‘অস্থিতিশীল’ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে-এমন কন্টেন্ট ঠেকাতে মেলায় বই প্রকাশের আগেই পাণ্ডুলিপি যাচাইয়ে বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। ডিএমপি চাইছে, ২০২৬ সালের একুশে বইমেলা থেকে এই ব্যবস্থা চালু করা হোক। ৩১শে জানুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবারের বইমেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে নিজেদের ভাবনার কথা তুলে ধরেন ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ও অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন নজরুল ইসলাম।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন রেখেছিলেন- এর আগে বইয়ের কন্টেন্ট নিয়ে মেলায় সমস্যা হয়েছে, এমন পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের কোনো উদ্যোগ আছে কি না? উত্তরে ডিএমপির কমিশনারে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা একটা সমন্বয় সভা করেছিলাম, সেখানে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা ছিলেন। তাদের আমরা রিকুয়েস্ট করেছি- এরকম কোনো বই যেন মেলায় না আসে, যেখানে উসকানিমূলক কথা বা লেখা আছে। ‘এটা যেন ওনারা স্ক্যানিং করে, ভেটিং করে স্টলে উপস্থাপন করেন। আমি আশা করি, তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।’
এ সময় পাশ থেকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এবার বাংলা একাডেমিকে সাজেস্ট করছি, আগামীতে নতুন যে বইগুলো প্রকাশিত হবে- তার পাণ্ডুলিপি আগেই যেন বাংলা একাডেমিকে জমা দেয়া হয়। ‘তারা এটা যাচাই-বাছাই করবে, পড়ে দেখবে যে এমন কোনো কন্টেন্ট যেন ছাপানো না হয়, যেটা আমাদের সোশাল লাইফকে ডিজরাপ্ট করে, আমাদের কমিউনাল হারমনিকে ডিজরাপ্ট করে, আমাদের দেশদ্রোহী কোনো বক্তব্য বা প্রকাশনা বা সরকারকে ডিস্টাবিলাইজ (অস্থির) করে- এরকম কোনো ধরনের প্রকাশনা যেন মেলায় না আসে। এটা আমরা রিকোয়েস্ট করেছি বাংলা একাডেমিকে।’
পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করি, আগামী বছর থেকে এটা আমরা করাইতে পারব বাংলা একাডেমিকে দিয়ে যে- বই প্রকাশনার আগে পাণ্ডুলিপি তাদেরকে দিতে হবে। তারা অনুমতি দিলেই সেটা শুধু প্রকাশ হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অমর একুশে বইমেলার সদস্য সচিব সরকার আমিন বলেন, ‘পুলিশের কাছ থেকে এরকম কোনো বিষয় নিয়ে দাপ্তরিক কোনো চিঠি আমরা পাইনি। বইমেলার জন্য একটা নীতিমালা আছে, সেই নীতিমালা অনুযায়ী মেলা পরিচালিত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সৃজনশীল কাজের সেন্সরপ্রথার বিপক্ষে বলেই আমরা জানি। তাই আমরা মনে করি, বই সেন্সর করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত তারা নেবেন না। ‘আর একুশে বইমেলা একটা নীতিমালার আলোকে পরিচালিত হয়, সেখানেও বই সেন্সর করার ব্যাপার নেই বলেই জানি।’
গত বছর ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’, ফাহাম আব্দুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ ও জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ বই তিনটি বইমেলায় বিপণন করতে মানা করেছিল বাংলা একাডেমি।
সেই শর্ত না মানায় গতবার স্টল পায়নি ‘আদর্শ’। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল এ প্রকাশনা সংস্থাটি। ‘আদর্শ’র স্বত্তাধিকারী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি নিজেও তো ভুক্তভোগী, এর আগের আমার প্রকাশনা সংস্থার বই বিনা কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা তো এখনও চলতে পারে না। ‘আমি লেখকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, বইয়ের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। বাংলা একাডেমি বা পুলিশের কাজ না- লেখককে নিয়ন্ত্রণ করা এবং বইকে নিয়ন্ত্রণ করা।’
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে কোনো শঙ্কা দেখছে না ডিএমপি
ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে আওয়ামী লীগ হরতাল-অবরোধসহ যে কর্মসূচি দিয়েছে তাতে শঙ্কার কোনো কারণ দেখছেন না ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ৩১শে জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একুশে বইমেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সবসময় কাজ করছি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দিস ইজ দ্য ওয়ার্ল্ড অব মিডিয়া। এক মিনিটের ভেতরে এই ঢাকা শহরের খবর ব্রাজিল চলে যাচ্ছে। এমনকি যদি টাওয়ার থাকে, ব্রাজিলের আমাজন বনভূমিতে কমিউনিকেশন হয়ে যাচ্ছে। সো এই যুগে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আসছে। আপনারা দেখছেন আমরা সেইসব প্রোগ্রাম মোকাবিলা করছি। ‘ভিডিও বার্তা, মিডিয়ার জগৎ- প্রোগ্রাম দিতেই পারে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তারা যদি এরকম কোনো অ্যাটেম্প্ট নেয় অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে আপাতত আমরা এরকম কোনো শঙ্কা দেখছি না।’
