সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবির বিষয়ে সরকার ‘বিশেষভাবে বিবেচনা করছে’ বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শনিবার রাতে ক্যাম্পাসের সামনে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাহামুদুর রহমান মুক্তার বলেন, “তিতুমীরের দাবি প্রথম থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়। সে দাবিতে আমরা অনড় থাকব। আমাদের অনশন কর্মসূচির ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। অনশনরতদের চারজন হাসপাতালে ভর্তি। রাষ্ট্র যদি আলোচনায় বসতে চায়, তাহলে তাদের সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে। শুধু আশ্বাস দিয়ে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় বাঁধা ছিল, আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অকার্যকর। শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন আর কোনো মুলা ঝুলিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।”
শনিবার বিকাল ৪টা থেকে ‘বারাসাত বেরিকেড টু ঢাকা নর্থ সিটি’ নামে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা মহাখালী-গুলশান এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং সন্ধ্যার পর গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থান নেন। রাত ১০টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলছিল।
আগেই শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিলেন, তারা রোববার সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলন শিথিল রাখবেন। তবে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ উদ দৌলা খান এক বিবৃতিতে জানান, “সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে সরকার অবহিত। সাত কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে। তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।”
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিকে অকার্যকর উল্লেখ করে বলেন, “আমাদের এক দফা এক দাবি, সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা এখন আশ্বাস নয়, বাস্তব পদক্ষেপ দেখতে চায়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তের পর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়ে আসছেন। সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন এবং বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেন।
এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে আর ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে না। পাশাপাশি সাত কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে সরকার। তবে শিক্ষার্থীরা সরকারি ঘোষণার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবির বিষয়ে সরকার ‘বিশেষভাবে বিবেচনা করছে’ বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শনিবার রাতে ক্যাম্পাসের সামনে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাহামুদুর রহমান মুক্তার বলেন, “তিতুমীরের দাবি প্রথম থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়। সে দাবিতে আমরা অনড় থাকব। আমাদের অনশন কর্মসূচির ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। অনশনরতদের চারজন হাসপাতালে ভর্তি। রাষ্ট্র যদি আলোচনায় বসতে চায়, তাহলে তাদের সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে। শুধু আশ্বাস দিয়ে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় বাঁধা ছিল, আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অকার্যকর। শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন আর কোনো মুলা ঝুলিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।”
শনিবার বিকাল ৪টা থেকে ‘বারাসাত বেরিকেড টু ঢাকা নর্থ সিটি’ নামে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা মহাখালী-গুলশান এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং সন্ধ্যার পর গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থান নেন। রাত ১০টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলছিল।
আগেই শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিলেন, তারা রোববার সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলন শিথিল রাখবেন। তবে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ উদ দৌলা খান এক বিবৃতিতে জানান, “সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে সরকার অবহিত। সাত কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে। তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।”
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিকে অকার্যকর উল্লেখ করে বলেন, “আমাদের এক দফা এক দাবি, সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা এখন আশ্বাস নয়, বাস্তব পদক্ষেপ দেখতে চায়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তের পর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়ে আসছেন। সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন এবং বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেন।
এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে আর ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে না। পাশাপাশি সাত কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে সরকার। তবে শিক্ষার্থীরা সরকারি ঘোষণার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।