ইজতেমার ভিড় উপশমে মেট্রোরেলের বাড়তি কোচ চালু, চলবে নির্দিষ্ট সময়সীমায়
বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মেট্রোরেলের নিয়মিত কোচগুলোর পাশাপাশি প্রতিদিন ছয়টি বাড়তি কোচ চালানো হবে, যা ইজতেমা উপলক্ষে বিশেষভাবে কার্যকর হবে। এই বাড়তি কোচগুলো শুক্রবার থেকে চালু হয়েছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, এই কোচগুলো ইজতেমার ভিড় বিবেচনায় চলবে, যাতে মুসল্লিদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হয় এবং ভোগান্তি কমানো যায়।
তিনি বলেন, “ইজতেমার জন্য ট্রেন চলাচলের সময় বাড়ানো হচ্ছে না, তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছয়টি বিশেষ কোচ চালানো হবে। এতে করে মুসল্লিদের যাতায়াতে আরও সুবিধা হবে।”
ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে গত শুক্রবার ভোরে, যা চলবে রোববার পর্যন্ত। এর পরবর্তী পর্ব ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই পর্বের তারিখ তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা নির্ধারণ করেছেন।
তাবলীগ জামাতের জুবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের ইজতেমায় ঢাকা সহ ৪১ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। এই জেলার মধ্যে গাজীপুর, গাইবান্ধা, নাটোর, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারি, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নেত্রকোণা, শেরপুর, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পিরোজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, রাজবাড়ী এবং ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা অংশ নিবেন।
এদিকে, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন ঢাকার একাংশসহ ২২ জেলার মুসল্লিরা। এই জেলার মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, মোহাম্মাদপুর, মুন্সিগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, টাঙ্গাইল, পাবনা, নরসিংদী, সাভার, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, নওগাঁ, বান্দরবন এবং ঢাকার একাংশ।
বিশ্ব ইজতেমার এই দুই পর্বে বিশাল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন, যা সড়ক এবং গণপরিবহনে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে এবং ফিরে যেতে সুবিধা পান। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের বিশেষ কোচ চালুর সিদ্ধান্তও সেই চেষ্টারই অংশ।
ইজতেমার ভিড় উপশমে মেট্রোরেলের বাড়তি কোচ চালু, চলবে নির্দিষ্ট সময়সীমায়
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মেট্রোরেলের নিয়মিত কোচগুলোর পাশাপাশি প্রতিদিন ছয়টি বাড়তি কোচ চালানো হবে, যা ইজতেমা উপলক্ষে বিশেষভাবে কার্যকর হবে। এই বাড়তি কোচগুলো শুক্রবার থেকে চালু হয়েছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, এই কোচগুলো ইজতেমার ভিড় বিবেচনায় চলবে, যাতে মুসল্লিদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হয় এবং ভোগান্তি কমানো যায়।
তিনি বলেন, “ইজতেমার জন্য ট্রেন চলাচলের সময় বাড়ানো হচ্ছে না, তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছয়টি বিশেষ কোচ চালানো হবে। এতে করে মুসল্লিদের যাতায়াতে আরও সুবিধা হবে।”
ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে গত শুক্রবার ভোরে, যা চলবে রোববার পর্যন্ত। এর পরবর্তী পর্ব ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই পর্বের তারিখ তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা নির্ধারণ করেছেন।
তাবলীগ জামাতের জুবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের ইজতেমায় ঢাকা সহ ৪১ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। এই জেলার মধ্যে গাজীপুর, গাইবান্ধা, নাটোর, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারি, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নেত্রকোণা, শেরপুর, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পিরোজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, রাজবাড়ী এবং ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা অংশ নিবেন।
এদিকে, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন ঢাকার একাংশসহ ২২ জেলার মুসল্লিরা। এই জেলার মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, মোহাম্মাদপুর, মুন্সিগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, টাঙ্গাইল, পাবনা, নরসিংদী, সাভার, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, নওগাঁ, বান্দরবন এবং ঢাকার একাংশ।
বিশ্ব ইজতেমার এই দুই পর্বে বিশাল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন, যা সড়ক এবং গণপরিবহনে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে এবং ফিরে যেতে সুবিধা পান। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের বিশেষ কোচ চালুর সিদ্ধান্তও সেই চেষ্টারই অংশ।