বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ১০৬ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
শনিবার বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশে ক্যান্সারের বোঝা: জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি লাখে নতুন করে ৫৩ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশের জন্য এই রোগ দায়ী। বাংলাদেশে ৩৮ ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালী ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার বেশি।
প্রধান গবেষক বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খালেকুজ্জামান জানান, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় এ গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। এতে ৪৬ হাজার ৬৩১টি পরিবারের দুই লক্ষাধিক অংশগ্রহণকারী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২১৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, যেখানে প্রতি লাখে আক্রান্তের হার ১০৬ জন (পুরুষ প্রতি লাখে ১১৮ জন, নারী প্রতি লাখে ৯৬ জন)। আক্রান্তদের মধ্যে ১৬.৮ শতাংশ স্তন ক্যান্সার রোগী, ৮.৪ শতাংশ ঠোঁট ও মুখগহ্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত, ৭ শতাংশ পাকস্থলী ক্যান্সার এবং ৭ শতাংশ স্বরযন্ত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
ফুসফুস, শ্বাসনালী ও পাকস্থলীর ক্যান্সারে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ক্যান্সারের প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি গঠন জরুরি।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য শাহিনুল আলম আশ্বস্ত করে বলেন, গণআকাঙ্ক্ষা পূরণ করে- এমন গবেষণার জন্য অর্থের কোনো সমস্যা হবে না।
বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাহরীন আখতার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক সৈয়দ জাকির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আতিকুল হক।
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ১০৬ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
শনিবার বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশে ক্যান্সারের বোঝা: জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি লাখে নতুন করে ৫৩ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশের জন্য এই রোগ দায়ী। বাংলাদেশে ৩৮ ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালী ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার বেশি।
প্রধান গবেষক বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খালেকুজ্জামান জানান, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় এ গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। এতে ৪৬ হাজার ৬৩১টি পরিবারের দুই লক্ষাধিক অংশগ্রহণকারী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২১৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, যেখানে প্রতি লাখে আক্রান্তের হার ১০৬ জন (পুরুষ প্রতি লাখে ১১৮ জন, নারী প্রতি লাখে ৯৬ জন)। আক্রান্তদের মধ্যে ১৬.৮ শতাংশ স্তন ক্যান্সার রোগী, ৮.৪ শতাংশ ঠোঁট ও মুখগহ্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত, ৭ শতাংশ পাকস্থলী ক্যান্সার এবং ৭ শতাংশ স্বরযন্ত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
ফুসফুস, শ্বাসনালী ও পাকস্থলীর ক্যান্সারে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ক্যান্সারের প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি গঠন জরুরি।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য শাহিনুল আলম আশ্বস্ত করে বলেন, গণআকাঙ্ক্ষা পূরণ করে- এমন গবেষণার জন্য অর্থের কোনো সমস্যা হবে না।
বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাহরীন আখতার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক সৈয়দ জাকির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আতিকুল হক।