ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই প্রেক্ষিতে বিদ্যমান অবস্থায় তিতৃমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা শনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাখালী থেকে গুলশান-১ এর দিকে যাওয়া সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলশান-১ নম্বরের গোল চত্বরে অবস্থান করছিল শিক্ষার্থীরা।
একই দাবিতে গত থেকে তিতুমীর কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অনশন করেন।শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১২ জন শিক্ষার্থী অনশনে যুক্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার পর্যন্ত মোট ছয়জনকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী থেকে গুলশানমুখী সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দিবাগত রাত চারটা পর্যন্ত সড়কটি অবরুদ্ধ ছিল। এতে সারা দিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীবাসী।
শুক্রবারও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কটি অবরোধ করেন। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। তবে শনিবার বিকেল চারটার মধ্যে দাবি মানা না হলে আবার সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, তারা বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সড়ক অবরোধ শুরু করেন।
শনিবার বিকেল চারটা থেকে কলেজের মূল ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সাড়ে চারটার দিকে কলেজের সামনে বাঁশ ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শোনা গেছে। তারা বলেন, ‘তিতুমীর আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘টিসি না টিউই, টিউই টিউই’, ‘আমার ভাই অনশনে, প্রশাসন কি করে’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘প্রশাসনের সিন্ডিকেট, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না চলবে না’, ‘অধ্যক্ষের সিন্ডিকেট, মানি না মানবো না’, ‘আমাদের সংগ্রাম, চলছে চলবে’।
আন্দোলনকারীদের একজন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী জাহিদ রানা বলেন, তারা ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়াসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তার ‘ভাইয়েরা’ এ নিয়ে অনশন করে যাচ্ছে, অথচ প্রশাসন বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই তারা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এখানে সড়ক অবরোধ করেছেন।
কতক্ষণ এখানে সড়ক অবরোধ করবেন জানতে চাইলে জাহিদ রানা বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কেউ এসে বিষয়টি সুরাহা না করছেন, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।’
সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই
বিদ্যমান অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি এ কথা জানিয়ে বলা হয়, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত রয়েছে। এ বিষযে জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে এই কমিটি তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই কলেজগুলোর শিক্ষার সুযোগ সুবিধা ও মানোন্নয়নই বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য এবং এক্ষেত্রে করণীয় সব বিকল্পই সরকারের বিবেচনায় থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সেজন্য আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হলো। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
সরকারের আহ্বান প্রত্যাখান
সরকারি তিতুমীর কলেজ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী আলী আহমদ এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, বিশ্ব ইজতেমার জন্য সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলন শিথিল থাকবে।
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই প্রেক্ষিতে বিদ্যমান অবস্থায় তিতৃমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা শনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাখালী থেকে গুলশান-১ এর দিকে যাওয়া সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলশান-১ নম্বরের গোল চত্বরে অবস্থান করছিল শিক্ষার্থীরা।
একই দাবিতে গত থেকে তিতুমীর কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অনশন করেন।শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১২ জন শিক্ষার্থী অনশনে যুক্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার পর্যন্ত মোট ছয়জনকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী থেকে গুলশানমুখী সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দিবাগত রাত চারটা পর্যন্ত সড়কটি অবরুদ্ধ ছিল। এতে সারা দিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীবাসী।
শুক্রবারও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কটি অবরোধ করেন। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। তবে শনিবার বিকেল চারটার মধ্যে দাবি মানা না হলে আবার সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, তারা বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সড়ক অবরোধ শুরু করেন।
শনিবার বিকেল চারটা থেকে কলেজের মূল ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সাড়ে চারটার দিকে কলেজের সামনে বাঁশ ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শোনা গেছে। তারা বলেন, ‘তিতুমীর আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘টিসি না টিউই, টিউই টিউই’, ‘আমার ভাই অনশনে, প্রশাসন কি করে’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘প্রশাসনের সিন্ডিকেট, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না চলবে না’, ‘অধ্যক্ষের সিন্ডিকেট, মানি না মানবো না’, ‘আমাদের সংগ্রাম, চলছে চলবে’।
আন্দোলনকারীদের একজন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী জাহিদ রানা বলেন, তারা ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়াসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তার ‘ভাইয়েরা’ এ নিয়ে অনশন করে যাচ্ছে, অথচ প্রশাসন বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই তারা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এখানে সড়ক অবরোধ করেছেন।
কতক্ষণ এখানে সড়ক অবরোধ করবেন জানতে চাইলে জাহিদ রানা বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কেউ এসে বিষয়টি সুরাহা না করছেন, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।’
সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই
বিদ্যমান অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি এ কথা জানিয়ে বলা হয়, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত রয়েছে। এ বিষযে জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে এই কমিটি তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই কলেজগুলোর শিক্ষার সুযোগ সুবিধা ও মানোন্নয়নই বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য এবং এক্ষেত্রে করণীয় সব বিকল্পই সরকারের বিবেচনায় থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সেজন্য আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হলো। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
সরকারের আহ্বান প্রত্যাখান
সরকারি তিতুমীর কলেজ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী আলী আহমদ এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, বিশ্ব ইজতেমার জন্য সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলন শিথিল থাকবে।