পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানার কাছে ১৫ মিনিট সময় চেয়েও পাননি বলেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত জিনবিজ্ঞানী ও ধান গবেষক ড. আবেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টার কাছে মাত্র ১৫ মিনিট সময় চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি।’
মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফুড সিকিউরিটি এন্ড সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একাডেমিক টকে তিনি এসব কথা বলেন।
আবেদ চৌধুরী আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘দেশের বিজ্ঞান গবেষণার যথাযথ মূল্যায়ন হয় না, এমনকি সরকারের উপদেষ্টার কাছেও গবেষণা উপস্থাপনের সুযোগ পাওয়া কঠিন।’
তাঁর আবিষ্কার পঞ্চব্রীহি ধানের বিষয়ে ড. আবেদ চৌধুরী জানান, নেপিয়ার ঘাসের কান্ড থেকে নতুন চারা গজানোর ধারণা থেকেই তিনি পঞ্চব্রীহি ধানের আবিষ্কার করেছেন। এই ধানের বিশেষত্ব হলো, একবার চারা রোপণ করলে তা থেকে পাঁচবার ধান উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘পিতৃহীন বীজ প্রযুক্তি আমার সাম্প্রতিক আবিষ্কার, যা আমি বাংলাদেশের গ্রামেই উদ্ভাবন করেছি, যেন বিশ্ব বাংলাদেশকে জানতে পারে। পঞ্চব্রীহির লক্ষ্য হলো ‘ডেমোক্রেটিক ইনোভেশন’, যাতে গ্রামীণ জনগণও বিজ্ঞান গবেষণায় আগ্রহী হয়।’
আবেদ চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে গবেষণা নিয়ে সচিবালয়ে গিয়েছি, উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমার গবেষণার মূল্যায়ন হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ইউরোপে আমার গবেষণা শেয়ার করতে হয়েছিল। এখন সুযোগ থাকলেও, এখনও আমার কাজ তুলে ধরতে পারিনি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘এক বছরে যেখানে দুইবার ফসল হয়, সেখানে পাঁচবার ফসল হবে—এটা অসাধারণ ব্যাপার। এ ধরনের গবেষণা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া উচিত।’
তিনি সংবাদকর্মীদের আহ্বান জানান, যেন তারা এই আবিষ্কারের ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘পঞ্চব্রীহির আবিষ্কার বাঙালির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে এমন গবেষণায় অংশ নেবেন বলে আমরা আশাবাদী।’
গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি) এর উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক, আর সঞ্চালনা করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. মো. আনিসুর রহমান।
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানার কাছে ১৫ মিনিট সময় চেয়েও পাননি বলেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত জিনবিজ্ঞানী ও ধান গবেষক ড. আবেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টার কাছে মাত্র ১৫ মিনিট সময় চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি।’
মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফুড সিকিউরিটি এন্ড সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একাডেমিক টকে তিনি এসব কথা বলেন।
আবেদ চৌধুরী আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘দেশের বিজ্ঞান গবেষণার যথাযথ মূল্যায়ন হয় না, এমনকি সরকারের উপদেষ্টার কাছেও গবেষণা উপস্থাপনের সুযোগ পাওয়া কঠিন।’
তাঁর আবিষ্কার পঞ্চব্রীহি ধানের বিষয়ে ড. আবেদ চৌধুরী জানান, নেপিয়ার ঘাসের কান্ড থেকে নতুন চারা গজানোর ধারণা থেকেই তিনি পঞ্চব্রীহি ধানের আবিষ্কার করেছেন। এই ধানের বিশেষত্ব হলো, একবার চারা রোপণ করলে তা থেকে পাঁচবার ধান উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘পিতৃহীন বীজ প্রযুক্তি আমার সাম্প্রতিক আবিষ্কার, যা আমি বাংলাদেশের গ্রামেই উদ্ভাবন করেছি, যেন বিশ্ব বাংলাদেশকে জানতে পারে। পঞ্চব্রীহির লক্ষ্য হলো ‘ডেমোক্রেটিক ইনোভেশন’, যাতে গ্রামীণ জনগণও বিজ্ঞান গবেষণায় আগ্রহী হয়।’
আবেদ চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে গবেষণা নিয়ে সচিবালয়ে গিয়েছি, উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমার গবেষণার মূল্যায়ন হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ইউরোপে আমার গবেষণা শেয়ার করতে হয়েছিল। এখন সুযোগ থাকলেও, এখনও আমার কাজ তুলে ধরতে পারিনি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘এক বছরে যেখানে দুইবার ফসল হয়, সেখানে পাঁচবার ফসল হবে—এটা অসাধারণ ব্যাপার। এ ধরনের গবেষণা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া উচিত।’
তিনি সংবাদকর্মীদের আহ্বান জানান, যেন তারা এই আবিষ্কারের ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘পঞ্চব্রীহির আবিষ্কার বাঙালির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে এমন গবেষণায় অংশ নেবেন বলে আমরা আশাবাদী।’
গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি) এর উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক, আর সঞ্চালনা করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. মো. আনিসুর রহমান।