alt

জাতীয়

অমর একুশে বইমেলার পর্দা উঠল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভাষার মাসের প্রথম দিনে পর্দা উঠল বাঙালির প্রাণের বইমেলা, শেষ হলো অপেক্ষার প্রহর। লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের মিলনমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো অমর একুশে বইমেলা ২০২৫।

শনিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন।

এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। গণআন্দোলনের স্মৃতি স্মরণে বাংলা একাডেমি চত্বরে তৈরি হয়েছে ‘জুলাই চত্বর’, যা প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তুলেছে বিপ্লব, শোক ও আশার বার্তা। এ বছর বইমেলা সাজানো হয়েছে লাল, কালো ও সাদা রঙে— লাল বিপ্লবের, কালো শোকের, আর সাদা আশার প্রতীক।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন— কবিতায় মাসুদ খান, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ ও গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, অনুবাদ সাহিত্যে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।

এ বছর বইমেলার পরিসর বেড়েছে আগের তুলনায়। ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১,০৮৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ৩৭টি প্যাভিলিয়নের মধ্যে বাংলা একাডেমিতে একটি, বাকি ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছে।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৩০টি লিটলম্যাগ স্থান পেয়েছে। শিশুদের জন্য ৭৪টি প্রকাশনীকে ১২০ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

প্রতি শুক্রবার ও শনিবার শিশুপ্রহর থাকছে সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত। মেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিন বিকাল ৪টায় সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

বইমেলা ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। প্রবেশ ও বাহিরপথে আর্চওয়ে বসানো হয়েছে, দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর, তিন নেতার মাজার ও হাকিম চত্বরের রাস্তা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ বা ডাইভারশন দেওয়া হতে পারে।

ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে আয়োজিত বইমেলায় ভাষা শহীদ, ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। জুলাই-অগাস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এবার বইমেলার আবহও নতুন।

আয়োজকদের মতে, এবারের মেলা একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে ধারণ করে জাতিকে নতুন পথ দেখাবে।

বাংলা একাডেমি ও অন্যান্য প্রকাশনী সংস্থা ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবে। বাংলা একাডেমির নিজস্ব প্রকাশনা থেকে ৪৩টি নতুন বই ও ৪১টি পুনর্মুদ্রিত বই প্রকাশিত হয়েছে।

অমর একুশের চেতনায় গড়ে ওঠা বইমেলা এবার আরও বৃহৎ, আরও প্রাণবন্ত। পাঠক, লেখক, প্রকাশকদের জন্য এটি শুধু বই কেনার নয়, বরং সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার এক মিলনমেলা।

বইমেলার দুয়ার খুলল

ভাষার মাসের প্রথম দিনে পর্দা উঠল বইপ্রেমী মানুষের প্রাণের মেলার; অপেক্ষা ঘুচল লেখক, প্রকাশক আর পাঠকের।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার বিকালে ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৫’ উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে- ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

সেইসঙ্গে মেলার রঙ, প্রতিপাদ্য আর দৃশ্যপটেও এসেছে পরিবর্তন। আর গণআন্দোলনের স্মৃতি স্মরণে আছে ‘জুলাই চত্বর’। বইমেলা সেজেছে লাল-কালো আর সাদা রঙে; ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিপ্লব, শোক আর আশার প্রদীপ।

এ অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিতরণ করেন সরকারপ্রধান।

পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- কবিতায় মাসুদ খান, নাটক ও নাট্যসাহিত্য: শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিকাল ৩টার দিকে বাংলা একাডেমিতে প্রবেশ করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে উদ্বেধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। ফেরদৌস আরার পরিচালনায় পরিবেশন করা হয় অমর একুশের গান।

পরে ফিতা কেটে বইমেলা উদ্বেধন করে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম এসময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলা একাডেমি চত্বর ত্যাগ করার পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মেলা প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীদের কেউ কেউ প্রবেশ করেন মেলার মাঠে। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কর্মীদের দেখা যায় স্টল গোছাতে।

