বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, কিছুদিন আগে ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, এখানে যারা আসেন, যারা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে দীন এবং দুনিয়ার কামিয়াবী হাসিলের জন্য এখানে আসছেন এস্তেমা করার জন্য। তাদের মধ্যে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে।
তিনি আরো বলেন, মতদৈততা মানুষের মধ্যে থাকে, উনাদের মধ্যেও হয়ে গেছে। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এটার প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষই অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। উনারা এখন (মাওলানা মাহফুজ এখানে আছেন) উনারা ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মধ্যে এস্তেমা করবেন, আর বাকি যে অংশ উনারা (সাধ অনুসারিরা):১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমা করবেন। এর মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব কিংবা দ্বীধা নাই। আমরা আশা করি উভয় পক্ষের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবেই ইজতেমা সমাধান হবে ইনশাল্লাহ।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ব ইজতেমা মাঠের জিএমপির কন্ট্রোল রুমের সামনে প্রেসব্রিফিংকালে আইজিপি এসব কথা বলেন।
দ্বিতীয় পর্ব আয়োজনে ভারতের মৌলানা সাদ অনুসারীদের যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, এই শর্ত না মানলে তারা কি ইজতেমা করতে পারবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমরা চাই সাদ অনুসারিরা তাদের ইজতেমা আয়োজন করুক। এ বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আমাদের হাতে আরো অনেক সময় রয়েছে।
পরবর্তীতে, আইজিপি চলে যাবার পর জুবায়ের অনুসারীদের শীর্ষ মুরুব্বী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান সংবাদকে বলেন, সাদ অনুসারীরা যদি শর্ত না মানে, তাহলে তাদেরকে কোন অবস্থাতেই ইজতেমা করতে দেওয়া হবে না। তাদেরকে বাংলার জনগণ এই ইজতেমা ময়দানে ঢুকতে দিবে না।
বাংলদেশ পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম আরো বলেছেন, এখন এন্টারিম গভর্নমেন্ট চলছে। লুট হওয়ার অনেক অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। সব কিছু মাথায় রেখেই কাজ করছি। দুই পক্ষ একমত হয়েছে, তাই সুন্দরভাবেই ইজতেমা হবে আশা করি।
আইজিপি সম্প্রতি ইজতেমা মাঠে একাধিক খুনের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, আমরা আদম সন্তান। দুই পক্ষই আমল করেন। আমরা আদম সন্তান। নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে, দুই পক্ষ একমত হওয়ায় আমরা আশা করি ইজতেমা সুন্দর হবে। ইজতেমায় আয়োজকদের ১০ হাজার সেচ্ছাসেবী আমাদের সাথে থাকবে। তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে।
এসময় গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমূল করীম খান বলেন, এবারের ইজতেমায় ওয়াচ টাওয়ার থাকবে ১৬ টি। ৫ সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা ছক করা হয়েছে । পুরো ইজতেমা মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ২০ টি মোবাই পার্টি, ২০ টি চেকপোস্ট থাকবে। ইজতেমা উপলক্ষে ৩১ জানুয়ারী থোকে ২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মহাসড়কে কোন পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এবার প্রচুর পরিমান নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। আশা করি কোন কিছু হবে না। ড্রোন ও হেলিকপ্টার টহল থাকবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক আকরাম হোসেন, জিএমপি কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, জিএমবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হাসান ও তাহেরুল হক চৌহান, জেলা পুলিশ সুপার ড. যাবের সাদেক, অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌ পুলিশ সুপার গৌতম কুমার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনি, ইজতেমার আয়োজকদের মুরুব্বী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নানসহ সংশ্লিষ্টরা।
৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব দুই ভাগে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব আয়োজন করবে মাওলানা জোবায়ের অনুসারী (শুরায়ে নেজামী) অংশ। প্রথমভাগে ৩১ জানুয়ারী শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারী আকরিক মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি বাদ ফজর শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
এরপর ভারতের মৌলানা সাদ অনুসারীরা দ্বিতীয় পর্ব ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারী ইজতেমা করবেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, ২৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে প্রকাশিত এক চিঠিতে মাওলানা সাদ অনুসারীদের ১৪ ফেব্রুয়ারি এস এম আয়োজনের যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাতে একটি শর্ত জোরে দেওয়া হয়েছে। শর্তটি হচ্ছে সাত অনুসারীরা এবারের পর ভবিষ্যতে আর কোনদিন টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এস্তেম আয়োজন করতে পারবে না। সরকারের দেওয়া এই শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন স্যার অনুসারীরা। সাত অনুসারীদের মুখপাত্র আবু সায়েম জানান, তারা সরকার নির্ধারিত সময়ে এস্তেম আয়োজন করবেন তবে শর্ত মানবেন না।
