্লিরা শামিয়ানায় কাপড় নিজেরাই টাঙিয়ে ইজতেমা মাঠে অবস্থান করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, শুরায়ে নেজামির অনুসারীরা ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্ষন্ত প্রথম পর্ব এরপর তারাই ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্ষন্ত ২য় পর্বে বিশ^ ইজতেমায় অংশ নেবেন। দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনজাত শেষে ৬ ফেব্রুয়ারি আগামী বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব শুরায়ে নেজামির অনুসারীদের ইজতেমা মাঠ প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সাদপন্থিদের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তাদের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছে।
ইজতেমায় শুরায়ে নেজামির মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ময়দানের প্রায় ৯৭ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রথম পর্বে ৪২টি জেলা আগত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। তিনি আরও জানান, শামিয়ানা টাঙানোর কাজ যতটুকু হয়েছে আপাতত ততটুকুই। বাকি শামিয়ানার ত্রিপল ও অন্যান্য সামানা ইজতেমার সঙ্গী ভাইয়েরা নিয়ে এসে টাঙাবেন। ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন।
মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, মুরুব্বিদের পরামর্শক্রমে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে নিজামুদ্দিন মারকাজ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হবে।
২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, ময়দানের উত্তর-পশ্চিম কোণে বিদেশি মেহমানদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বয়ান মঞ্চের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ পাশের জায়গাতে শামিয়ানা, শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক বিশেষ ছাতা মাইক ও বৈদ্যুতিক বাতি লাগানো হয়েছে। কিন্তু ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণের ঢাকার খিত্তা ও ২৯নং টয়লেট বিল্ডিংয়ের দক্ষিণ পাশ থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত কোনো শামিয়ানা টাঙানো হয়নি। এগুলোর শামিয়ানা মুসল্লিরা এসে টাঙাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মুসল্লিদের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিতে ময়দানের পশ্চিম পাশে কামারপাড়া ব্রিজ থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত তুরাগ নদে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা পাঁচটি পন্টুন সেতু নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও ফেরিঘাটের জেটি দিয়ে অন্য একটি পন্টুন সেতু তৈরি করেছেন বিআইডবিউটিএ কর্তৃপক্ষ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ময়দানের চারপাশে পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।
ইজতেমা ইস্যুতে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ইজতেমা ময়দানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ প্রায় শেষের পথে।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। ৩ পর্বের ইজতেমা প্রথম পর্ব শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। শুরায়ে নেজামির অনুসারীদের দিয়ে শুরু হবে চলতি বছরের ইজতেমা। ২ ফেব্রুয়ারি আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্ব। ইজতেমা উপলক্ষ্যে মাঠ প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যে মাঠের ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানায়, ঢাকা থেকে আগত মুসল্লিরা শামিয়ানায় কাপড় নিজেরাই টাঙিয়ে ইজতেমা মাঠে অবস্থান করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, শুরায়ে নেজামির অনুসারীরা ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্ষন্ত প্রথম পর্ব এরপর তারাই ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্ষন্ত ২য় পর্বে বিশ^ ইজতেমায় অংশ নেবেন। দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনজাত শেষে ৬ ফেব্রুয়ারি আগামী বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব শুরায়ে নেজামির অনুসারীদের ইজতেমা মাঠ প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সাদপন্থিদের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তাদের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছে।
ইজতেমায় শুরায়ে নেজামির মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ময়দানের প্রায় ৯৭ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রথম পর্বে ৪২টি জেলা আগত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। তিনি আরও জানান, শামিয়ানা টাঙানোর কাজ যতটুকু হয়েছে আপাতত ততটুকুই। বাকি শামিয়ানার ত্রিপল ও অন্যান্য সামানা ইজতেমার সঙ্গী ভাইয়েরা নিয়ে এসে টাঙাবেন। ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন।
মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, মুরুব্বিদের পরামর্শক্রমে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে নিজামুদ্দিন মারকাজ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হবে।
২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, ময়দানের উত্তর-পশ্চিম কোণে বিদেশি মেহমানদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বয়ান মঞ্চের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ পাশের জায়গাতে শামিয়ানা, শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক বিশেষ ছাতা মাইক ও বৈদ্যুতিক বাতি লাগানো হয়েছে। কিন্তু ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণের ঢাকার খিত্তা ও ২৯নং টয়লেট বিল্ডিংয়ের দক্ষিণ পাশ থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত কোনো শামিয়ানা টাঙানো হয়নি। এগুলোর শামিয়ানা মুসল্লিরা এসে টাঙাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মুসল্লিদের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিতে ময়দানের পশ্চিম পাশে কামারপাড়া ব্রিজ থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত তুরাগ নদে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা পাঁচটি পন্টুন সেতু নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও ফেরিঘাটের জেটি দিয়ে অন্য একটি পন্টুন সেতু তৈরি করেছেন বিআইডবিউটিএ কর্তৃপক্ষ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ময়দানের চারপাশে পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।
ইজতেমা ইস্যুতে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ইজতেমা ময়দানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ প্রায় শেষের পথে।