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিজুড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলবে মেলা। এবার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে শতাধিক, বেড়েছে আয়তনও।

বইমেলার সদস্য সচিব সরকার আমিনের ভাষ্য, “অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও আয়তনের দিক থেকে এবার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বইমেলা হচ্ছে। শতাধিক নতুন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।”

বইয়ের মান বিবেচনায় নিয়েই নতুন প্রকাশনী সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

তিনি বলেন, “এবার অনেক নতুন প্রকাশনী মেলায় যুক্ত হয়েছে। আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব নিয়ে তাদের বরাদ্দ দিয়েছি এবং মান বিবেচনায় নতুন প্রকাশনীকে স্টল দেয়া হয়েছে।”

এবারের বইমেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৮৪ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতবছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি, আর ইউনিট ছিল ৯৪৬টি।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকছে ৩৬টি। গত বছরও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি ছিল।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় করা হয়েছে। সেখানে ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া শিশু চত্বরে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর শিশু চত্বরে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১০৯ ইউনিট দেওয়া হয়েছিল।

প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার ও সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত থাকবে ‘শিশুপ্রহর’।

অমর একুশ উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতা থাকছে। উদ্যানে থাকবে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা।

১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

মেলার কোথায় কী

বাংলা একাডেমি বলছে, এবার সামান্য কিছু পরিবর্তন ছাড়া বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতই রাখা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে মেলার বের হওয়ার পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির গেইটের কাছাকাছি নেওয়া হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ থাকবে।

খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে রাখা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবাও থাকছে। মন্দির গেইটের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে শিশু চত্বর, যাতে শিশুরা অবাধে চলতে-ফিরতে পারে।

বাংলা একাডেমি ও মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন ও শিশুকিশোর উপযোগী প্রকাশনার জন্য একটি স্টল থাকবে।

এবারের বইমেলা বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ৪৩টি ও পুনর্মুদ্রিত ৪১টি বই।

বইমেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে আর্চওয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে শুরু হওয়া মেলায় ভাষা শহীদ ও ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে এবারের আয়োজনে।

আয়োজকরা বলছেন, এবারের মেলার রঙ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লাল, কালো ও সাদা। বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে লাল, শোকের প্রতীক হিসেবে কালো এবং আশার প্রদীপ হিসেবে সাদা।

জুলাই-অগাস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবারের বইমেলার প্রেক্ষাপটটাও ভিন্ন। গণআন্দোলন ফুটিয়ে তুলতে বইমেলায় থাকছে ‘জুলাই চত্বর’।

বইমেলা ঘিরে বেশকিছু নির্দেশনা তুলে ধরেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বইমেলার কারণে বাংলা একাডেমি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় রাস্তা বন্ধ অথবা রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে।

ডাইভারশন পয়েন্টের মধ্যে রয়েছে- টিএসসি/রাজু ভাস্কর্য ক্রসিং, তিন নেতার মাজার ও হাকিম চত্বর।

পার্কিং স্থান- সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মুহসীন হল মাঠ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে, ফুলার রোডে (এক লেনে) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে।

শাহবাগ ক্রসিং থেকে টিএসসি হয়ে গাড়িযোগে মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বইমেলার টিএসসি প্রবেশ গেইটের সামনে নামবেন এবং গাড়ি রাজু ভাস্কর্য ইউটার্ন-লেফটটার্ন করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট পার্কিং স্থান অথবা গন্তব্যে যাবেন।

নীলক্ষেত/ভিসি বাংলো ক্রসিং হতে টিএসসি হয়ে গাড়িযোগে মেলায় আসা দর্শনার্থীরা হাকিম চত্বর নেমে পায়ে হেটে মেলায় প্রবেশ করবেন এবং গাড়ি হাকিম চত্বর ইউটার্ন-রাইটটার্ন করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট পার্কিং স্থান অথবা গন্তব্যে যাবেন।

