নতুন সুপারিশে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের জন্যও শর্ত আরোপ, পাশাপাশি অস্থায়ী-স্থায়ী কার্ড বিভাজন বাতিল
সরকারের পক্ষ থেকে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের জন্য নতুন শর্ত সংযোজন এবং প্রাসঙ্গিক বিধানগুলো পুনঃমূল্যায়ন করা। সম্প্রতি গঠিত ১৭ সদস্যের কমিটি এই নীতিমালার পুনর্মূল্যায়ন কাজ করছে এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করবে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার প্রস্তাব করেছে যে, সাংবাদিকদের জন্য এক ধরনের কার্ড থাকবে, যা স্থায়ী ও অস্থায়ী বলে আলাদা করা হবে না। এই কার্ডের মেয়াদ হবে তিন বছর। বর্তমানে, স্থায়ী ও অস্থায়ী—এই দুই ধরনের কার্ড দেওয়া হয়, যার মধ্যে স্থায়ী কার্ডের মেয়াদ তিন বছর এবং অস্থায়ী কার্ডের মেয়াদ এক বছর। তবে নতুন নীতিমালায় এই বিভাজন তুলে দেওয়া হবে এবং সংশোধিত বিধান অনুযায়ী, একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক ও রিপোর্টারের মোট সংখ্যার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অথবা ১৫ জন সাংবাদিককে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকরা প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পান, তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে যে, এই সুবিধাটি শুধুমাত্র সেই ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে যারা সাংবাদিকতার পেশায় কমপক্ষে ২০ বছর যুক্ত আছেন এবং যারা সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে এমন কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সরকার মনে করে, অনেক অসাংবাদিক ব্যক্তি এই সুবিধা অপব্যবহার করেছেন, যা প্রকৃত সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতিকর হয়েছে।
বর্তমানে যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়, তবে তাঁর প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা যেতে পারে। তবে, সরকারের নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, যদি ফৌজদারি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়, তবে ওই সাংবাদিকের কার্ড স্থগিত করা হবে এবং যদি তিনি সাজাপ্রাপ্ত হন, তবে কার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করা হবে।
বর্তমানে, সাংবাদিকরা যদি বিদেশ যান, তাহলে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা প্রধান তথ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হয়, যা অনেকের মতে অবমাননাকর। এই বিধানটি বাতিল করার সুপারিশও করা হয়েছে, কারণ এটি বাস্তবে খুবই কম প্রয়োগ হয় এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও মর্যাদার পরিপন্থী বলে বিবেচিত হয়।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সুপারিশ অনুযায়ী, সরকার দ্রুত নতুন নীতিমালা চূড়ান্ত করতে চাইছে। এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হতে পারে এবং এরপর নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। যতদিন না নতুন কার্ড দেওয়া হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত পুরনো কার্ডগুলোর কার্যকারিতা বহাল থাকবে।
এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ১৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার আহ্বায়ক রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. সরওয়ার আলম। কমিটি এই নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জনের সুপারিশ করবে এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
নতুন সুপারিশে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের জন্যও শর্ত আরোপ, পাশাপাশি অস্থায়ী-স্থায়ী কার্ড বিভাজন বাতিল
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
সরকারের পক্ষ থেকে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের জন্য নতুন শর্ত সংযোজন এবং প্রাসঙ্গিক বিধানগুলো পুনঃমূল্যায়ন করা। সম্প্রতি গঠিত ১৭ সদস্যের কমিটি এই নীতিমালার পুনর্মূল্যায়ন কাজ করছে এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করবে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার প্রস্তাব করেছে যে, সাংবাদিকদের জন্য এক ধরনের কার্ড থাকবে, যা স্থায়ী ও অস্থায়ী বলে আলাদা করা হবে না। এই কার্ডের মেয়াদ হবে তিন বছর। বর্তমানে, স্থায়ী ও অস্থায়ী—এই দুই ধরনের কার্ড দেওয়া হয়, যার মধ্যে স্থায়ী কার্ডের মেয়াদ তিন বছর এবং অস্থায়ী কার্ডের মেয়াদ এক বছর। তবে নতুন নীতিমালায় এই বিভাজন তুলে দেওয়া হবে এবং সংশোধিত বিধান অনুযায়ী, একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক ও রিপোর্টারের মোট সংখ্যার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অথবা ১৫ জন সাংবাদিককে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকরা প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পান, তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে যে, এই সুবিধাটি শুধুমাত্র সেই ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে যারা সাংবাদিকতার পেশায় কমপক্ষে ২০ বছর যুক্ত আছেন এবং যারা সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে এমন কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সরকার মনে করে, অনেক অসাংবাদিক ব্যক্তি এই সুবিধা অপব্যবহার করেছেন, যা প্রকৃত সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতিকর হয়েছে।
বর্তমানে যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়, তবে তাঁর প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা যেতে পারে। তবে, সরকারের নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, যদি ফৌজদারি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়, তবে ওই সাংবাদিকের কার্ড স্থগিত করা হবে এবং যদি তিনি সাজাপ্রাপ্ত হন, তবে কার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করা হবে।
বর্তমানে, সাংবাদিকরা যদি বিদেশ যান, তাহলে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা প্রধান তথ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হয়, যা অনেকের মতে অবমাননাকর। এই বিধানটি বাতিল করার সুপারিশও করা হয়েছে, কারণ এটি বাস্তবে খুবই কম প্রয়োগ হয় এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও মর্যাদার পরিপন্থী বলে বিবেচিত হয়।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সুপারিশ অনুযায়ী, সরকার দ্রুত নতুন নীতিমালা চূড়ান্ত করতে চাইছে। এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হতে পারে এবং এরপর নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। যতদিন না নতুন কার্ড দেওয়া হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত পুরনো কার্ডগুলোর কার্যকারিতা বহাল থাকবে।
এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ১৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার আহ্বায়ক রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. সরওয়ার আলম। কমিটি এই নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জনের সুপারিশ করবে এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।