বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময় অর্থনীতির অবস্থা দুর্বল ছিল, আর নতুন অন্তর্বর্তী সরকারও কর্মসংস্থান বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশে রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা না থাকলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "জুলাই আন্দোলনের মূল কারণ ছিল কর্মসংস্থানের অভাব। বিগত সরকারের বৈষম্যমূলক নীতি বেকারত্ব পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। সমাজে বৈষম্য বেড়েছে। কিন্তু নতুন সরকারও কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেনি।"
সিপিডি বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার ১৫% ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সাধারণ জনগণের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "মজুরির চেয়ে মূল্যস্ফীতি দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার প্রত্যক্ষ কর না বাড়িয়ে পরোক্ষ কর বাড়াচ্ছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জন্য চাপ সৃষ্টি করবে।"
তিনি আরও বলেন, "আইএমএফ সরকারকে ভ্যাট বাড়ানোর কথা বলেনি, বরং রাজস্ব বাড়ানোর কথা বলেছে। কিন্তু সরকার কর ব্যবস্থা সংস্কার না করে সাধারণ মানুষের ওপর ভ্যাটের বোঝা চাপাচ্ছে।"
ফাহমিদা খাতুন বলেন, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৭%, যেখানে গত বছর একই সময়ে এটি ছিল ১৭.৭%। অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ে চরম অবনতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "বিনিয়োগ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নে এখনো কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।"
সিপিডি বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তির তথ্য এখনো জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, "আমরা তথ্য অধিকার আইনে ২৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নথি চেয়েছিলাম, কিন্তু সরকার বলছে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।"
সিপিডির মতে, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো সরকার দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছে। আমরা চাই, সেই সময়ের মধ্যেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন সম্পন্ন হোক।"
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময় অর্থনীতির অবস্থা দুর্বল ছিল, আর নতুন অন্তর্বর্তী সরকারও কর্মসংস্থান বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশে রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা না থাকলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "জুলাই আন্দোলনের মূল কারণ ছিল কর্মসংস্থানের অভাব। বিগত সরকারের বৈষম্যমূলক নীতি বেকারত্ব পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। সমাজে বৈষম্য বেড়েছে। কিন্তু নতুন সরকারও কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেনি।"
সিপিডি বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার ১৫% ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সাধারণ জনগণের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "মজুরির চেয়ে মূল্যস্ফীতি দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার প্রত্যক্ষ কর না বাড়িয়ে পরোক্ষ কর বাড়াচ্ছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জন্য চাপ সৃষ্টি করবে।"
তিনি আরও বলেন, "আইএমএফ সরকারকে ভ্যাট বাড়ানোর কথা বলেনি, বরং রাজস্ব বাড়ানোর কথা বলেছে। কিন্তু সরকার কর ব্যবস্থা সংস্কার না করে সাধারণ মানুষের ওপর ভ্যাটের বোঝা চাপাচ্ছে।"
ফাহমিদা খাতুন বলেন, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৭%, যেখানে গত বছর একই সময়ে এটি ছিল ১৭.৭%। অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ে চরম অবনতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "বিনিয়োগ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নে এখনো কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।"
সিপিডি বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তির তথ্য এখনো জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, "আমরা তথ্য অধিকার আইনে ২৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নথি চেয়েছিলাম, কিন্তু সরকার বলছে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।"
সিপিডির মতে, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো সরকার দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছে। আমরা চাই, সেই সময়ের মধ্যেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন সম্পন্ন হোক।"