হাই কোর্ট ও শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং হতে দোয়েল চত্বর ক্রসিং হয়ে বাংলা একাডেমি অভিমুখে গাড়িযোগে মেলার দর্শনার্থীরা তিন নেতার মাজারের পাশে নামবেন এবং গাড়ি ইউটার্ন করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট পার্কিং স্থান অথবা গন্তব্যে যাবেন।

ছবি

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্তা ‘প্রত্যাখ্যান’, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ছাড়া রাস্তা ছাড়বেন না তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

ছবি

প্রতি হাজারে ক্যান্সারে আক্রান্ত ১ জন: গবেষণা

ছবি

তিতুমীর কলেজ : বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে তৃতীয় দিন সড়ক অবরোধ

ছবি

‘সব শহীদ পরিবারকে একেবারে শহীদ করে দিক, তাহলে কেউ দাবি নিয়ে আসবে না’

ছবি

তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার, বিএনপির ক্ষোভ, আইএসপিআরের তদন্ত কমিটি

ছবি

দেশে প্রতি লাখে ১০৬ জন ক্যান্সার আক্রান্ত

ছবি

সাত কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পরিকল্পনা, তিতুমীর বিশেষ বিবেচনায়: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি

বই সেন্সরের কোনো পরিকল্পনা নেই, ভুল বোঝাবুঝি দূর করার আহ্বান ফারুকীর

ছবি

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সাত লেখক

ছবি

বিকেলে ইজতেমায় অনুষ্ঠিত হবে যৌতুকবিহীন বিয়ে

ছবি

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল

ছবি

সংস্কারটা কোথায় হচ্ছে, জনজীবনে তার কোনো প্রতিফলন নেই : আনু মুহাম্মদ

ছবি

আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ ১২ দাবি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ: কোন দেশ ও খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে?

ছবি

বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান নগণ্য: প্রধান ‍উপদেষ্টার কার্যালয়

ছবি

আসন্ন রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ

ছবি

সেনাবাহিনী নিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ‘বলিউডি রোমান্টিক কমেডি’

রাজনৈতিক দলের ভেতর সংস্কার জরুরি, নেতার বয়সসীমা ঠিক করারও প্রস্তাব

ছবি

রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি মাস শুরু

আজ শুরু হচ্ছে একুশের বইমেলা, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

কমছে না চালের বাজারে অস্থিরতা

ছবি

বিশ্ব ইজতেমায় মানুষের ঢল, প্রথম পর্ব শেষ হচ্ছে কাল

ছবি

বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য মেট্রোরেলে বিশেষ কোচের ব্যবস্থা

ছবি

তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আবারও সড়ক অবরোধ

ছবি

সিলেটে রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা হলো শেখ মুজিবের ম্যুরাল

মেলায় প্রকাশের আগে বইয়ের পাণ্ডুলিপি যাচাই চায় পুলিশ

ছবি

বইমেলায় কন্টেন্ট যাচাই নিয়ে পুলিশের নতুন উদ্যোগ: পাণ্ডুলিপি যাচাইয়ের প্রস্তাব

ছবি

ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার

ছবি

তুরাগ তীরে মুসল্লিদের ঢল, দেড়টায় বৃহত্তম জুমার নামাজ

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৪২ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার

ছবি

৭২ দেশের ২১৫০ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন বিশ্ব ইজতেমায়

ছবি

টেকসই উন্নয়ন ও বৈষম্যহীন অর্থনীতি গঠনে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে

ছবি

সুইজারল্যান্ড সরকার বাংলাদেশ, আলবেনিয়া ও জাম্বিয়ায় উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করবে

ইজতেমার প্রথম পর্ব : লাখো মুসল্লির পদভারে মুখর তুরাগ তীর

ছবি

জাপান বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে: মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি

সীমানা নির্ধারণ আইনের ‘জটিলতা’ দূর করতে সংশোধন প্রস্তাব পাঠাবে ইসি

tab

জাতীয়

অমর একুশে বইমেলার পর্দা উঠল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভাষার মাসের প্রথম দিনে পর্দা উঠল বাঙালির প্রাণের বইমেলা, শেষ হলো অপেক্ষার প্রহর। লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের মিলনমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো অমর একুশে বইমেলা ২০২৫।

শনিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন।

এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। গণআন্দোলনের স্মৃতি স্মরণে বাংলা একাডেমি চত্বরে তৈরি হয়েছে ‘জুলাই চত্বর’, যা প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তুলেছে বিপ্লব, শোক ও আশার বার্তা। এ বছর বইমেলা সাজানো হয়েছে লাল, কালো ও সাদা রঙে— লাল বিপ্লবের, কালো শোকের, আর সাদা আশার প্রতীক।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন— কবিতায় মাসুদ খান, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ ও গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, অনুবাদ সাহিত্যে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।

এ বছর বইমেলার পরিসর বেড়েছে আগের তুলনায়। ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১,০৮৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ৩৭টি প্যাভিলিয়নের মধ্যে বাংলা একাডেমিতে একটি, বাকি ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছে।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৩০টি লিটলম্যাগ স্থান পেয়েছে। শিশুদের জন্য ৭৪টি প্রকাশনীকে ১২০ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

প্রতি শুক্রবার ও শনিবার শিশুপ্রহর থাকছে সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত। মেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিন বিকাল ৪টায় সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

বইমেলা ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। প্রবেশ ও বাহিরপথে আর্চওয়ে বসানো হয়েছে, দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর, তিন নেতার মাজার ও হাকিম চত্বরের রাস্তা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ বা ডাইভারশন দেওয়া হতে পারে।

ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে আয়োজিত বইমেলায় ভাষা শহীদ, ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। জুলাই-অগাস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এবার বইমেলার আবহও নতুন।

আয়োজকদের মতে, এবারের মেলা একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে ধারণ করে জাতিকে নতুন পথ দেখাবে।

বাংলা একাডেমি ও অন্যান্য প্রকাশনী সংস্থা ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবে। বাংলা একাডেমির নিজস্ব প্রকাশনা থেকে ৪৩টি নতুন বই ও ৪১টি পুনর্মুদ্রিত বই প্রকাশিত হয়েছে।

অমর একুশের চেতনায় গড়ে ওঠা বইমেলা এবার আরও বৃহৎ, আরও প্রাণবন্ত। পাঠক, লেখক, প্রকাশকদের জন্য এটি শুধু বই কেনার নয়, বরং সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার এক মিলনমেলা।

বইমেলার দুয়ার খুলল

ভাষার মাসের প্রথম দিনে পর্দা উঠল বইপ্রেমী মানুষের প্রাণের মেলার; অপেক্ষা ঘুচল লেখক, প্রকাশক আর পাঠকের।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার বিকালে ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৫’ উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে- ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

সেইসঙ্গে মেলার রঙ, প্রতিপাদ্য আর দৃশ্যপটেও এসেছে পরিবর্তন। আর গণআন্দোলনের স্মৃতি স্মরণে আছে ‘জুলাই চত্বর’। বইমেলা সেজেছে লাল-কালো আর সাদা রঙে; ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিপ্লব, শোক আর আশার প্রদীপ।

এ অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিতরণ করেন সরকারপ্রধান।

পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- কবিতায় মাসুদ খান, নাটক ও নাট্যসাহিত্য: শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিকাল ৩টার দিকে বাংলা একাডেমিতে প্রবেশ করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে উদ্বেধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। ফেরদৌস আরার পরিচালনায় পরিবেশন করা হয় অমর একুশের গান।

পরে ফিতা কেটে বইমেলা উদ্বেধন করে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম এসময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলা একাডেমি চত্বর ত্যাগ করার পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মেলা প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীদের কেউ কেউ প্রবেশ করেন মেলার মাঠে। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কর্মীদের দেখা যায় স্টল গোছাতে।

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিজুড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলবে মেলা। এবার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে শতাধিক, বেড়েছে আয়তনও।

বইমেলার সদস্য সচিব সরকার আমিনের ভাষ্য, “অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও আয়তনের দিক থেকে এবার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বইমেলা হচ্ছে। শতাধিক নতুন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।”