২৯ জানুয়ারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে লিফলেট বিতরণ, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। ফেইসবুক পেইজে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি নিয়ে প্রচারও চালাচ্ছে ১৫ বছরের বেশি সময় দেশ শাসন দলটি। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১-৫ ফেব্রুয়ারি প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল।
‘কারামুক্ত জঙ্গিরা নজরে’
অমর একুশে বইমেলা ঘিরে কারামুক্ত জঙ্গিদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করছে পুলিশ। তবে জঙ্গি হামলার কোনো শঙ্কা রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি ডিএমপি কমিশনার। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে লেখক হুমায়ুন আজাদকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। কয়েক মাস চিকিৎসা নেয়ার পর ওই বছর আগস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। পরে ১২ আগস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে জঙ্গি হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ রায়। চাপাতির আঘাতে আঙুল হারান তার স্ত্রী। ২০২৩ সালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নামে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে উড়োচিঠি দিয়ে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ছাড়াই শেষ হয় মেলা। এসব হামলার অভিযোগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদের অনেকেই এখন কারামুক্ত, তাদের বিষয়ে পুলিশ কোনো শঙ্কা দেখছে কিনা? এ প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত বলেন, ‘যারা (কারাগার থেকে) বের হইছে, আমরা তাদের নজরদারিতে রাখছি। যারা এরকম নিষিদ্ধ লোকজনে আছে, আমরা খেয়াল রাখব।’
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
‘অস্থিতিশীল’ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে-এমন কন্টেন্ট ঠেকাতে মেলায় বই প্রকাশের আগেই পাণ্ডুলিপি যাচাইয়ে বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। ডিএমপি চাইছে, ২০২৬ সালের একুশে বইমেলা থেকে এই ব্যবস্থা চালু করা হোক। ৩১শে জানুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবারের বইমেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে নিজেদের ভাবনার কথা তুলে ধরেন ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ও অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন নজরুল ইসলাম।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন রেখেছিলেন- এর আগে বইয়ের কন্টেন্ট নিয়ে মেলায় সমস্যা হয়েছে, এমন পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের কোনো উদ্যোগ আছে কি না? উত্তরে ডিএমপির কমিশনারে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা একটা সমন্বয় সভা করেছিলাম, সেখানে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা ছিলেন। তাদের আমরা রিকুয়েস্ট করেছি- এরকম কোনো বই যেন মেলায় না আসে, যেখানে উসকানিমূলক কথা বা লেখা আছে। ‘এটা যেন ওনারা স্ক্যানিং করে, ভেটিং করে স্টলে উপস্থাপন করেন। আমি আশা করি, তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।’
এ সময় পাশ থেকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এবার বাংলা একাডেমিকে সাজেস্ট করছি, আগামীতে নতুন যে বইগুলো প্রকাশিত হবে- তার পাণ্ডুলিপি আগেই যেন বাংলা একাডেমিকে জমা দেয়া হয়। ‘তারা এটা যাচাই-বাছাই করবে, পড়ে দেখবে যে এমন কোনো কন্টেন্ট যেন ছাপানো না হয়, যেটা আমাদের সোশাল লাইফকে ডিজরাপ্ট করে, আমাদের কমিউনাল হারমনিকে ডিজরাপ্ট করে, আমাদের দেশদ্রোহী কোনো বক্তব্য বা প্রকাশনা বা সরকারকে ডিস্টাবিলাইজ (অস্থির) করে- এরকম কোনো ধরনের প্রকাশনা যেন মেলায় না আসে। এটা আমরা রিকোয়েস্ট করেছি বাংলা একাডেমিকে।’
পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করি, আগামী বছর থেকে এটা আমরা করাইতে পারব বাংলা একাডেমিকে দিয়ে যে- বই প্রকাশনার আগে পাণ্ডুলিপি তাদেরকে দিতে হবে। তারা অনুমতি দিলেই সেটা শুধু প্রকাশ হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অমর একুশে বইমেলার সদস্য সচিব সরকার আমিন বলেন, ‘পুলিশের কাছ থেকে এরকম কোনো বিষয় নিয়ে দাপ্তরিক কোনো চিঠি আমরা পাইনি। বইমেলার জন্য একটা নীতিমালা আছে, সেই নীতিমালা অনুযায়ী মেলা পরিচালিত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সৃজনশীল কাজের সেন্সরপ্রথার বিপক্ষে বলেই আমরা জানি। তাই আমরা মনে করি, বই সেন্সর করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত তারা নেবেন না। ‘আর একুশে বইমেলা একটা নীতিমালার আলোকে পরিচালিত হয়, সেখানেও বই সেন্সর করার ব্যাপার নেই বলেই জানি।’
গত বছর ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’, ফাহাম আব্দুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ ও জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ বই তিনটি বইমেলায় বিপণন করতে মানা করেছিল বাংলা একাডেমি।
সেই শর্ত না মানায় গতবার স্টল পায়নি ‘আদর্শ’। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল এ প্রকাশনা সংস্থাটি। ‘আদর্শ’র স্বত্তাধিকারী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি নিজেও তো ভুক্তভোগী, এর আগের আমার প্রকাশনা সংস্থার বই বিনা কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা তো এখনও চলতে পারে না। ‘আমি লেখকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, বইয়ের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। বাংলা একাডেমি বা পুলিশের কাজ না- লেখককে নিয়ন্ত্রণ করা এবং বইকে নিয়ন্ত্রণ করা।’
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে কোনো শঙ্কা দেখছে না ডিএমপি
ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে আওয়ামী লীগ হরতাল-অবরোধসহ যে কর্মসূচি দিয়েছে তাতে শঙ্কার কোনো কারণ দেখছেন না ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ৩১শে জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একুশে বইমেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সবসময় কাজ করছি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দিস ইজ দ্য ওয়ার্ল্ড অব মিডিয়া। এক মিনিটের ভেতরে এই ঢাকা শহরের খবর ব্রাজিল চলে যাচ্ছে। এমনকি যদি টাওয়ার থাকে, ব্রাজিলের আমাজন বনভূমিতে কমিউনিকেশন হয়ে যাচ্ছে। সো এই যুগে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আসছে। আপনারা দেখছেন আমরা সেইসব প্রোগ্রাম মোকাবিলা করছি। ‘ভিডিও বার্তা, মিডিয়ার জগৎ- প্রোগ্রাম দিতেই পারে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তারা যদি এরকম কোনো অ্যাটেম্প্ট নেয় অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে আপাতত আমরা এরকম কোনো শঙ্কা দেখছি না।’
২৯ জানুয়ারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে লিফলেট বিতরণ, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। ফেইসবুক পেইজে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি নিয়ে প্রচারও চালাচ্ছে ১৫ বছরের বেশি সময় দেশ শাসন দলটি। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১-৫ ফেব্রুয়ারি প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল।
‘কারামুক্ত জঙ্গিরা নজরে’
অমর একুশে বইমেলা ঘিরে কারামুক্ত জঙ্গিদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করছে পুলিশ। তবে জঙ্গি হামলার কোনো শঙ্কা রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি ডিএমপি কমিশনার। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে লেখক হুমায়ুন আজাদকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। কয়েক মাস চিকিৎসা নেয়ার পর ওই বছর আগস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। পরে ১২ আগস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে জঙ্গি হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ রায়। চাপাতির আঘাতে আঙুল হারান তার স্ত্রী। ২০২৩ সালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নামে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে উড়োচিঠি দিয়ে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ছাড়াই শেষ হয় মেলা। এসব হামলার অভিযোগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদের অনেকেই এখন কারামুক্ত, তাদের বিষয়ে পুলিশ কোনো শঙ্কা দেখছে কিনা? এ প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত বলেন, ‘যারা (কারাগার থেকে) বের হইছে, আমরা তাদের নজরদারিতে রাখছি। যারা এরকম নিষিদ্ধ লোকজনে আছে, আমরা খেয়াল রাখব।’