অপরদিকে জোবায়ের অনুসারী দেশ শীর্ষ মুরুব্বী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান শর্ত না মানলে সাধ অনুসারিদের আস্তানা করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে সাধ অনুসারীদের এস্তেমা আয়োজন এর বিষয়টি এখনো অনিশ্চিতি রয়ে গেল।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, কিছুদিন আগে ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, এখানে যারা আসেন, যারা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে দীন এবং দুনিয়ার কামিয়াবী হাসিলের জন্য এখানে আসছেন এস্তেমা করার জন্য। তাদের মধ্যে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে।
তিনি আরো বলেন, মতদৈততা মানুষের মধ্যে থাকে, উনাদের মধ্যেও হয়ে গেছে। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এটার প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষই অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। উনারা এখন (মাওলানা মাহফুজ এখানে আছেন) উনারা ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মধ্যে এস্তেমা করবেন, আর বাকি যে অংশ উনারা (সাধ অনুসারিরা):১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমা করবেন। এর মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব কিংবা দ্বীধা নাই। আমরা আশা করি উভয় পক্ষের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবেই ইজতেমা সমাধান হবে ইনশাল্লাহ।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ব ইজতেমা মাঠের জিএমপির কন্ট্রোল রুমের সামনে প্রেসব্রিফিংকালে আইজিপি এসব কথা বলেন।
দ্বিতীয় পর্ব আয়োজনে ভারতের মৌলানা সাদ অনুসারীদের যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, এই শর্ত না মানলে তারা কি ইজতেমা করতে পারবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমরা চাই সাদ অনুসারিরা তাদের ইজতেমা আয়োজন করুক। এ বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আমাদের হাতে আরো অনেক সময় রয়েছে।
পরবর্তীতে, আইজিপি চলে যাবার পর জুবায়ের অনুসারীদের শীর্ষ মুরুব্বী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান সংবাদকে বলেন, সাদ অনুসারীরা যদি শর্ত না মানে, তাহলে তাদেরকে কোন অবস্থাতেই ইজতেমা করতে দেওয়া হবে না। তাদেরকে বাংলার জনগণ এই ইজতেমা ময়দানে ঢুকতে দিবে না।
বাংলদেশ পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম আরো বলেছেন, এখন এন্টারিম গভর্নমেন্ট চলছে। লুট হওয়ার অনেক অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। সব কিছু মাথায় রেখেই কাজ করছি। দুই পক্ষ একমত হয়েছে, তাই সুন্দরভাবেই ইজতেমা হবে আশা করি।
আইজিপি সম্প্রতি ইজতেমা মাঠে একাধিক খুনের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, আমরা আদম সন্তান। দুই পক্ষই আমল করেন। আমরা আদম সন্তান। নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে, দুই পক্ষ একমত হওয়ায় আমরা আশা করি ইজতেমা সুন্দর হবে। ইজতেমায় আয়োজকদের ১০ হাজার সেচ্ছাসেবী আমাদের সাথে থাকবে। তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে।
এসময় গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমূল করীম খান বলেন, এবারের ইজতেমায় ওয়াচ টাওয়ার থাকবে ১৬ টি। ৫ সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা ছক করা হয়েছে । পুরো ইজতেমা মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ২০ টি মোবাই পার্টি, ২০ টি চেকপোস্ট থাকবে। ইজতেমা উপলক্ষে ৩১ জানুয়ারী থোকে ২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মহাসড়কে কোন পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এবার প্রচুর পরিমান নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। আশা করি কোন কিছু হবে না। ড্রোন ও হেলিকপ্টার টহল থাকবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক আকরাম হোসেন, জিএমপি কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, জিএমবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হাসান ও তাহেরুল হক চৌহান, জেলা পুলিশ সুপার ড. যাবের সাদেক, অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌ পুলিশ সুপার গৌতম কুমার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনি, ইজতেমার আয়োজকদের মুরুব্বী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নানসহ সংশ্লিষ্টরা।
৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব দুই ভাগে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব আয়োজন করবে মাওলানা জোবায়ের অনুসারী (শুরায়ে নেজামী) অংশ। প্রথমভাগে ৩১ জানুয়ারী শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারী আকরিক মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি বাদ ফজর শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
এরপর ভারতের মৌলানা সাদ অনুসারীরা দ্বিতীয় পর্ব ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারী ইজতেমা করবেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, ২৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে প্রকাশিত এক চিঠিতে মাওলানা সাদ অনুসারীদের ১৪ ফেব্রুয়ারি এস এম আয়োজনের যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাতে একটি শর্ত জোরে দেওয়া হয়েছে। শর্তটি হচ্ছে সাত অনুসারীরা এবারের পর ভবিষ্যতে আর কোনদিন টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এস্তেম আয়োজন করতে পারবে না। সরকারের দেওয়া এই শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন স্যার অনুসারীরা। সাত অনুসারীদের মুখপাত্র আবু সায়েম জানান, তারা সরকার নির্ধারিত সময়ে এস্তেম আয়োজন করবেন তবে শর্ত মানবেন না।
অপরদিকে জোবায়ের অনুসারী দেশ শীর্ষ মুরুব্বী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান শর্ত না মানলে সাধ অনুসারিদের আস্তানা করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে সাধ অনুসারীদের এস্তেমা আয়োজন এর বিষয়টি এখনো অনিশ্চিতি রয়ে গেল।