বইয়ের মান বিবেচনায় নিয়েই নতুন প্রকাশনী সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

তিনি বলেন, “এবার অনেক নতুন প্রকাশনী মেলায় যুক্ত হয়েছে। আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব নিয়ে তাদের বরাদ্দ দিয়েছি এবং মান বিবেচনায় নতুন প্রকাশনীকে স্টল দেয়া হয়েছে।”

এবারের বইমেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৮৪ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতবছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি, আর ইউনিট ছিল ৯৪৬টি।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকছে ৩৬টি। গত বছরও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি ছিল।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় করা হয়েছে। সেখানে ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া শিশু চত্বরে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর শিশু চত্বরে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১০৯ ইউনিট দেওয়া হয়েছিল।

প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার ও সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত থাকবে ‘শিশুপ্রহর’।

অমর একুশ উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতা থাকছে। উদ্যানে থাকবে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা।

১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

মেলার কোথায় কী

বাংলা একাডেমি বলছে, এবার সামান্য কিছু পরিবর্তন ছাড়া বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতই রাখা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে মেলার বের হওয়ার পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির গেইটের কাছাকাছি নেওয়া হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ থাকবে।

খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে রাখা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবাও থাকছে। মন্দির গেইটের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে শিশু চত্বর, যাতে শিশুরা অবাধে চলতে-ফিরতে পারে।

বাংলা একাডেমি ও মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন ও শিশুকিশোর উপযোগী প্রকাশনার জন্য একটি স্টল থাকবে।

এবারের বইমেলা বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ৪৩টি ও পুনর্মুদ্রিত ৪১টি বই।

বইমেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে আর্চওয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে শুরু হওয়া মেলায় ভাষা শহীদ ও ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে এবারের আয়োজনে।

আয়োজকরা বলছেন, এবারের মেলার রঙ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লাল, কালো ও সাদা। বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে লাল, শোকের প্রতীক হিসেবে কালো এবং আশার প্রদীপ হিসেবে সাদা।

জুলাই-অগাস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবারের বইমেলার প্রেক্ষাপটটাও ভিন্ন। গণআন্দোলন ফুটিয়ে তুলতে বইমেলায় থাকছে ‘জুলাই চত্বর’।

বইমেলা ঘিরে বেশকিছু নির্দেশনা তুলে ধরেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বইমেলার কারণে বাংলা একাডেমি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় রাস্তা বন্ধ অথবা রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে।

ডাইভারশন পয়েন্টের মধ্যে রয়েছে- টিএসসি/রাজু ভাস্কর্য ক্রসিং, তিন নেতার মাজার ও হাকিম চত্বর।

পার্কিং স্থান- সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মুহসীন হল মাঠ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে, ফুলার রোডে (এক লেনে) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে।

শাহবাগ ক্রসিং থেকে টিএসসি হয়ে গাড়িযোগে মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বইমেলার টিএসসি প্রবেশ গেইটের সামনে নামবেন এবং গাড়ি রাজু ভাস্কর্য ইউটার্ন-লেফটটার্ন করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট পার্কিং স্থান অথবা গন্তব্যে যাবেন।

নীলক্ষেত/ভিসি বাংলো ক্রসিং হতে টিএসসি হয়ে গাড়িযোগে মেলায় আসা দর্শনার্থীরা হাকিম চত্বর নেমে পায়ে হেটে মেলায় প্রবেশ করবেন এবং গাড়ি হাকিম চত্বর ইউটার্ন-রাইটটার্ন করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট পার্কিং স্থান অথবা গন্তব্যে যাবেন।

হাই কোর্ট ও শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং হতে দোয়েল চত্বর ক্রসিং হয়ে বাংলা একাডেমি অভিমুখে গাড়িযোগে মেলার দর্শনার্থীরা তিন নেতার মাজারের পাশে নামবেন এবং গাড়ি ইউটার্ন করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট পার্কিং স্থান অথবা গন্তব্যে যাবেন।

back to top