ভবিষ্যতের উন্নয়নের পথে বৈষম্যহীন অর্থনীতি গঠনের নতুন দিশা প্রস্তাব
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, বৃহস্পতিবার টেকসই উন্নয়ন ও বৈষম্যহীন অর্থনীতির জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন। এই প্রতিবেদনটি শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এই টাস্কফোর্সটি কাজ শুরু করে এবং এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক পথ নির্দেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এটি উল্লেখযোগ্য যে, গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সরকারের এই সংস্কারের অংশ হিসেবে গত ১০ সেপ্টেম্বর টাস্কফোর্সটি গঠন করা হয়, যাতে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা যুক্ত হন এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সুদৃঢ় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ। এছাড়া, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ) মো. কাউসার আহাম্মদ সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আখতার মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান, কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের সাবেক গবেষণা বিভাগের প্রধান আবদুর রাজ্জাক, এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুশফিক মোবারক। এছাড়া, বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুমানা হক, এমসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসিম মনজুর, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হেসেন, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এবং বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুরসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
টাস্কফোর্সটি, ন্যায্য, টেকসই ও গতিশীল অর্থনীতির ভিত্তি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল তিন মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করা। এই সময়সীমার মধ্যে, তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সমাজে বৈষম্য দূরীকরণের জন্য নতুন কৌশল ও পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য একটি টেকসই রূপরেখা তৈরি করবে।
প্রতিবেদনটির মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃজন এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির জন্য নানান দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা দেশের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে এবং সমতাভিত্তিক উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী কৌশল প্রস্তাব করেছেন, যা দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করবে।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য এই রিপোর্টটি বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে এই রিপোর্টের প্রস্তাবগুলো কার্যকর করা হলে, দেশটি একটি শোভন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনটি এখন প্রধান উপদেষ্টার হাতে পৌঁছেছে এবং আশা করা হচ্ছে, প্রতিবেদনটি দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
ভবিষ্যতের উন্নয়নের পথে বৈষম্যহীন অর্থনীতি গঠনের নতুন দিশা প্রস্তাব
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, বৃহস্পতিবার টেকসই উন্নয়ন ও বৈষম্যহীন অর্থনীতির জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন। এই প্রতিবেদনটি শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এই টাস্কফোর্সটি কাজ শুরু করে এবং এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক পথ নির্দেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এটি উল্লেখযোগ্য যে, গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সরকারের এই সংস্কারের অংশ হিসেবে গত ১০ সেপ্টেম্বর টাস্কফোর্সটি গঠন করা হয়, যাতে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা যুক্ত হন এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সুদৃঢ় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ। এছাড়া, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ) মো. কাউসার আহাম্মদ সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আখতার মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান, কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের সাবেক গবেষণা বিভাগের প্রধান আবদুর রাজ্জাক, এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুশফিক মোবারক। এছাড়া, বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুমানা হক, এমসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসিম মনজুর, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হেসেন, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এবং বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুরসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
টাস্কফোর্সটি, ন্যায্য, টেকসই ও গতিশীল অর্থনীতির ভিত্তি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল তিন মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করা। এই সময়সীমার মধ্যে, তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সমাজে বৈষম্য দূরীকরণের জন্য নতুন কৌশল ও পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য একটি টেকসই রূপরেখা তৈরি করবে।
প্রতিবেদনটির মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃজন এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির জন্য নানান দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা দেশের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে এবং সমতাভিত্তিক উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী কৌশল প্রস্তাব করেছেন, যা দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করবে।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য এই রিপোর্টটি বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে এই রিপোর্টের প্রস্তাবগুলো কার্যকর করা হলে, দেশটি একটি শোভন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনটি এখন প্রধান উপদেষ্টার হাতে পৌঁছেছে এবং আশা করা হচ্ছে, প্রতিবেদনটি দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।